ইমাম রশিদী আপনাকে স্যালুট
সহিংসতার
বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে রীতিমতো জাতীয় তারকায় পরিণত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের
আসানসোলের ইমাম মাওলানা ইমদাদুল রশিদী। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিজের পুত্র
নিহত হওয়ার পরও শান্তির আহ্বান জানিয়ে সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসা বন্যায়
ভাসছেন তিনি। তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীসহ
দেশের গুণীজনরা। রাহুল গান্ধীর প্রশংসা পেয়েছেন দিল্লির আরেক সন্তানহারা
পিতা যশপাল সাকসেনা।
এক টুইটার বার্তায় কংগ্রেস সভাপতি বলেন, বিদ্বেষমূলক সাম্প্রদায়িকতার কারণে পুত্র হারানোর পরও ইমাম রশিদী ও যশপাল সাকসেনা সহিংসতার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তাদের অবস্থানই বুঝিয়ে দেয় যে, ভারতে এভাবেই চিরদিন ভালোবাসার কাছে ঘৃণা পরাজিত হবে। এছাড়া হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) ও ক্ষমতাসীন বিজেপির বিদ্বেষমূলক আদর্শ বাস্তবায়ন করতে না দেয়ারও ঘোষণা দেন তিনি। রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও সহানুভূতির ভিত্তিতে কংগ্রেস গড়ে উঠেছে। আমরা ভারতে বিজেপি ও আরএসএসবিদ্বেষী মতাদর্শ বাস্তবায়ন করতে দেব না।’
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে রাম নবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর মধ্যেই গত মঙ্গলবার আসানসোলের ইমাম মাওলানা ইমদাদুল রশিদীর পুত্র সিবতুল্লা রশিদীকে তুলে নেয়া হয়। একদিন পরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এতে হিন্দু-মুসলিম উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। আসানসোলে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সম্ভাবনা দেখা দেয়। বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষে নিহত হয় ৪ জন। কিন্তু ইমাম রশিদীর বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের কারণে সে উত্তেজনা অনেকাংশেই প্রশমিত হয়েছে। তিনি ঘোষণা দেন, ‘কোনো প্রতিহিংসা নয়। প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আর কারো মৃত্যু হলে আমি শহর ছেড়ে চলে যাব। ৩০ বছর ধরে একসঙ্গে রয়েছি আমরা। আমাকে ভালোবেসে থাকলে আর কাউকে যেন এভাবে না মরতে হয়।’
আর মুসলিম ধর্মাবলম্বী তরুণীকে বিয়ে করার অপরাধে ১লা ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে অঙ্কিত সাকসেনা নামে এক হিন্দু যুবককে হত্যা করা হয়। ওই বিয়ে ছেলেপক্ষ মেনে নিলেও বেঁকে বসে মেয়েপক্ষ। তারা এই বিচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। পরে এ নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে অঙ্কিতকে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে মেয়েপক্ষের হাত রয়েছে। কিন্তু বিষয়টি জানার পরও অঙ্কিতের পিতা যশপাল সাকসেনা পুত্র হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার পরিবর্তে শান্তির বার্তা শোনান। মানবতাবাদী এই দুই পিতার মহানুভব সিদ্ধান্তে ভারত ভয়ঙ্কর দাঙ্গার হাত থেকে রক্ষা পায়। রশিদীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে শান্তি ফিরেছে বর্ধমানের আসানসোলে। টানা তিন দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার থেকে শহরের দোকানগুলো খুলতে শুরু করেছে। তবে শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে আধা সামরিক বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দেয়া হলেও রাজ্য সরকার সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে।
