ভোটে অনীহা by জিয়া চৌধুরী
ঢাকা
উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এক কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন মাত্র তিনজন। অন্য
এক কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন পাঁচজন। অন্য একটি কেন্দ্রে সারা দিনে
সর্ব সাকুল্যে সাতজন ভোটারের দেখা পান কর্মকর্তারা। ভোটের এমন চিত্রে হতাশা
ছিল ভোট গ্রহণে দায়িত্বপ্রাপ্তদের। সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পর উপজেলা
নির্বাচনের প্রথম ধাপেও ইসিকে হতাশ করেছেন ভোটাররা। গড়ে মাত্র ৩১ ভাগ ভোটার
ভোট কেন্দ্রে যান প্রথম ধাপের নির্বাচনে। আর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
নির্বাচিতদের ধরলে ভোটের এই হার আরো কমে যাবে। ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার এমন
অনীহার ছাপ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকেই।
ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের এই অনীহার কারণে হতাশ নির্বাচন কমিশনও। সংশ্লিষ্টরা এ নিয়ে নানা মাধ্যমে তাদের হতাশার বিষয় প্রকাশ করে আসছেন।
ডিএনসিসি’র মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে অন্তত শতাধিক কেন্দ্রে শতকরা দশ ভাগেরও কম ভোট পড়েছে। আর পুরো নির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র শতকরা ৩১ দশমিক ০৫ শতাংশ। এদিকে, গত বুধবার সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বড় একটি দল উপজেলা নির্বাচন বয়কট করায় ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান। নিজের বক্তব্যে তিনি মূলত, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জোট অংশ না নেয়ার বিষয়টিকে ইঙ্গিত করেন। প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৭৮টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দেখা যায়, বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল হতাশাজনক, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের অপেক্ষায় অলস সময় কাটাতে হয় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের।
এদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচনে বেশ কিছু কেন্দ্রে অস্বাভাবিক হারে ভোট পড়ে।
মিরপুরের মনিপুরের ই-আইডিয়াল স্কুলের একটি কেন্দ্রে পড়ে সবচেয়ে কম মাত্র তিনটি ভোট। শতকরা হিসেবে যা মাত্র ০.১২ শতাংশ। এ ছাড়া, এক শতাংশেরও কম ভোট পড়ে অন্তত ১০টি কেন্দ্রে। অন্তত আরো আটটি কেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দেন মাত্র দুই শতাংশেরও কম। ডিএনসিসি নির্বাচনের ফল পর্যালোচনা করে দেখা যায় সবচেয়ে কম ভোট পড়ে মিরপুরের মনিপুরপাড়ায় অবস্থিত ই-আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রের দুই হাজার ৫০৪টি ভোটের মধ্যে মাত্র তিনটি ভোট পড়েছে ব্যালট বাক্সে। সবক’টি ভোটই পান নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া, মিরপুরের মনিপুর এলাকার গ্রিনভিউ উচ্চ বিদ্যালয় মহিলা কেন্দ্রের মোট দুই হাজার ৪৭১ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন মাত্র পাঁচজন। এই পাঁচ ভোটও পান আতিকুল ইসলাম। এই কেন্দ্রে শতকরা ভোট পড়েছে ০.২০ শতাংশ। মিরপুরের হাজী আশ্রাফ আলী হাইস্কুল কেন্দ্রে দুই হাজার ২২০টি ভোটের মধ্যে ভোট দেন মাত্র সাতজন ভোটার, অর্থাৎ ভোটগ্রহণ হয় মাত্র ০.৩২ শতাংশ। এই তিনটি কেন্দ্রসহ মোট ১০টি কেন্দ্রে এক শতাংশেরও কম ভোট পড়েছে।
কেন্দ্রগুলো হলো বাড্ডার কুড়াতলী উচ্চ বিদ্যালয় ১৫১২ ভোটের মধ্যে ৫ ভোট (০.৩৩ শতাংশ), মিরপুরের পাইকপাড়ার বশির উদ্দিন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ২৫০৮ ভোটের মধ্যে মাত্র ৯ জন (০.৩৬ শতাংশ) গ্রিনভিউ হাইস্কুল (মহিলা-২) ২৮৯০ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৯ ভোট (০.৩৬ শতাংশ), কাফরুলের শহীদ পুলিশ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (০.৬৩ শতাংশ), মাদার কেয়ার প্রি-স্কুল (০.৭৪ শতাংশ), একই এলাকার ঢাকা আহছানিয়া মিশন মহিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (০.৭৭ শতাংশ) এবং জোয়ার সাহারা এলাকার নিউ লাইফ প্রি-ক্যাডেট স্কুল (দ্বিতীয় তলা) (০.