ভারতে শিশু ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
ভারতে
শিশু ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। শনিবার এ শাস্তির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিল
পাস করার পর প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্দ এই অর্ডিন্যান্সে স্বাক্ষর
করেছেনরোববার। এ শাস্তি গতকাল থেকেই কার্যকর হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি
নিউজ। এতে বলা হয়েছে, যদি ১২ বছর বয়স পর্যন্ত কোনো শিশুকে কেউ ধর্ষণের দায়ে
অভিযুক্ত হয় তাহলে এ অর্ডিন্যান্সের অধীনে তাকে দেয়া হবে মৃত্যুদণ্ড। এ
বিধান কার্যকর হবে রোববার থেকেই। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে এই অর্ডিন্যান্স পাস হয়।
যদি ১৬ বছরের নিচে কোনো বালিকাকে ধর্ষণের জন্য কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে
তার সর্বনিম্ন শাস্তি ১০ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করার কথা বলা হয়েছে। যা
বর্ধিত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত করা যাবে। ১২ বছর বয়সের নিচের কোনো
বালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হলে ধর্ষকের সর্বনিম্ন জেল ২০ বছর করার কথা বলা
হয়েছে। এ ছাড়া তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে করার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি একটি ধর্ষণ মামলা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তার পরেই এমন
অর্ডিন্যান্স জারি হলো ভারতে। এর আগে যৌন সহিংসতা থেকে শিশুকে সুরক্ষা
বিষয়ক আইনের অধীনে একজন ধর্ষক বা যৌন নিপীড়নকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর সর্বনিম্ন শাস্তি ছিল ৭ বছরের জেল। এসব আইন
পরিবর্তনের কথা শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টকে অবহিত করে ভারত সরকার। তারা
জানায়, ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। তাতে ধর্ষকের জন্য
মৃত্যুদণ্ড রাখা হচ্ছে। ওদিকে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে নয়াদিল্লিতে নির্ভয়া
ধর্ষণ ঘটনার পর ধর্ষণ সংক্রান্ত ফৌজদারি আইনকে সংশোধন করা হয়।
জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়াকাণ্ডের পরই ধর্ষণের শাস্তির ক্ষেত্রে আইনের বদল
আনার জন্য গত সপ্তাহেই প্রস্তাব রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন
মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। এ দিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে শিশু ধর্ষণের
চূড়ান্ত শাস্তি কী হতে পারে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। শেষমেশ,
মৃত্যুদণ্ডতেই সিলমোহর দিয়ে দেয় মন্ত্রিসভা। অর্ডিন্যান্সটি গতকাল
প্রেসিডেন্ট অনুমোদন করেছেন।
No comments