ডাক্তার দেখতে অস্বীকার, পরে মারা গেল শিশুটি
দেরিতে
আসায় হাঁপানি রোগে আক্রান্ত এলি মে নামে একটি শিশুকে দেখতে অস্বীকার করেন
চিকিৎসক। আর সে রাতেই হাসপাতালে মারা গেল শিশুটি। পাঁচ বছরের শিশুটির
হাসপাতালে আসতে দেরি হয়েছিল ৫ মিনিট। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাতেই তাকে
ফিরিয়ে দেন।
এমনকি তার রোগ যে মারাত্মক পর্যায়ের, সেই নথিপত্র চিকিৎসকের
কাছে থাকা সত্ত্বেও তিনি শিশুটিকে দেখলেন না। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যের
নিউপোর্টের গ্রাঞ্জ ক্লিনিকে। এ নিয়ে তদন্তে নিয়োজিত বিচারক বলেন, শিশুটিকে
জীবন রক্ষাকারী ওষুধ দেয়ার সুযোগ নষ্ট করা হয়েছে। এলি মের পরিবার জানায়,
তারা ভেঙে পড়েছেন। হতাশ হয়েছেন। কারণ তদন্তে চিকিৎসকের অবহেলার প্রমাণ
পাওয়া যায়নি। বিচারক বলেন, তাকে চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুতরও ব্যর্থতা
রয়েছে। শিশুটি সিস্টেমের ফাঁদে পড়েছিল। তিনি বলেন, যেহেতু মামলাটি অবহেলার,
সে হিসেবে এখানে কোনো অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। শিশুটির মা শ্যানিস
ক্ল্যার্ক সোমবার বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার মেয়েকে নিয়ে যখন আসার
কথা, তখন তিনি আসতে পারেননি। ডা. জোয়ান রো তাকে দেখার কথা ছিল। কিন্তু তার
কন্যা মারাত্মকভাবে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছিল, সে হাঁটতে পারছিল না। চিকিৎসক
তাকে বিকাল ৫টায় দেখার কথা ছিল। ডা. জোয়ান রো ১০ মিনিট বিলম্ব নামে একটি
নীতি মেনে চলেন।
সে অনুসারে যে রোগী ১০ মিনিট পর আসবে, তাকে তিনি দেখবেন
না। হাসপাতালে এসে অভর্থ্যনার সামনে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে এবং ৫টা ১০
থেকে ৫টা ১৮ মিনিটের মধ্যে তিনি ডাক্তারের চেম্বারের সামনের লাইনে গিয়ে
দাঁড়ান। বাসায় ফেরার আগে এলি মে জানতে চাইল- ডাক্তার কেন আমাকে দেখবেন না?
এলি রাত ৮টার সময় ঘুমাতে যায়। কিন্তু রাত সাড়ে ১০টার দিকে সে আবার জোরে
জোরে শ্বাস নিতে শুরু করে। তার হাত-পা মুখমণ্ডল নীল হয়ে যায়। এর পর রয়েল
জেওয়েন্ট হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ পরেই মারা যায় এলি মে।
No comments