ক্রিস্টচার্চে মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি, সর্বত্র পড়ে আছে লাশ -প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা
নিউজিল্যান্ডের
ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে ভয়াবহ হামলা হয়েছে। এ সময় শুক্রবারে জুমার
নামাজ আদায় করতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিপুল সংখ্যক মুসল্লি। তাদের ওপর
নির্বিচারে গুলি চালিয়ে রক্তের হোলি উৎসবে মেতে ওঠে হামলাকারী। ভয়াবহ ওই
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লি লি পেনেহা। তিনি বলেছেন, সর্বত্রই আমি দেখতে
পেয়েছি মৃত মানুষ পড়ে আছেন। মসজিদের প্রবেশপথে আমি তিনটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে
দেখেছি। মসজিদের ভিতরে লাশ পড়ে আছে। অবিশ্বাস্য সেই দৃশ্য।
তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারি না কেন এসব মানুষের ওপর এভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নাইন নিউজ।
এতে আরো বলা হয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ১টা ৪০ মিনেটে আল নূর মসজিদ ও লিনউড মসজিদে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় কয়েকজন হামলাকারী। নূর মসজিদের পাশেই বসবাস করেন লেন পেনেহা। তিনি বলেছেন, আমি দেখেছি কালো পোশাক পরা একজন ব্যক্তি ওই মসজিদ ভবনে প্রবেশ করছে। তারপরই শুনি গুলির শব্দ। এ সময় লোকজন এলোপাতাড়ি দৌড়াচ্ছিল। এক পর্যায়ে ওই অস্ত্রধারী মসজিদ থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যায়। পালানোর পথে তার আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রটি ফেলে যায়। তারপর পালিয়ে যায়।
এরপরই মসজিদে প্রবেশ করেন পেনেহা। তিনি চেষ্টা করেন সেখানে হতাহতদের সহায়তা করতে। সে সময়কার দৃশ্যই তিনি বর্ণনা করছিলেন। তিনি বলেন, ৫ জন মুসল্লিকে উদ্ধার করে তিনি তার বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। তাদের মধ্যে একজন সামান্য আহত হয়েছেন।
পেনেহা বলেন, এই মসজিদের পাশেই প্রায় ৫ বছর ধরে বসবাস করি আমি। এখানকার মানুষগুলো খুবই ভাল। তারা বন্ধুপ্রতীম। কিন্তু কেন তাদের ওপর এভাবে হামলা হলো আমি বুঝতে পারি না।
তিনি বলেন, অস্ত্রধারী ব্যক্তি একজন ককেশিয়ান। তার মাথায় ছিল একটি হেলমেট। তার উপরে ছিল একটি ডিভাইস। তাকে দেখতে সেনাদের মতো মনে হচ্ছিল।
ওই মসজিদের আরেকজন মুসল্লি মোহন ইব্রাহিম ঘটনার সময় মসজিদের ভিতরে ছিলেন। তিনি বলেছেন, তখন মসজিদের ভিতরে প্রায় ৪০০ মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। এ সময়ই অকস্মাৎ বৃষ্টির মতো গুলি শুরু হয়। গুলির ঘটনা ঘটেছে পাশের রুমে। ফলে আমি হামলাকারীকে দেখতে পাই নিন। অকস্মাৎ আমরা গুলির শব্দ পাই। এ সময় জীবন বাঁচাতে এলোমেলো দৌড়াদৌড়ি করতে থাকেন মুসল্লিরা। এখনও আমার আতঙ্ক কাটে নি। তিনি নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, প্রচুর মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। রাস্তার মাঝখানে আমি একটি বালিকার মৃতদেহ দেখতে পেয়েছি।
মোহন ইব্রাহিম নিজের জীবন বাঁচিয়ে বেরিয়ে আসতে পারলেও তার বন্ধুদের জীবন নিয়ে তিনি সন্দিহান। তিনি বলেন, এখনও তাদের অনেকে মসজিদের ভিতরে আছেন। তাদেরকে আমরা ডেকেছি। কিন্তু তাদের কোনো সাড়া পাই নি।
নিউজিল্যান্ডের স্টাফ অনলাইনকে এক ব্যক্তি বলেছেন, তিনি বহু গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন। তারপরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, আমি কমপক্ষে ২০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছি।