৮৫ শতাংশ)। ভোটের ফল পর্যালোচনায় আরো দেখা যায়, আটটি কেন্দ্রে এক থেকে দুই শতাংশ ভোট পড়েছে। এগুলো হলো জোয়ার সাহারার গুলশান কলেজ, (নিচতলা, মহিলা কেন্দ্র-১) (১.৩২ শতাংশ), বাড্ডার কুড়াতলী উচ্চ বিদ্যালয় (দ্বিতীয় তলা-উত্তর পাশে) (১.৩২ শতাংশ), মিরপুরের ঢাকা আহছানিয়া মিশন মহিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মহিলা-১ কেন্দ্র (১.৩৮ শতাংশ), কাফরুলের শহীদ পুলিশ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নিচতলা কেন্দ্র (১.৪৫ শতাংশ), মিরপুরের আলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলা কেন্দ্র (১.৫৫ শতাংশ), একই এলাকার রোটারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১.৬৪ শতাংশ), কসমিক কিন্ডারগার্টেন মহিলা-১ কেন্দ্র (১.৮০ শতাংশ) ও জোয়ার সাহারার নিউ লাইফ প্রি-ক্যাডেট স্কুলের নিচতলা পুরুষ কেন্দ্র (১.৮৩ শতাংশ)।
এ ছাড়া আরো নয়টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে দুই থেকে তিন শতাংশ। কেন্দ্রগুলো হলো আদাবরের চিলড্রেন একাডেমি (২.০৪ শতাংশ), মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় শাখা-৩ (২.১১ শতাংশ), কালশী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণের তিনতলা ভবনের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলা (২.১১ শতাংশ), শহীদ পুলিশ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নিচতলায় পুরুষ কেন্দ্র (২.১৪ শতাংশ), পীরেরবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ তলায় পুরুষ কেন্দ্র (২.৫৬ শতাংশ), উত্তরা হাইস্কুল ও কলেজের নিচতলা মহিলা কেন্দ্র (২.৬৫ শতাংশ), পাইকপাড়া স্টাফ কোয়ার্টার উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের ভবন কেন্দ্র (২.৬৯ শতাংশ), আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মহিলা কেন্দ্র (২.৭৩ শতাংশ) ও ফুলকি নার্সারি স্কুলের পুরুষ কেন্দ্র (২.৮৫ শতাংশ)। ডিএনসিসির মেয়র পদে সাতটি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে তিন থেকে চার শতাংশ। এগুলো হলো মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বালিকা শাখার দ্বিতীয় তলার পূর্ব পাশের পুরুষ কেন্দ্র (৩.১০ শতাংশ), পাইকপাড়া স্টাফ কোয়ার্টার উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে ভবনের দুটি কক্ষ কেন্দ্র (৩.২৬ শতাংশ), পীরেরবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলায় পুরুষ কেন্দ্র (৩.৩৫ শতাংশ), মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ব্রাঞ্চ-৩-এর পুরুষ কেন্দ্র (৩.৩৯ শতাংশ), কম্বাইন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় তলার উত্তর পাশে মহিলা কেন্দ্র (৩.৪১ শতাংশ), কুড়িল কুড়াতলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে পুরুষ কেন্দ্র (৩.৫৮ শতাংশ) ও গুলশান কলেজের দ্বিতীয় তলায় মহিলা কেন্দ্র (৩.৬৭ শতাংশ)।
উপজেলা ও ডিএনসিসি নির্বাচনে হতাশাজনক ভোটার উপস্থিতি ও রাতের বেলার ভোটের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমদ মানবজমনিকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর ভোটাররা অনেক আগে পুরোপুরি আস্থা হারিয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনের পর তারা স্থানীয় নির্বাচনের প্রতি তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
ভোটাররা কেন ভোট দিতে যাবেন, সেই প্রশ্নের সদুত্তরও তাদের জানা নেই। তবে ভোটাররা কেন্দ্রে না আসায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে ক্ষমতায় থাকা সরকারি দল। বিরোধী দলগুলো নানা অভিযোগে ভোট বয়কট করছে। সরকারি দল এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলকে দায়ী করছে। সবকিছু মিলিয়ে নির্বাচন ও ভোটের বিষয়ে এক ধরনের জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। খুব শিগগিরই এই অচলাবস্থা কাটবে বলে মনে হয় না।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, কমিশনের দায়িত্ব ভোটার টানা নয়। তার দায়িত্ব হলো ঠিকমত নির্বাচন করা। আর ভোটার টানার দায়িত্ব হচ্ছে পলিটিক্যাল পার্টির। যেহেতু কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি সেটার একটি প্রভাব হয়তো পড়েছে। ফলে ভোটার সংখ্যা একটু কম হয়েছে। এক্ষেত্রে আমি মনে করি অন্যান্য দল অংশগ্রহণ না করাটা একটি বড় ব্যাপার হতে পারে। তিনি বলেন, আগে আমরা ভোট দিতে অনেক পছন্দ করতাম। আনন্দ করতাম। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে সেরকম পরিবেশ দেখা যায়নি। মূলত সব দল নির্বাচনে না আসায় এমন অবস্থার তৈরি হয়েছে।
ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের এই অনীহার কারণে হতাশ নির্বাচন কমিশনও। সংশ্লিষ্টরা এ নিয়ে নানা মাধ্যমে তাদের হতাশার বিষয় প্রকাশ করে আসছেন।
ডিএনসিসি’র মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে অন্তত শতাধিক কেন্দ্রে শতকরা দশ ভাগেরও কম ভোট পড়েছে। আর পুরো নির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র শতকরা ৩১ দশমিক ০৫ শতাংশ। এদিকে, গত বুধবার সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বড় একটি দল উপজেলা নির্বাচন বয়কট করায় ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান। নিজের বক্তব্যে তিনি মূলত, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জোট অংশ না নেয়ার বিষয়টিকে ইঙ্গিত করেন। প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৭৮টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দেখা যায়, বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল হতাশাজনক, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের অপেক্ষায় অলস সময় কাটাতে হয় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের।
এদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচনে বেশ কিছু কেন্দ্রে অস্বাভাবিক হারে ভোট পড়ে।
মিরপুরের মনিপুরের ই-আইডিয়াল স্কুলের একটি কেন্দ্রে পড়ে সবচেয়ে কম মাত্র তিনটি ভোট। শতকরা হিসেবে যা মাত্র ০.১২ শতাংশ। এ ছাড়া, এক শতাংশেরও কম ভোট পড়ে অন্তত ১০টি কেন্দ্রে। অন্তত আরো আটটি কেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দেন মাত্র দুই শতাংশেরও কম। ডিএনসিসি নির্বাচনের ফল পর্যালোচনা করে দেখা যায় সবচেয়ে কম ভোট পড়ে মিরপুরের মনিপুরপাড়ায় অবস্থিত ই-আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রের দুই হাজার ৫০৪টি ভোটের মধ্যে মাত্র তিনটি ভোট পড়েছে ব্যালট বাক্সে। সবক’টি ভোটই পান নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া, মিরপুরের মনিপুর এলাকার গ্রিনভিউ উচ্চ বিদ্যালয় মহিলা কেন্দ্রের মোট দুই হাজার ৪৭১ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন মাত্র পাঁচজন। এই পাঁচ ভোটও পান আতিকুল ইসলাম। এই কেন্দ্রে শতকরা ভোট পড়েছে ০.২০ শতাংশ। মিরপুরের হাজী আশ্রাফ আলী হাইস্কুল কেন্দ্রে দুই হাজার ২২০টি ভোটের মধ্যে ভোট দেন মাত্র সাতজন ভোটার, অর্থাৎ ভোটগ্রহণ হয় মাত্র ০.৩২ শতাংশ। এই তিনটি কেন্দ্রসহ মোট ১০টি কেন্দ্রে এক শতাংশেরও কম ভোট পড়েছে।
কেন্দ্রগুলো হলো বাড্ডার কুড়াতলী উচ্চ বিদ্যালয় ১৫১২ ভোটের মধ্যে ৫ ভোট (০.৩৩ শতাংশ), মিরপুরের পাইকপাড়ার বশির উদ্দিন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ২৫০৮ ভোটের মধ্যে মাত্র ৯ জন (০.৩৬ শতাংশ) গ্রিনভিউ হাইস্কুল (মহিলা-২) ২৮৯০ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৯ ভোট (০.৩৬ শতাংশ), কাফরুলের শহীদ পুলিশ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (০.৬৩ শতাংশ), মাদার কেয়ার প্রি-স্কুল (০.৭৪ শতাংশ), একই এলাকার ঢাকা আহছানিয়া মিশন মহিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (০.৭৭ শতাংশ) এবং জোয়ার সাহারা এলাকার নিউ লাইফ প্রি-ক্যাডেট স্কুল (দ্বিতীয় তলা) (০.৮৫ শতাংশ)। ভোটের ফল পর্যালোচনায় আরো দেখা যায়, আটটি কেন্দ্রে এক থেকে দুই শতাংশ ভোট পড়েছে। এগুলো হলো জোয়ার সাহারার গুলশান কলেজ, (নিচতলা, মহিলা কেন্দ্র-১) (১.৩২ শতাংশ), বাড্ডার কুড়াতলী উচ্চ বিদ্যালয় (দ্বিতীয় তলা-উত্তর পাশে) (১.৩২ শতাংশ), মিরপুরের ঢাকা আহছানিয়া মিশন মহিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মহিলা-১ কেন্দ্র (১.৩৮ শতাংশ), কাফরুলের শহীদ পুলিশ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নিচতলা কেন্দ্র (১.৪৫ শতাংশ), মিরপুরের আলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলা কেন্দ্র (১.৫৫ শতাংশ), একই এলাকার রোটারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১.৬৪ শতাংশ), কসমিক কিন্ডারগার্টেন মহিলা-১ কেন্দ্র (১.৮০ শতাংশ) ও জোয়ার সাহারার নিউ লাইফ প্রি-ক্যাডেট স্কুলের নিচতলা পুরুষ কেন্দ্র (১.৮৩ শতাংশ)।
