সৌদি বাদশাহ সালমানকে চান না তাঁর আট ছেলে
সৌদি আরবের বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ |
সৌদি
আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদকে উৎখাত করে তাঁর ভাইকে বসাতে
চান বাদশাহরই আট ছেলে। শনিবার বাদশাহর বিরুদ্ধাচরণকারী একজন প্রিন্সের বরাত
দিয়ে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদশাহ সালমানের বদলে প্রিন্স
আহমেদ বিন আবদুল আজিজকে ক্ষমতায় চান তাঁরা।
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ না করে ওই সৌদি প্রিন্স দাবি করেন, তাঁদের এই পরিবর্তন চাওয়ার পেছনে দেশটির শক্তিশালী উলামা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন রয়েছে। দেশটির বর্তমান বাদশাহ সালমানকে সরিয়ে তাঁরা প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজকে সিংহাসনে বসাতে চান। এর আগে প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজ দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নিজেকে প্রয়াত বাদশাহ ইবনে সৌদের নাতি পরিচয় দিয়ে ওই প্রিন্স বলেন, ‘প্রভাবশালী উলামা পরিষদের সদস্য ও ধার্মিক মানুষেরা প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজকে বাদশাহ হিসেবে দেখতে চান। তবে সবাই যে এ দলে, তা নয়। তবে ৭৫ শতাংশই তাঁকে চান।’
সৌদি আরবে উলামা পরিষদের সমর্থন দেশটির শাসক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ওই প্রিন্স বলেন, ১৯৬৪ সালে বাদশাহ সৌদের আমলে ঠিক এমনটাই ঘটেছিল। রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য ও উলামা পরিষদ তাঁর প্রতি সমর্থন ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। এত দিন পর হয়তো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে।
ওই প্রিন্স বলেন, ‘বাদশাহ সৌদের মতো যদি বাদশাহ সালমান দেশ ত্যাগ করেন, তাহলে দেশে ও দেশের বাইরে তিনি সম্মানিত ব্যক্তি হয়ে থাকবেন। তাঁর পরিবর্তে যদি প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজ বাদশাহর আসনে অভিষিক্ত হন, তাহলে তিনি শক্ত হাতে দেশ পরিচালনা করবেন। দেশের অর্থনীতি, তেল, সশস্ত্র বাহিনী, জাতীয় নিরাপত্তা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে সব দায়িত্বই তিনি পালন করবেন। এ ছাড়া জুয়াখেলা, মদ ও নারী সংক্রান্ত কোনো কলঙ্ক নেই তাঁর।’
বাদশাহ সালমান আলঝেইমারে আক্রান্ত। এ অবস্থায় সম্প্রতি মক্কায় পরপর দুবার ঘটা দুর্ঘটনা ও ইয়েমেনের যুদ্ধে সৌদি আরবের ভূমিকায় বাদশাহর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া তেলের দর কমে যাওয়ায় দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। এ কারণে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সৌদি আরবকে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছে।
সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর তাঁর সৎভাই সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ (৭৯) দেশটির নতুন বাদশাহ হন। প্রায় ৫০ বছর রিয়াদের গভর্নর ছিলেন সালমান। ১৯৩৫ সালর ৩১ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া সালমান সৌদি আরবে রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজিজ বিন সৌদের ২৫ তম সন্তান। তাঁর মা হাসসা বিন আহমেদ আল সৌদারির সাত সন্তানের অন্যতম সালমান। তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরবের বাদশাহ হওয়ার পর আবদুল আজিজের ষষ্ঠ সন্তান তিনি। মাত্র ২০ বছর বয়সে সালমান রিয়াদ প্রদেশের গভর্নর হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০১১ সালে ভাই প্রিন্স সুলতানের মৃত্যুর পর সালমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১২ সালে রাজ প্রাসাদে তাঁর পূর্বের উত্তরসূরি প্রিন্স নাইফের মৃত্যুর পর তাঁকে পরবর্তী বাদশাহ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ না করে ওই সৌদি প্রিন্স দাবি করেন, তাঁদের এই পরিবর্তন চাওয়ার পেছনে দেশটির শক্তিশালী উলামা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন রয়েছে। দেশটির বর্তমান বাদশাহ সালমানকে সরিয়ে তাঁরা প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজকে সিংহাসনে বসাতে চান। এর আগে প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজ দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নিজেকে প্রয়াত বাদশাহ ইবনে সৌদের নাতি পরিচয় দিয়ে ওই প্রিন্স বলেন, ‘প্রভাবশালী উলামা পরিষদের সদস্য ও ধার্মিক মানুষেরা প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজকে বাদশাহ হিসেবে দেখতে চান। তবে সবাই যে এ দলে, তা নয়। তবে ৭৫ শতাংশই তাঁকে চান।’
সৌদি আরবে উলামা পরিষদের সমর্থন দেশটির শাসক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ওই প্রিন্স বলেন, ১৯৬৪ সালে বাদশাহ সৌদের আমলে ঠিক এমনটাই ঘটেছিল। রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য ও উলামা পরিষদ তাঁর প্রতি সমর্থন ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। এত দিন পর হয়তো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে।
ওই প্রিন্স বলেন, ‘বাদশাহ সৌদের মতো যদি বাদশাহ সালমান দেশ ত্যাগ করেন, তাহলে দেশে ও দেশের বাইরে তিনি সম্মানিত ব্যক্তি হয়ে থাকবেন। তাঁর পরিবর্তে যদি প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজ বাদশাহর আসনে অভিষিক্ত হন, তাহলে তিনি শক্ত হাতে দেশ পরিচালনা করবেন। দেশের অর্থনীতি, তেল, সশস্ত্র বাহিনী, জাতীয় নিরাপত্তা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে সব দায়িত্বই তিনি পালন করবেন। এ ছাড়া জুয়াখেলা, মদ ও নারী সংক্রান্ত কোনো কলঙ্ক নেই তাঁর।’
বাদশাহ সালমান আলঝেইমারে আক্রান্ত। এ অবস্থায় সম্প্রতি মক্কায় পরপর দুবার ঘটা দুর্ঘটনা ও ইয়েমেনের যুদ্ধে সৌদি আরবের ভূমিকায় বাদশাহর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া তেলের দর কমে যাওয়ায় দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। এ কারণে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সৌদি আরবকে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছে।
সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর তাঁর সৎভাই সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ (৭৯) দেশটির নতুন বাদশাহ হন। প্রায় ৫০ বছর রিয়াদের গভর্নর ছিলেন সালমান। ১৯৩৫ সালর ৩১ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া সালমান সৌদি আরবে রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজিজ বিন সৌদের ২৫ তম সন্তান। তাঁর মা হাসসা বিন আহমেদ আল সৌদারির সাত সন্তানের অন্যতম সালমান। তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরবের বাদশাহ হওয়ার পর আবদুল আজিজের ষষ্ঠ সন্তান তিনি। মাত্র ২০ বছর বয়সে সালমান রিয়াদ প্রদেশের গভর্নর হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০১১ সালে ভাই প্রিন্স সুলতানের মৃত্যুর পর সালমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১২ সালে রাজ প্রাসাদে তাঁর পূর্বের উত্তরসূরি প্রিন্স নাইফের মৃত্যুর পর তাঁকে পরবর্তী বাদশাহ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
No comments