আত্মহত্যার নেপথ্যে সরকারি চাকরি না পাওয়ার হতাশা
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকোর্সের শিক্ষার্থী তানভীর রহমান সরকারি চাকরি না
পাওয়ার হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের এমবিএ ভবনের পেছন থেকে তানভীর
রহমান (৩০) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয় শনিবার রাত ৯টার দিকে। ঘটনাস্থল থেকে
তানভীর রহমানের ব্যবহৃত একটি ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। ব্যাগের মধ্যে ৫টি
ঘুমের ওষুধ ও একটি প্রেসক্রিপশনসহ তার প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র পাওয়া
গেছে। তিনি অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সান্ধ্যকালীন
মাস্টার্স কোর্সের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায়। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তানভীর দ্বিতীয়। তার ছোট
বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ধারণা এমবিএ ভবনের ১০তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। আর পরিবারের দাবি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাকরি না পাওয়ার হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, ক্যাম্পাস থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা ছিল। গতকাল দুপুরে পরিবার এসে নিয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ওই শিক্ষার্থী সম্ভবত আত্মহত্যা করেছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
নিহতের স্বজনদের দাবি- তানভীর তিনদিন আগে একটা কোম্পানিতে যোগদান করে। সরকারি চাকরি না পাওয়ায় তার মধ্যে হতাশা ছিল। এ থেকেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। ঘটনার পর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) মর্গের সামনে তানভীরের খালা পরিচয় দেয়া মেহেরুন নেসা নামে একজন বলেন, তানভীর কিছুদিন আগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছে এবং আমার বাসায় থাকতো। প্রত্যেক দিন ভোরে বের হয়ে রাতে বাসায় ফিরতো। দু’দিন আগে সে আমাকে বলে- ‘খালা, আমি বেসরকারি চাকরি চাইনি, আমি সরকারি চাকরির জীবন চেয়েছি। চাকরির বয়সও প্রায় শেষ। এখন কি করবো?’ তখন আমি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করি। এছাড়াও হায়দার আলী পিন্টু নামে তানভীরের মামা পরিচয় দেয়া এক ব্যক্তি বলেন, তানভীর প্রায়ই বলতো, মামা সবখানে এতো ভাল পরীক্ষা দিচ্ছি। কিন্তু, কী কারণে যেন চাকরি পাচ্ছি না। তিনি বলেন, সরকারি চাকরি না পেয়ে তানভীর হতাশ ছিল। আমরা তাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি। বলেছি, তোর আব্বুর বাড়ি আছে, ঢাকাতেও বাড়ি আছে। এত চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু, কোনো বুঝেই আমাদের শেষরক্ষা হলো না।
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ধারণা এমবিএ ভবনের ১০তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। আর পরিবারের দাবি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাকরি না পাওয়ার হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, ক্যাম্পাস থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা ছিল। গতকাল দুপুরে পরিবার এসে নিয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ওই শিক্ষার্থী সম্ভবত আত্মহত্যা করেছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
নিহতের স্বজনদের দাবি- তানভীর তিনদিন আগে একটা কোম্পানিতে যোগদান করে। সরকারি চাকরি না পাওয়ায় তার মধ্যে হতাশা ছিল। এ থেকেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। ঘটনার পর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) মর্গের সামনে তানভীরের খালা পরিচয় দেয়া মেহেরুন নেসা নামে একজন বলেন, তানভীর কিছুদিন আগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছে এবং আমার বাসায় থাকতো। প্রত্যেক দিন ভোরে বের হয়ে রাতে বাসায় ফিরতো। দু’দিন আগে সে আমাকে বলে- ‘খালা, আমি বেসরকারি চাকরি চাইনি, আমি সরকারি চাকরির জীবন চেয়েছি। চাকরির বয়সও প্রায় শেষ। এখন কি করবো?’ তখন আমি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করি। এছাড়াও হায়দার আলী পিন্টু নামে তানভীরের মামা পরিচয় দেয়া এক ব্যক্তি বলেন, তানভীর প্রায়ই বলতো, মামা সবখানে এতো ভাল পরীক্ষা দিচ্ছি। কিন্তু, কী কারণে যেন চাকরি পাচ্ছি না। তিনি বলেন, সরকারি চাকরি না পেয়ে তানভীর হতাশ ছিল। আমরা তাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি। বলেছি, তোর আব্বুর বাড়ি আছে, ঢাকাতেও বাড়ি আছে। এত চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু, কোনো বুঝেই আমাদের শেষরক্ষা হলো না।
No comments