লোহার টুকরাই সাজ্জাদের মৃত্যুর কারণ by কাজী আনিছ
সাজ্জাদ হোসেন |
পুরান ঢাকার হোসনি দালানের সামনে বোমা হামলার ঘটনায় নিহত কিশোর সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সানজুর (১৫) শরীরে আটটি স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে একটি স্প্লিন্টার পিঠ দিয়ে ঢুকে ফুসফসে গিয়ে লাগে। এতে ফুসফুসে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
সাজ্জাদের লাশের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
সোহেল মাহমুদের ভাষ্য, সাজ্জাদের শরীরে আটটি স্প্লিন্টার বিদ্ধ হলেও ময়নাতদন্তের সময় তার শরীরে লোহা ও প্লাস্টিকের দুটি ছোট টুকরা পাওয়া গেছে। আর ওই লোহার টুকরাটি তার মৃত্যুর কারণ। এটি পিঠ দিয়ে ঢুকে ফুসফুসে আঘাত করেছে।
মাহমুদ বলেন, লোহা ও প্লাস্টিকের টুকরো দুটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত করে তারা বের করবে, ওই দুটি টুকরো কোন ধরনের বিস্ফোরকের অংশ।
আজ শনিবার বিকেলে মুঠোফোনে সাজ্জাদের ভাই মো. রাশেদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা পুরান ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা। তবে ওই বাসা ভাড়া দিয়ে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কেরানীগঞ্জে শুভাঢ্যা উত্তরপাড়ায় বসবাস করছেন। পাঁচ ভাই আর দুই বোনের মধ্যে সাজ্জাদ সবার ছোট। কেরানীগঞ্জের স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত সে। সাজ্জাদসহ পরিবারের সাত সদস্য গতকাল তাজিয়া মিছিলে অংশ নিতে গিয়েছিল।
রাশেদ বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা পরিবারের অনেকেই তাজিয়া মিছিলে যোগ দিতে হোসনি দালানে যাই। গতকাল রাত ১১টার দিকে সেখানে গিয়ে আমরা মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। লাইন ধরছিলাম। সাজ্জাদ ছিল লাইনের শেষ প্রান্তে। হঠাৎ বিকট শব্দ। যে যার মতো দৌড়ে কিছু দূর চলে যাই। আবার ফিরে এসে দেখি, সাজ্জাদ পড়ে আছে, অজ্ঞান। শরীরে রক্ত। নিজেই তারে কোলে নেই। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্স আসলে সেখানে উঠাইয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
সাজ্জাদের লাশের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
সোহেল মাহমুদের ভাষ্য, সাজ্জাদের শরীরে আটটি স্প্লিন্টার বিদ্ধ হলেও ময়নাতদন্তের সময় তার শরীরে লোহা ও প্লাস্টিকের দুটি ছোট টুকরা পাওয়া গেছে। আর ওই লোহার টুকরাটি তার মৃত্যুর কারণ। এটি পিঠ দিয়ে ঢুকে ফুসফুসে আঘাত করেছে।
মাহমুদ বলেন, লোহা ও প্লাস্টিকের টুকরো দুটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত করে তারা বের করবে, ওই দুটি টুকরো কোন ধরনের বিস্ফোরকের অংশ।
আজ শনিবার বিকেলে মুঠোফোনে সাজ্জাদের ভাই মো. রাশেদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা পুরান ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা। তবে ওই বাসা ভাড়া দিয়ে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কেরানীগঞ্জে শুভাঢ্যা উত্তরপাড়ায় বসবাস করছেন। পাঁচ ভাই আর দুই বোনের মধ্যে সাজ্জাদ সবার ছোট। কেরানীগঞ্জের স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত সে। সাজ্জাদসহ পরিবারের সাত সদস্য গতকাল তাজিয়া মিছিলে অংশ নিতে গিয়েছিল।
রাশেদ বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা পরিবারের অনেকেই তাজিয়া মিছিলে যোগ দিতে হোসনি দালানে যাই। গতকাল রাত ১১টার দিকে সেখানে গিয়ে আমরা মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। লাইন ধরছিলাম। সাজ্জাদ ছিল লাইনের শেষ প্রান্তে। হঠাৎ বিকট শব্দ। যে যার মতো দৌড়ে কিছু দূর চলে যাই। আবার ফিরে এসে দেখি, সাজ্জাদ পড়ে আছে, অজ্ঞান। শরীরে রক্ত। নিজেই তারে কোলে নেই। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্স আসলে সেখানে উঠাইয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
No comments