অদ্ভুত উটের পিঠে ঢাবি প্রশাসন by সাজেদুল হক
ইতিহাসের
সব পিঠই দেখা আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। তবে অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের
নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে রীতিমতো বিস্ময় তৈরি হয়েছে। গত দুই
সপ্তাহে প্রতিদিনই কোনো না কোনো নাটকীয়তার জন্ম দিচ্ছে প্রশাসন। কেউ কেউ
বলছেন, এতো রীতিমতো তামাশা। আর এতে ফ্রন্টলাইনেই রয়েছেন ভিসি অধ্যাপক
আখতারুজ্জামান। সর্বশেষ নাটকীয়তা কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে তিন ছাত্রীকে
বের করে দেয়াকে ঘিরে। স্থানীয় অভিভাবক ডেকে মধ্যরাতে তাদের হল থেকে বিতাড়ন
করা হয়। আরেকজন ছাত্রীর অভিভাবককে ডাকলেও তাকে অবশ্য শেষ পর্যন্ত হল থেকে
বহিষ্কার করা হয়নি। অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের ভাষায় ওই অভিভাবক খুবই সাধারণ
পরিবারের মানুষ। এ কারণেই কিনা ওই মেয়েকে হয়তো বের করে দেয়া হয়নি। যে
অনুগ্রহের ভাষায় এক পিতাকে নিয়ে কথা বলা হয়েছে তা অনেক মানুষকেই কষ্ট
দিয়েছে, লজ্জিত করেছে। তিন শিক্ষার্থীকে রাতের আঁধারে হল থেকে বের করে
দেয়ার ঘটনায় চারদিকে যখন তোলপাড় তৈরি হয় তখন তাদের আবার হলে ফিরিয়ে আনা
হয়েছে। তাদের কাউন্সেলিং এতো দ্রুত কীভাবে শেষ হলো তা অবশ্য অনেক
পর্যবেক্ষকই বুঝতে অক্ষম। যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও হলের
প্রাধ্যক্ষ ড. সাবিতা রেজোয়ানা হয়তো সেটা পরিষ্কার করে বলতে পারবেন।
কবি সুফিয়া কামাল হলের এপিসোডে সকাল-বিকাল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এরআগে ছাত্রলীগের হল নেত্রী ইফফাত জাহান এশাকে ঘিরে এর ভালোই মহড়া দেখা গেছে। সেটাও মধ্যরাতের ঘটনা। কোটা সংস্কার আন্দোলন তখন তুঙ্গে। ক্যালেন্ডারে তারিখ ১০ই এপ্রিল। আন্দোলনে যোগ দেয়ায় এশার নির্যাতনের শিকার হন কয়েক ছাত্রী। রক্তের দাগ দেখা যায়। রগ কাটার গুজব রটে। নির্যাতন অবশ্য মিথ্যা নয়। এ ঘটনায় চরম প্রতিক্রিয়া দেখান হলের ছাত্রীরা। এশাকে লাঞ্ছিত করেন তারা। যা সাধারণ ভব্যতার সীমা ছাড়িয়েছে। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এশাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়। কোনোরকম তদন্ত ছাড়া গভীর রাতে তাকে কীভাবে বহিষ্কার করা হলো তা পরিষ্কার নয়। ছাত্রলীগও তাকে বহিষ্কার করে। দৃশ্যপট বদলাতে অবশ্য সময় লাগেনি। দ্রুতই ফুলের মালা পান এশা। তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় ছাত্রলীগ। উল্টো তাকে হেনস্তার কারণে ২৬ কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ছাত্রলীগ যে পথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উল্টো পথে হাঁটবে তা হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ও এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। তাকে সম্মান দেয়ার কথাও জানায়। এখন তিন ছাত্রীকে কয়েক ঘণ্টার বিতাড়নের বাইরে ২৬ ছাত্রীকে শোকজের কথা শোনা যায়। কিন্তু কাদের শোকজ করা হয়েছে তা জানা যায় না। সব যেন অন্ধকার। আলোতে যেন ভয়। তুঘলকি সব সিদ্ধান্ত।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ফেসবুকে লিখেছেন, নামতে নামতে কোথায় যে নেমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শ্রেণির শিক্ষক! ভাঙতে ভাঙতে কি যে মেরুদণ্ডহীন হয়ে গেছে বাকি অনেক শিক্ষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দু’হাজার শিক্ষকের মধ্যে কতজনকে প্রতিবাদ করতে দেখেছেন কোটাসংস্কার আন্দোলনের ওপর পুলিশ, ঢা. বি. প্রশাসন আর ছাত্রলীগের নানামুখী আক্রমণের? অথচ আমরা নাকি ‘জাতির বিবেক’!
