ইরানের নজিরবিহীন ড্রোন মহড়া: অংশ নিয়েছে ৫০টি আরকিউ-১৭০

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র নজিরবিহীন ড্রোন মহড়ায় ৫০টি আরকিউ-১৭০ সেন্টিনিয়েল ড্রোন অংশ নিয়েছিল। ‘আল-কুদস চলো-১’ নামের এ মহড়া গতকাল পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে চালানো হয়।
আইআরজিসি’র চালকহীন বিমান মহড়ায় ৫০টি আরকিউ-১৭০ সেন্টিনিয়েল ড্রোন অংশ নিয়েছিল
 
আরকিউ-১৭০
২০১১ সালে আফগানিস্তান থেকে ইরানের আকাশসীমার ঢোকার পর  সাইবার হামলা চালিয়ে মার্কিন চালকহীন বিমানকে অক্ষত অবস্থায় নামিয়ে আনা হয়েছিল। পরবর্তীতে এর নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত হয় এবং একে আরো উন্নত করে নিজেই এ ড্রোন তৈরি করে ইরান। প্রযুক্তি জগতে একে রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং বা উল্টো প্রযুক্তি সন্নিবেশ বলা হয়। রাডার ফাঁকি দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে ইরানের তৈরি আরকিউ-১৭০র।
এটি ছাড়াও আক্রমণ এবং হামলায় সক্ষম অন্যান্য চালকহীন বিমানও অংশ নেয় মহড়ায়। যুদ্ধ অনুশীলনে অংশগ্রহণকারী ড্রোনগুলো ১২০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে বোমা বর্ষণ করে ফিরে আসতে সক্ষম হয়। খুজিস্তান, বুশেহের, হরমুজগানসহ অন্যান্য ঘাঁটি থেকে এ সব চালকহীন বিমান আকাশে উড়েছে। নজিবিহীন এ জাতীয় যুদ্ধ অনুশীলন বা মহড়া এই প্রথম চালানো হলো বলে আইআরজিসির বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
 
ইরানি ড্রোন
মহড়ায় আইআরজিসির কমান্ডার হোসেইন সালামি এবং আইআরজিসির বিমান-মহাকাশ বাহিনীর কমান্ডার আমির আলি হাজিজাদেহ উপস্থিত ছিলেন।
 
হামলায় সক্ষম ইরানি চালকহীন বিমানের ডানার নিচের ক্ষেপণাস্ত্র
 
হামলায় সক্ষম ইরানি চালকহীন বিমানের ডানার নিচের ক্ষেপণাস্ত্র
ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে ইরান বিশাল নৌমহড়া চালিয়েছে। পাশাপাশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ধারাবাহিক পরীক্ষাও চালানো হয়েছে। ডিসেম্বরে ইরানের পদাতিক বাহিনী দেশটির দক্ষিণে বিশাল সামরিক মহড়া চালিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.