দেশে সুশাসনের অভাব রয়েছে - দুদক চেয়ারম্যান
দেশে
সুশাসন নিশ্চিত করা না গেলে দুর্নীতি বন্ধ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন ও
সুশাসনে দেশ এগোচ্ছে। তবে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নয়। দেশে সুশাসনের অভাব রয়েছে-
এটি বলতেই হবে। দুর্নীতি বন্ধে অবশ্যই সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল
পৃথক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক প্রধান কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মিশন প্রধানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুর্নীতি, সুশাসন ও আর্থিক খাতের বিভিন্ন সংস্কারমূলক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার সময় চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকৃত ৮টি মানিলন্ডারিং মামলা বিচারিক আদালতে রায় হয়েছে। প্রতিটি মামলায়ই আসামিদের সাজা হয়েছে। কিন্তু ২০১৫ সালে মানিলন্ডারিং আইনটি সংশোধনের ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন কেবল সরকারি কর্মকর্তাদের মানিলন্ডারিং বিষয়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত করতে পারে। তারপরও কমিশন বেসরকারি ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশন শুধু ছোট দুর্নীতিবাজদের ধরছে না, বড় দুর্নীতিবাজ ধরা হয়েছে তেমনি আরো বড় দুর্নীতিবাজদের ধরার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, কোনো দল কিংবা কোনো গোষ্ঠীর চাপে কমিশন একটি মামলাও প্রত্যাহার করেনি এবং ভবিষ্যতেও কোনো মামলা প্রত্যাহার করা হবে না। সরকারি কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বিদ্যমান বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে কর্মকর্তাদের দক্ষতা মূল্যায়নের কোনো সুযোগ নেই। তাই প্রতিটি কর্মকর্তার দক্ষতা মূল্যায়নের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন মূল্যায়ন পদ্ধতি কার্যকর করা সমীচীন। তিনি বলেন, আমাদের সকলের মানসিকতার পরিবর্তনের প্রয়োজন। মানসিকতার পরিবর্তন না হলে পদ্ধতিগত সংস্কার সম্ভব নয়। আবার পদ্ধতিগত সংস্কার ছাড়া কোনো অবস্থাতেই সুশাসন নিশ্চিত করা যাবে না। দেশের সরকারি অধিকাংশ বিষয়ই নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিষ্পত্তি হয় না জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন এটাই এখন নেতিবাচক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। এটা বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। ব্যাংকিং খাত নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে কমিশন বেশ কিছু মামলা করেছে। বিগত দুই বছরে বেশ কিছু ব্যাংক কর্মকর্তাকে আইন আমলে নেয়া হয়েছে। অধিকাংশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদগুলোও পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের নিকট যে তথ্য আছে তাতে মনে হচ্ছে, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, যে কোনো সংস্কার বা নীতিমালা সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রণয়ন করা উচিত। তা না হলে এ সকল নীতিমালা বা সংস্কার কাগজেই থেকে যায়। বাস্তবায়িত হয় না। এদিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ‘সোনাক-স্বজন, ইয়েস-ইয়েস ফ্রেন্ডস, ওয়াই প্যাক’ জাতীয় সম্মেলনে আলোচনায় অংশ নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান একই বিষয়ে কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উচ্চপর্যায়ে দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না- এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ছোট গাছ যেমন উপড়ে ফেলা সহজ, বড় গাছ ততটা সহজে ফেলা যায় না। আমরা ছোট, তারা বড়। বড়দের আইনের আওতায় আনতে পারিনি, এটা সম্পূর্ণ সত্য নয়। তবে প্রত্যাশার সঙ্গে অর্জন ও প্রাপ্তি খারাপ, সেটি আমরা বুঝতে পারি। অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য দেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
দুদক প্রধান কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মিশন প্রধানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুর্নীতি, সুশাসন ও আর্থিক খাতের বিভিন্ন সংস্কারমূলক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার সময় চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকৃত ৮টি মানিলন্ডারিং মামলা বিচারিক আদালতে রায় হয়েছে। প্রতিটি মামলায়ই আসামিদের সাজা হয়েছে। কিন্তু ২০১৫ সালে মানিলন্ডারিং আইনটি সংশোধনের ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন কেবল সরকারি কর্মকর্তাদের মানিলন্ডারিং বিষয়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত করতে পারে। তারপরও কমিশন বেসরকারি ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশন শুধু ছোট দুর্নীতিবাজদের ধরছে না, বড় দুর্নীতিবাজ ধরা হয়েছে তেমনি আরো বড় দুর্নীতিবাজদের ধরার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, কোনো দল কিংবা কোনো গোষ্ঠীর চাপে কমিশন একটি মামলাও প্রত্যাহার করেনি এবং ভবিষ্যতেও কোনো মামলা প্রত্যাহার করা হবে না। সরকারি কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বিদ্যমান বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে কর্মকর্তাদের দক্ষতা মূল্যায়নের কোনো সুযোগ নেই। তাই প্রতিটি কর্মকর্তার দক্ষতা মূল্যায়নের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন মূল্যায়ন পদ্ধতি কার্যকর করা সমীচীন। তিনি বলেন, আমাদের সকলের মানসিকতার পরিবর্তনের প্রয়োজন। মানসিকতার পরিবর্তন না হলে পদ্ধতিগত সংস্কার সম্ভব নয়। আবার পদ্ধতিগত সংস্কার ছাড়া কোনো অবস্থাতেই সুশাসন নিশ্চিত করা যাবে না। দেশের সরকারি অধিকাংশ বিষয়ই নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিষ্পত্তি হয় না জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন এটাই এখন নেতিবাচক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। এটা বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। ব্যাংকিং খাত নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে কমিশন বেশ কিছু মামলা করেছে। বিগত দুই বছরে বেশ কিছু ব্যাংক কর্মকর্তাকে আইন আমলে নেয়া হয়েছে। অধিকাংশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদগুলোও পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের নিকট যে তথ্য আছে তাতে মনে হচ্ছে, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, যে কোনো সংস্কার বা নীতিমালা সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রণয়ন করা উচিত। তা না হলে এ সকল নীতিমালা বা সংস্কার কাগজেই থেকে যায়। বাস্তবায়িত হয় না। এদিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ‘সোনাক-স্বজন, ইয়েস-ইয়েস ফ্রেন্ডস, ওয়াই প্যাক’ জাতীয় সম্মেলনে আলোচনায় অংশ নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান একই বিষয়ে কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উচ্চপর্যায়ে দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না- এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ছোট গাছ যেমন উপড়ে ফেলা সহজ, বড় গাছ ততটা সহজে ফেলা যায় না। আমরা ছোট, তারা বড়। বড়দের আইনের আওতায় আনতে পারিনি, এটা সম্পূর্ণ সত্য নয়। তবে প্রত্যাশার সঙ্গে অর্জন ও প্রাপ্তি খারাপ, সেটি আমরা বুঝতে পারি। অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য দেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
No comments