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার শিক্ষক অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন অবশ্য বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন একটু অন্যভাবে। ফেসবুকেই তিনি লিখেছেন, আমি ভাবছিলাম ভিন্ন কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করছে হল প্রশাসন। কী সাংঘাতিক কথা রে বাবা! খুব ছোটবেলায় একটা বাক্সে চিঠি-কাগজ-পয়সা-ঝিনুক-কড়ি আরো কত কী জমা রাখতাম! সেই বাক্সে কেউ হাত দিয়েছে, এটা তো ভাবতেই পারতাম না! ব্যক্তিগত পরিসর বলে তো একটা জিনিস আছে! সেখানে ধরে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মোবাইল চেক! হল প্রশাসন তো দূরের কথা মা-বাবাও এমনটা করতে পারেন না। প্রেমিক-প্রেমিকাও না। হল প্রশাসন কতটা ক্ষমতার চর্চা করলে এমনভাবে ব্যক্তিগত পরিসর লঙ্ঘন করতে পারে! কারো পোস্ট ক্ষতিকর মনে হলে সেটার ব্যবস্থা নেয়ার আইনি পথ আছে। ব্যক্তিগতভাবে কারো মোবাইল ফোন পরীক্ষা করার অধিকার হল প্রশাসনের থাকতে পারে কি? ভাবছিলাম, মেয়েরা যত বড়ই হোক, তাদের মোবাইল ফোন চেক করা, মা-বাবাকে ডেকে রাত-বিরাতে তাদের হাতে তুলে দেয়ার মতো কাজ আজও ঘটতে পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্রেফ কৌতূহল থেকে ভাবছি, ছেলেদের হলে কোনো ছেলের মোবাইলও কি এভাবে পরীক্ষা করতে পারতো হল প্রশাসন! তারপর তাদের মা-বাবাকে ডেকে তাদের হাতে তুলে দিতে! আমার ধারণা, এমন কথা মাথাতেই আনা সম্ভব হতো না। মেয়েদের ব্যক্তিগত পরিসরে হানা দেয়ার সাহস যে কেউ যেকোনো জায়গায় করতে পারেন বোধহয়। সেই হানা দেয়ার কথা ফলাও করে বলাও যায়! শিক্ষার্থী হল কোনো কন্সেট্রেশন ক্যাম্প নয়। বিশ্ববিদ্যালয় ধারণাটি মুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত, বলপ্রয়োগের সঙ্গে নয়।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পুরোটা সময় বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ঘটনার শুরু ৮ই এপ্রিল দিনের মধ্যভাগে। রাতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ যখন দফায় দফায় ছাত্রদের ওপর টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ওই সময় সংঘাত থামাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অনেকেই মনে করেন, সেসময় প্রশাসন যদি শক্ত পদক্ষেপ নিতো তবে পরিস্থিতি এড়ানো যেতো। রাতেই ভিসির বাসায় নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, সে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নানা ধরনের শেয়ার হোল্ডারদের উপস্থিতি ছিল। পরে পুরো আন্দোলনের সময়ই ক্ষণে ক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। কোটা বাতিলের ঘোষণার পরও বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসন তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আন্দোলনকারী ছাত্ররা যখন ছাত্রলীগের কাছ থেকে নানামুখী আক্রমণের শিকার তখনও তাদের রক্ষায় তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
প্রয়াত বুদ্ধিজীবী আহমদ ছফার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে আবারো বলি, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞানদায়িনী ‘মা’। এ বিশ্ববিদ্যালয় তার সন্তানদের প্রতি পক্ষপাতপূর্ণ আচরণ করতে পারে না। প্রতিটি সন্তান যেন সম্মানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস করতে পারে তা নিশ্চিত করাই প্রশাসনের দায়িত্ব।
কবি সুফিয়া কামাল হলের এপিসোডে সকাল-বিকাল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এরআগে ছাত্রলীগের হল নেত্রী ইফফাত জাহান এশাকে ঘিরে এর ভালোই মহড়া দেখা গেছে। সেটাও মধ্যরাতের ঘটনা। কোটা সংস্কার আন্দোলন তখন তুঙ্গে। ক্যালেন্ডারে তারিখ ১০ই এপ্রিল। আন্দোলনে যোগ দেয়ায় এশার নির্যাতনের শিকার হন কয়েক ছাত্রী। রক্তের দাগ দেখা যায়। রগ কাটার গুজব রটে। নির্যাতন অবশ্য মিথ্যা নয়। এ ঘটনায় চরম প্রতিক্রিয়া দেখান হলের ছাত্রীরা। এশাকে লাঞ্ছিত করেন তারা। যা সাধারণ ভব্যতার সীমা ছাড়িয়েছে। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এশাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়। কোনোরকম তদন্ত ছাড়া গভীর রাতে তাকে কীভাবে বহিষ্কার করা হলো তা পরিষ্কার নয়। ছাত্রলীগও তাকে বহিষ্কার করে। দৃশ্যপট বদলাতে অবশ্য সময় লাগেনি। দ্রুতই ফুলের মালা পান এশা। তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় ছাত্রলীগ। উল্টো তাকে হেনস্তার কারণে ২৬ কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ছাত্রলীগ যে পথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উল্টো পথে হাঁটবে তা হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ও এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। তাকে সম্মান দেয়ার কথাও জানায়। এখন তিন ছাত্রীকে কয়েক ঘণ্টার বিতাড়নের বাইরে ২৬ ছাত্রীকে শোকজের কথা শোনা যায়। কিন্তু কাদের শোকজ করা হয়েছে তা জানা যায় না। সব যেন অন্ধকার। আলোতে যেন ভয়। তুঘলকি সব সিদ্ধান্ত।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ফেসবুকে লিখেছেন, নামতে নামতে কোথায় যে নেমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শ্রেণির শিক্ষক! ভাঙতে ভাঙতে কি যে মেরুদণ্ডহীন হয়ে গেছে বাকি অনেক শিক্ষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দু’হাজার শিক্ষকের মধ্যে কতজনকে প্রতিবাদ করতে দেখেছেন কোটাসংস্কার আন্দোলনের ওপর পুলিশ, ঢা. বি. প্রশাসন আর ছাত্রলীগের নানামুখী আক্রমণের? অথচ আমরা নাকি ‘জাতির বিবেক’!
