আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যেতে তোড়জোড় মুজিব-সুমনের
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া আমার ওয়ার্ডের বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক কাশেম মিয়াকে হত্যার মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে হয়রানি এবং মারধর করেছেন মুজিব এবং সুমন। তাদের অত্যাচারে তখন এলাকা ছাড়তেও বাধ্য হন তিনি। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে তারা এমন অনেকের সঙ্গেই হামলা, মামলা এবং চাঁদাবাজি করে বেড়াতেন। অথচ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই মুজিব আর সুমন এখন বিএনপি সাজার তোড়জোড় চালাচ্ছেন। আমি একজন বিএনপিকর্মী হিসেবে দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে অনুরোধ করবো- এই মুজিব এবং সুমনকে যেন কোনোভাবেই বিএনপিতে স্থান না দেয়া হয়। এই মুজিব এবং সুমনের বিরুদ্ধে অত্যাচারের বেশ কিছু অভিযোগ পান কালমা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. ফারুক মাল। ওইসব অভিযোগের বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে ফারুক মালকেও নানাভাবে হয়রানি করেন মুজিব এবং সুমন। ফারুক মাল জানান, মানুষের কাছে চাঁদাবাজি, সুদের কারবার ও ব্লাকমেইলিং ছিল তাদের পেশা। এসবের টাকায় মুজিব এবং সুমন এলাকায় লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে সুরম্য বাড়ি করেছেন। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর বিচার করার দাবি জানাচ্ছি। অভিযোগের ব্যাপারে মো. সুমন বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে আমার ওপর অনেক হামলা এবং অত্যাচার চালানো হয়েছে। যার জন্য একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। তবে আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে সবগুলোই ভিত্তিহীন। অন্যদিকে মুজিবের বিরুদ্ধে হামলা, চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, আমি কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতি করিনি। তবে আমার চলাফেরা ছিল সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিনের সঙ্গে। কারণ তিনি আমাকে ভাই ডেকেছেন। তবে যেই রতন অভিযোগ করেছেন, তিনি এবং তার ছেলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন।
No comments