‘ওয়েলকাম টু চায়না’
অরুণাচল
প্রদেশ। চীনের সঙ্গে সীমান্ত তার। ওই সীমান্তে এতদিন কোনো মোবাইল সিগন্যাল
ছিল না। অচল কোনো মোবাইল সেখানে নিয়ে গেলেও তার স্ক্রিনে অকস্মাৎ ভেসে
উঠলে ‘ওয়েলকাম টু চায়না’। স্ক্রিনে যে লেখাগুলো উঠছে তা চীনের মান্দারিন
ভাষায় লেখা। ভারতের ভিতরেই এমন মোবাইল সঙ্কেত নিয়ে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে
ভারতে। অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, সীমান্তের সংকীর্ণ পথ, ভাঙাচোরা
রাস্তা, নির্জন এলাকায় এমন সিগন্যাল পাওয়া যাচ্ছে। এমন কি সেখানে ফোনে
দেখাচ্ছে বেইজিংয়ের সময়, যা ভারতের সময়ের চেয়ে আড়াই ঘন্টা বেশি। ওই
রিপোর্টে বলা হয়েছে, লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বরাবর দেখতে পাবেন
চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) তাতু সামরিক কমপ্লেক্স ছড়িয়ে আছে। এর
মধ্যে রয়েছে তিন তলাবিশিষ্ট ভবনও। মসৃণ সড়কের সাহায্যে সেগুলো একটির সঙ্গে
অন্যটি যুক্ত। এ বিষয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেছেন, ওই এলাকায়
আমাদের কোনো কানেকটিভিটি নেই। সেটা হোক সড়ক বা মোবাইল যোগাযোগ। এর ফলে
সেখানে কাজ করা কঠিন হয়ে উঠছে। একজন সেনা আহত হলে তাকে উদ্ধার করা কষ্টকর।
এক্ষেত্রে একটিই সড়ক আছে। তা হলো তেজু থেকে কিবিতু পর্যন্ত। কিন্তু এ পথটি
বেশির ভাগ সময়ই ভূমিধসে বন্ধ হয়ে থাকে। ফলে চ্যালেঞ্জ অনেক। তিনি বলেন,
চীনের সঙ্গে এই শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্কের সময়ে যদি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে
থাকে তাহলে আমরা সেনা সদস্য ও সরঞ্জাম স্থানান্তর করতে সক্ষম হবো না।
এখানে আমাদের কাজের জন্য সবচেয়ে বড় ঘাটতি হলো সড়ক, ব্রিজ ও এক উপত্যকার
সঙ্গে অন্য উপত্যকার কানেকটিভিটি। এটা সামরিক সরঞ্জাম বা মানবসম্পদের
সমস্যা নয়। পুরো লোহিত উপত্যকায় এই মুহূর্তে কোনো কনক্রিটের সেতু নেই।
এক্ষেত্রে লোহিত নদীর ওপর পায়ে হাঁটা ব্রিজ, যেটার নাম নগি চু তার ওপর দিয়ে
ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে যেতে হয়। লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত
এলএসির ৪০৫৭ কিলোমিটার এলাকার সীমান্তের এই একই ব্যবস্থা। অন্যদিকে চীন তাদের
সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। তারা তিব্বতের শায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলে গড়ে তুলছে
সামরিক স্থাপনা। এর মধ্যে রয়েছে ১৪টি বিমান ঘাঁটি। একটি বিলাসবহুল রেল
নেটওয়ার্ক। ৫৮ হাজার কিলোমিটার সড়ক পথ। এর ফলে তারা দ্রুততায় ভারতের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে।
No comments