কলকাতার অভিনেতা পীযূষ আর নেই
প্রয়াত অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায় |
অবশেষে
মৃত্যুর কাছে হার মানলেন কলকাতার টিভি, মঞ্চ ও চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত
অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায় (৫০)। টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে
দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে শনিবার দিবাগত রাত দুই ৫৫
মিনিটে তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
দুর্গাপূজার সপ্তমীর সন্ধ্যায় নিজেই গাড়ি চালিয়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে হাওড়ার দিকে ফিরছিলেন পীযূষ। গাড়িতে তাঁর পাশের আসনেই ছিলেন নৃত্যশিল্পী মালবিকা সেন। সাঁতরাগাছি সেতুতে একটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁদের গাড়িটি একেবারে দুমড়েমুচড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মালবিকা সেনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি ঘটতে থাকে। এ দুর্ঘটনায় পীযুষ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডান হাত, ডান পা এবং বুকের ডানদিকের পাঁচটি পাঁজর ভেঙে যায়। মুখের দু’পাশে ও কপালে মারাত্মক আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। দুর্ঘটনায় তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং হাড় ভেঙে রক্তে অস্থিমজ্জা মিশে যাওয়ার কারণে পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের রক্তে সংক্রমণ বেড়ে যায়।
গত চার দিন ধরেই পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত সংকটজনক। চিকিৎসকেরা শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, পীযূষকে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস নেওয়ার যন্ত্রের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সে সময় তাঁরা জানিয়েছিলেন, ভেন্টিলেশনে থাকা সত্ত্বেও তাঁর খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। রক্তচাপ যথেষ্ট কম। সঙ্গে জ্বর। যকৃৎসহ তাঁর শরীরের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অঙ্গও ভালোভাবে কাজ করছে না। সার্বিকভাবে চিকিৎসায় খুব একটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে, আজ রোববার সকালেই ময়নাতদন্তের জন্য পীযুষ গঙ্গোপাধ্যায়ের মরদেহ কলকাতা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রয়াত এই অভিনেতার মরদেহ তাঁর বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা। এরপর সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে।
কলকাতার সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে।
পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ পশ্চিমবঙ্গের টিভি, মঞ্চ আর চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও ব্যক্তিত্বরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার।
দুর্গাপূজার সপ্তমীর সন্ধ্যায় নিজেই গাড়ি চালিয়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে হাওড়ার দিকে ফিরছিলেন পীযূষ। গাড়িতে তাঁর পাশের আসনেই ছিলেন নৃত্যশিল্পী মালবিকা সেন। সাঁতরাগাছি সেতুতে একটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁদের গাড়িটি একেবারে দুমড়েমুচড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মালবিকা সেনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি ঘটতে থাকে। এ দুর্ঘটনায় পীযুষ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডান হাত, ডান পা এবং বুকের ডানদিকের পাঁচটি পাঁজর ভেঙে যায়। মুখের দু’পাশে ও কপালে মারাত্মক আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। দুর্ঘটনায় তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং হাড় ভেঙে রক্তে অস্থিমজ্জা মিশে যাওয়ার কারণে পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের রক্তে সংক্রমণ বেড়ে যায়।
গত চার দিন ধরেই পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত সংকটজনক। চিকিৎসকেরা শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, পীযূষকে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস নেওয়ার যন্ত্রের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সে সময় তাঁরা জানিয়েছিলেন, ভেন্টিলেশনে থাকা সত্ত্বেও তাঁর খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। রক্তচাপ যথেষ্ট কম। সঙ্গে জ্বর। যকৃৎসহ তাঁর শরীরের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অঙ্গও ভালোভাবে কাজ করছে না। সার্বিকভাবে চিকিৎসায় খুব একটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে, আজ রোববার সকালেই ময়নাতদন্তের জন্য পীযুষ গঙ্গোপাধ্যায়ের মরদেহ কলকাতা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রয়াত এই অভিনেতার মরদেহ তাঁর বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা। এরপর সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে।
কলকাতার সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে।
পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ পশ্চিমবঙ্গের টিভি, মঞ্চ আর চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও ব্যক্তিত্বরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার।
No comments