পায়রা বন্দরে পণ্য খালাস শুরু আজ
দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্রবন্দরের বহির্নোঙরে বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে আজ সোমবার (১ আগস্ট) পণ্য খালাসের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে এ বন্দরের কার্যক্রম শুরুর খবরে দক্ষিণ উপকূলে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি ফরচুন বার্ড ৫৩ হাজার টন পণ্য নিয়ে রোববার রামনাবাদ চ্যানেলের বহির্নোঙরে পৌঁছবে। এবং সোমবার থেকেই লাইটারেজ অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে। আর এর ফলে বন্দরটি চালুর মধ্য দিয়ে নিরাপদ বাল্কপণ্যাদি নদীপথে পরিবহনের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছে। খবর নির্ভরযোগ্য সূত্রের। দক্ষিণ উপকূলীয় সাগরপারের জনপদের অর্থনৈতিক জীবনকে যেন পাল্টে দিয়েছে এ বন্দর। বন্দরকে ঘিরে প্রকল্প এলাকায় এখনও চলছে বিরামহীন উন্নয়ন কার্যক্রম। ইতিমধ্যে পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্প এলাকা পর্যন্ত ইটবিছানো সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা সদর কলাপাড়া থেকে সড়ক পথে রয়েছে দ্বিমুখী যোগাযোগ সুবিধা। জেলা সদর পটুয়াখালী থেকে পর্যটন শহর কলাপাড়া উপজেলা সদর হয়ে সোজা গাড়িতে মানুষ যেতে পারছে পায়রা বন্দর প্রকল্প এলাকায়। প্রতিদিন বিকালে দর্শনার্র্থীর ভিড় লেগে থাকে পায়রা বন্দরে। প্রকল্প এলাকায় টার্মিনাল স্থাপন করা হয়েছে। সৌরবিদ্যুৎ সিস্টেম চালু করা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছে। প্রশাসনিক ভবন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। নিরাপদ পানির সরবরাহে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন সাইদুর রহমান জানান, রামনাবাদ মোহনা থেকে কাজল, তেঁতুলিয়া নদী হয়ে কালীগঞ্জ পর্যন্ত সমুদ্রের (নৌ-পথের) গভীরতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। অধিকাংশ রুটের গভীরতা সাত থেকে ১৫ মিটার। তবে মাত্র চালিতাবুনিয়াসহ কয়েকটি এলাকায় খনন কাজ করতে হবে। এ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন, অন্য বন্দরে জাহাজ চলাচলে যেমন জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করতে হয়। পায়রা বন্দরের সঙ্গে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে এ ধরনের সমস্যা নেই। গভীরতা বেশি থাকায় এ রুটে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ চলাচলের সুযোগ রয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে কাউয়ারচরে বাতিঘর স্থাপনের কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে। সাগর মোহনা থেকে রামনাবাদ চ্যানেল পর্যন্ত নদীতে সিগন্যালিং বয়া এবং কিনারে সিগন্যাল বাতি স্থাপন করা হয়েছে। পায়রা বন্দর থেকে কুয়াকাটাগামী মহাসড়কের রজপাড়া পর্যন্ত চার লেনের মূল সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ বছর লালুয়ার চারিপাড়াসহ আশপাশ এলাকার প্রায় সাত হাজার একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চূড়ান্তের পথে। এ জন্য এ প্রকল্পের জন্য ৩শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। চারিপাড়ায় মূলবন্দরের কাজ শুরু করতে বিদেশী বিশেষজ্ঞ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বন্দর চেয়ারম্যান সূত্রে জানা গেছে, এই বন্দর এলাকা এক্সক্লুসিভ জোনে পরিণত হবে। এছাড়া নৌবাহিনীকে আধুনিক ও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে খুব শিগগিরই সাবমেরিন সংযোজিত হতে যাচ্ছে। দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দরের পাশে স্থাপিত এই স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আধুনিক নৌঘাঁটিতে নৌ কমান্ডো, এভিয়েশন, জাহাজ ও সাবমেরিন বার্থিং সুবিধা থাকবে। এই ঘাঁটি দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্যবর্তী হওয়ায় এখান থেকে নেভাল এভিয়েশান কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশের বিস্তৃত সমুদ্র এলাকায় নজরদারি রক্ষা করা সম্ভব হবে। তাছাড়া সমুদ্রে মোতায়েনকৃত জাহাজে লজিস্টিকস সুবিধা প্রদান সহজতর হবে। এই ঘাঁটির মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অপরাধ দমনে নৌবাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে পারবে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে সাধারণ জনগণের জানমাল রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া নৌবাহিনী তার নিজস্ব বিভিন্ন অপারেশনাল ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে এ অঞ্চলের জনগণের জন্য সরকারের গৃহীত আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতেও সক্ষম হবে। বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের নামানুসারে প্রায় ৫০০ একর জমির ওপর স্থাপিত এই ঘাঁটির নামকরণ করা হয়েছে ‘বানৌজা শের-ই-বাংলা’। বর্তমানে পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় এখন বিরামহীনভাবে চলছে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন সাইদুর রহমান জানান, রামনাবাদ মোহনা থেকে কাজল, তেঁতুলিয়া নদী হয়ে কালীগঞ্জ পর্যন্ত সমুদ্রের (নৌ-পথের) গভীরতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। অধিকাংশ রুটের গভীরতা সাত থেকে ১৫ মিটার। তবে মাত্র চালিতাবুনিয়াসহ কয়েকটি এলাকায় খনন কাজ করতে হবে। এ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন, অন্য বন্দরে জাহাজ চলাচলে যেমন জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করতে হয়। পায়রা বন্দরের সঙ্গে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে এ ধরনের সমস্যা নেই। গভীরতা বেশি থাকায় এ রুটে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ চলাচলের সুযোগ রয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে কাউয়ারচরে বাতিঘর স্থাপনের কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে। সাগর মোহনা থেকে রামনাবাদ চ্যানেল পর্যন্ত নদীতে সিগন্যালিং বয়া এবং কিনারে সিগন্যাল বাতি স্থাপন করা হয়েছে। পায়রা বন্দর থেকে কুয়াকাটাগামী মহাসড়কের রজপাড়া পর্যন্ত চার লেনের মূল সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ বছর লালুয়ার চারিপাড়াসহ আশপাশ এলাকার প্রায় সাত হাজার একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চূড়ান্তের পথে। এ জন্য এ প্রকল্পের জন্য ৩শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। চারিপাড়ায় মূলবন্দরের কাজ শুরু করতে বিদেশী বিশেষজ্ঞ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বন্দর চেয়ারম্যান সূত্রে জানা গেছে, এই বন্দর এলাকা এক্সক্লুসিভ জোনে পরিণত হবে। এছাড়া নৌবাহিনীকে আধুনিক ও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে খুব শিগগিরই সাবমেরিন সংযোজিত হতে যাচ্ছে। দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দরের পাশে স্থাপিত এই স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আধুনিক নৌঘাঁটিতে নৌ কমান্ডো, এভিয়েশন, জাহাজ ও সাবমেরিন বার্থিং সুবিধা থাকবে। এই ঘাঁটি দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্যবর্তী হওয়ায় এখান থেকে নেভাল এভিয়েশান কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশের বিস্তৃত সমুদ্র এলাকায় নজরদারি রক্ষা করা সম্ভব হবে। তাছাড়া সমুদ্রে মোতায়েনকৃত জাহাজে লজিস্টিকস সুবিধা প্রদান সহজতর হবে। এই ঘাঁটির মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অপরাধ দমনে নৌবাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে পারবে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে সাধারণ জনগণের জানমাল রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া নৌবাহিনী তার নিজস্ব বিভিন্ন অপারেশনাল ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে এ অঞ্চলের জনগণের জন্য সরকারের গৃহীত আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতেও সক্ষম হবে। বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের নামানুসারে প্রায় ৫০০ একর জমির ওপর স্থাপিত এই ঘাঁটির নামকরণ করা হয়েছে ‘বানৌজা শের-ই-বাংলা’। বর্তমানে পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় এখন বিরামহীনভাবে চলছে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড।
No comments