এদিকে, দাঙ্গার শিকার আসানসোল শহর পরিদর্শন করেছেন চার সদস্যের বিজেপি প্রতিনিধি দল। এই দলে রয়েছেন বিজেপি’র কেন্দ্রীয় মুখপাত্র বিহারের শাহনেওয়াজ হোসেন, দলের সহ-সভাপতি ও রাজস্থানের সংসদ সদস্য ওম প্রকাশ মাথুর, ঝাড়খণ্ডের সংসদ সদস্য ভি ডি রাম ও পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা রুপা গঙ্গোপাধ্যায়।
এক টুইটার বার্তায় কংগ্রেস সভাপতি বলেন, বিদ্বেষমূলক সাম্প্রদায়িকতার কারণে পুত্র হারানোর পরও ইমাম রশিদী ও যশপাল সাকসেনা সহিংসতার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তাদের অবস্থানই বুঝিয়ে দেয় যে, ভারতে এভাবেই চিরদিন ভালোবাসার কাছে ঘৃণা পরাজিত হবে। এছাড়া হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) ও ক্ষমতাসীন বিজেপির বিদ্বেষমূলক আদর্শ বাস্তবায়ন করতে না দেয়ারও ঘোষণা দেন তিনি। রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও সহানুভূতির ভিত্তিতে কংগ্রেস গড়ে উঠেছে। আমরা ভারতে বিজেপি ও আরএসএসবিদ্বেষী মতাদর্শ বাস্তবায়ন করতে দেব না।’
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে রাম নবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর মধ্যেই গত মঙ্গলবার আসানসোলের ইমাম মাওলানা ইমদাদুল রশিদীর পুত্র সিবতুল্লা রশিদীকে তুলে নেয়া হয়। একদিন পরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এতে হিন্দু-মুসলিম উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। আসানসোলে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সম্ভাবনা দেখা দেয়। বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষে নিহত হয় ৪ জন। কিন্তু ইমাম রশিদীর বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের কারণে সে উত্তেজনা অনেকাংশেই প্রশমিত হয়েছে। তিনি ঘোষণা দেন, ‘কোনো প্রতিহিংসা নয়। প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আর কারো মৃত্যু হলে আমি শহর ছেড়ে চলে যাব। ৩০ বছর ধরে একসঙ্গে রয়েছি আমরা। আমাকে ভালোবেসে থাকলে আর কাউকে যেন এভাবে না মরতে হয়।’
আর মুসলিম ধর্মাবলম্বী তরুণীকে বিয়ে করার অপরাধে ১লা ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে অঙ্কিত সাকসেনা নামে এক হিন্দু যুবককে হত্যা করা হয়। ওই বিয়ে ছেলেপক্ষ মেনে নিলেও বেঁকে বসে মেয়েপক্ষ। তারা এই বিচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। পরে এ নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে অঙ্কিতকে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে মেয়েপক্ষের হাত রয়েছে। কিন্তু বিষয়টি জানার পরও অঙ্কিতের পিতা যশপাল সাকসেনা পুত্র হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার পরিবর্তে শান্তির বার্তা শোনান। মানবতাবাদী এই দুই পিতার মহানুভব সিদ্ধান্তে ভারত ভয়ঙ্কর দাঙ্গার হাত থেকে রক্ষা পায়। রশিদীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে শান্তি ফিরেছে বর্ধমানের আসানসোলে। টানা তিন দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার থেকে শহরের দোকানগুলো খুলতে শুরু করেছে। তবে শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে আধা সামরিক বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দেয়া হলেও রাজ্য সরকার সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে।
এদিকে, দাঙ্গার শিকার আসানসোল শহর পরিদর্শন করেছেন চার সদস্যের বিজেপি প্রতিনিধি দল। এই দলে রয়েছেন বিজেপি’র কেন্দ্রীয় মুখপাত্র বিহারের শাহনেওয়াজ হোসেন, দলের সহ-সভাপতি ও রাজস্থানের সংসদ সদস্য ওম প্রকাশ মাথুর, ঝাড়খণ্ডের সংসদ সদস্য ভি ডি রাম ও পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা রুপা গঙ্গোপাধ্যায়।
No comments