টিভি এনজেডকে আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, স্থানীয় সময় বিকাল ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে গুলির শব্দ শুনেছেন। তার ভাষায়, আমি গুলির বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছি। তারপর দ্বিতীয়বার আবার। ফলে আমি দৌড়ানো শুরু করি। এ সময় মসজিদের মেঝেতে বসেছিলেন বহু মুসল্লি। আমি তার ভিতর দিয়ে দৌড়ানো শুরু করি এবং মসজিদের পিছন দিক দিয়ে বেরিয়ে আসি।
তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারি না কেন এসব মানুষের ওপর এভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নাইন নিউজ।
এতে আরো বলা হয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ১টা ৪০ মিনেটে আল নূর মসজিদ ও লিনউড মসজিদে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় কয়েকজন হামলাকারী। নূর মসজিদের পাশেই বসবাস করেন লেন পেনেহা। তিনি বলেছেন, আমি দেখেছি কালো পোশাক পরা একজন ব্যক্তি ওই মসজিদ ভবনে প্রবেশ করছে। তারপরই শুনি গুলির শব্দ। এ সময় লোকজন এলোপাতাড়ি দৌড়াচ্ছিল। এক পর্যায়ে ওই অস্ত্রধারী মসজিদ থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যায়। পালানোর পথে তার আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রটি ফেলে যায়। তারপর পালিয়ে যায়।
এরপরই মসজিদে প্রবেশ করেন পেনেহা। তিনি চেষ্টা করেন সেখানে হতাহতদের সহায়তা করতে। সে সময়কার দৃশ্যই তিনি বর্ণনা করছিলেন। তিনি বলেন, ৫ জন মুসল্লিকে উদ্ধার করে তিনি তার বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। তাদের মধ্যে একজন সামান্য আহত হয়েছেন।
পেনেহা বলেন, এই মসজিদের পাশেই প্রায় ৫ বছর ধরে বসবাস করি আমি। এখানকার মানুষগুলো খুবই ভাল। তারা বন্ধুপ্রতীম। কিন্তু কেন তাদের ওপর এভাবে হামলা হলো আমি বুঝতে পারি না।
তিনি বলেন, অস্ত্রধারী ব্যক্তি একজন ককেশিয়ান। তার মাথায় ছিল একটি হেলমেট। তার উপরে ছিল একটি ডিভাইস। তাকে দেখতে সেনাদের মতো মনে হচ্ছিল।
ওই মসজিদের আরেকজন মুসল্লি মোহন ইব্রাহিম ঘটনার সময় মসজিদের ভিতরে ছিলেন। তিনি বলেছেন, তখন মসজিদের ভিতরে প্রায় ৪০০ মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। এ সময়ই অকস্মাৎ বৃষ্টির মতো গুলি শুরু হয়। গুলির ঘটনা ঘটেছে পাশের রুমে। ফলে আমি হামলাকারীকে দেখতে পাই নিন। অকস্মাৎ আমরা গুলির শব্দ পাই। এ সময় জীবন বাঁচাতে এলোমেলো দৌড়াদৌড়ি করতে থাকেন মুসল্লিরা। এখনও আমার আতঙ্ক কাটে নি। তিনি নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, প্রচুর মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। রাস্তার মাঝখানে আমি একটি বালিকার মৃতদেহ দেখতে পেয়েছি।
মোহন ইব্রাহিম নিজের জীবন বাঁচিয়ে বেরিয়ে আসতে পারলেও তার বন্ধুদের জীবন নিয়ে তিনি সন্দিহান। তিনি বলেন, এখনও তাদের অনেকে মসজিদের ভিতরে আছেন। তাদেরকে আমরা ডেকেছি। কিন্তু তাদের কোনো সাড়া পাই নি।
নিউজিল্যান্ডের স্টাফ অনলাইনকে এক ব্যক্তি বলেছেন, তিনি বহু গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন। তারপরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, আমি কমপক্ষে ২০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছি।
টিভি এনজেডকে আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, স্থানীয় সময় বিকাল ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে গুলির শব্দ শুনেছেন। তার ভাষায়, আমি গুলির বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছি। তারপর দ্বিতীয়বার আবার। ফলে আমি দৌড়ানো শুরু করি। এ সময় মসজিদের মেঝেতে বসেছিলেন বহু মুসল্লি। আমি তার ভিতর দিয়ে দৌড়ানো শুরু করি এবং মসজিদের পিছন দিক দিয়ে বেরিয়ে আসি।
No comments