এ ছাড়া আরো নয়টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে দুই থেকে তিন শতাংশ। কেন্দ্রগুলো হলো আদাবরের চিলড্রেন একাডেমি (২.০৪ শতাংশ), মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় শাখা-৩ (২.১১ শতাংশ), কালশী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণের তিনতলা ভবনের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলা (২.১১ শতাংশ), শহীদ পুলিশ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নিচতলায় পুরুষ কেন্দ্র (২.১৪ শতাংশ), পীরেরবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ তলায় পুরুষ কেন্দ্র (২.৫৬ শতাংশ), উত্তরা হাইস্কুল ও কলেজের নিচতলা মহিলা কেন্দ্র (২.৬৫ শতাংশ), পাইকপাড়া স্টাফ কোয়ার্টার উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের ভবন কেন্দ্র (২.৬৯ শতাংশ), আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মহিলা কেন্দ্র (২.৭৩ শতাংশ) ও ফুলকি নার্সারি স্কুলের পুরুষ কেন্দ্র (২.৮৫ শতাংশ)। ডিএনসিসির মেয়র পদে সাতটি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে তিন থেকে চার শতাংশ। এগুলো হলো মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বালিকা শাখার দ্বিতীয় তলার পূর্ব পাশের পুরুষ কেন্দ্র (৩.১০ শতাংশ), পাইকপাড়া স্টাফ কোয়ার্টার উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে ভবনের দুটি কক্ষ কেন্দ্র (৩.২৬ শতাংশ), পীরেরবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলায় পুরুষ কেন্দ্র (৩.৩৫ শতাংশ), মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ব্রাঞ্চ-৩-এর পুরুষ কেন্দ্র (৩.৩৯ শতাংশ), কম্বাইন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় তলার উত্তর পাশে মহিলা কেন্দ্র (৩.৪১ শতাংশ), কুড়িল কুড়াতলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে পুরুষ কেন্দ্র (৩.৫৮ শতাংশ) ও গুলশান কলেজের দ্বিতীয় তলায় মহিলা কেন্দ্র (৩.৬৭ শতাংশ)।
উপজেলা ও ডিএনসিসি নির্বাচনে হতাশাজনক ভোটার উপস্থিতি ও রাতের বেলার ভোটের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমদ মানবজমনিকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর ভোটাররা অনেক আগে পুরোপুরি আস্থা হারিয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনের পর তারা স্থানীয় নির্বাচনের প্রতি তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
ভোটাররা কেন ভোট দিতে যাবেন, সেই প্রশ্নের সদুত্তরও তাদের জানা নেই। তবে ভোটাররা কেন্দ্রে না আসায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে ক্ষমতায় থাকা সরকারি দল। বিরোধী দলগুলো নানা অভিযোগে ভোট বয়কট করছে। সরকারি দল এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলকে দায়ী করছে। সবকিছু মিলিয়ে নির্বাচন ও ভোটের বিষয়ে এক ধরনের জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। খুব শিগগিরই এই অচলাবস্থা কাটবে বলে মনে হয় না।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, কমিশনের দায়িত্ব ভোটার টানা নয়। তার দায়িত্ব হলো ঠিকমত নির্বাচন করা। আর ভোটার টানার দায়িত্ব হচ্ছে পলিটিক্যাল পার্টির। যেহেতু কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি সেটার একটি প্রভাব হয়তো পড়েছে। ফলে ভোটার সংখ্যা একটু কম হয়েছে। এক্ষেত্রে আমি মনে করি অন্যান্য দল অংশগ্রহণ না করাটা একটি বড় ব্যাপার হতে পারে। তিনি বলেন, আগে আমরা ভোট দিতে অনেক পছন্দ করতাম। আনন্দ করতাম। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে সেরকম পরিবেশ দেখা যায়নি। মূলত সব দল নির্বাচনে না আসায় এমন অবস্থার তৈরি হয়েছে।
No comments