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার শিক্ষক অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন অবশ্য বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন একটু অন্যভাবে। ফেসবুকেই তিনি লিখেছেন, আমি ভাবছিলাম ভিন্ন কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করছে হল প্রশাসন। কী সাংঘাতিক কথা রে বাবা! খুব ছোটবেলায় একটা বাক্সে চিঠি-কাগজ-পয়সা-ঝিনুক-কড়ি আরো কত কী জমা রাখতাম! সেই বাক্সে কেউ হাত দিয়েছে, এটা তো ভাবতেই পারতাম না! ব্যক্তিগত পরিসর বলে তো একটা জিনিস আছে! সেখানে ধরে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মোবাইল চেক! হল প্রশাসন তো দূরের কথা মা-বাবাও এমনটা করতে পারেন না। প্রেমিক-প্রেমিকাও না। হল প্রশাসন কতটা ক্ষমতার চর্চা করলে এমনভাবে ব্যক্তিগত পরিসর লঙ্ঘন করতে পারে! কারো পোস্ট ক্ষতিকর মনে হলে সেটার ব্যবস্থা নেয়ার আইনি পথ আছে। ব্যক্তিগতভাবে কারো মোবাইল ফোন পরীক্ষা করার অধিকার হল প্রশাসনের থাকতে পারে কি? ভাবছিলাম, মেয়েরা যত বড়ই হোক, তাদের মোবাইল ফোন চেক করা, মা-বাবাকে ডেকে রাত-বিরাতে তাদের হাতে তুলে দেয়ার মতো কাজ আজও ঘটতে পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্রেফ কৌতূহল থেকে ভাবছি, ছেলেদের হলে কোনো ছেলের মোবাইলও কি এভাবে পরীক্ষা করতে পারতো হল প্রশাসন! তারপর তাদের মা-বাবাকে ডেকে তাদের হাতে তুলে দিতে! আমার ধারণা, এমন কথা মাথাতেই আনা সম্ভব হতো না। মেয়েদের ব্যক্তিগত পরিসরে হানা দেয়ার সাহস যে কেউ যেকোনো জায়গায় করতে পারেন বোধহয়। সেই হানা দেয়ার কথা ফলাও করে বলাও যায়! শিক্ষার্থী হল কোনো কন্সেট্রেশন ক্যাম্প নয়। বিশ্ববিদ্যালয় ধারণাটি মুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত, বলপ্রয়োগের সঙ্গে নয়।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পুরোটা সময় বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ঘটনার শুরু ৮ই এপ্রিল দিনের মধ্যভাগে। রাতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ যখন দফায় দফায় ছাত্রদের ওপর টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ওই সময় সংঘাত থামাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অনেকেই মনে করেন, সেসময় প্রশাসন যদি শক্ত পদক্ষেপ নিতো তবে পরিস্থিতি এড়ানো যেতো। রাতেই ভিসির বাসায় নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, সে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নানা ধরনের শেয়ার হোল্ডারদের উপস্থিতি ছিল। পরে পুরো আন্দোলনের সময়ই ক্ষণে ক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। কোটা বাতিলের ঘোষণার পরও বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসন তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আন্দোলনকারী ছাত্ররা যখন ছাত্রলীগের কাছ থেকে নানামুখী আক্রমণের শিকার তখনও তাদের রক্ষায় তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
প্রয়াত বুদ্ধিজীবী আহমদ ছফার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে আবারো বলি, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞানদায়িনী ‘মা’। এ বিশ্ববিদ্যালয় তার সন্তানদের প্রতি পক্ষপাতপূর্ণ আচরণ করতে পারে না। প্রতিটি সন্তান যেন সম্মানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস করতে পারে তা নিশ্চিত করাই প্রশাসনের দায়িত্ব।
No comments