কেমন আছেন আশিকুর রহমান? by মরিয়ম চম্পা
বেড
নম্বর ১১-এ। কালো টি শার্ট ও থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট পরে অনেকটা চুপচাপ
বিছানায় বসে মোবাইল ফোনের বাটনে ক্লিক করছিলেন আশিকুর। বেলা ১টা ২৫ মিনিট।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের তিন তলার ১১ নম্বর কেবিনে ঢুকতেই মৃদু
হাসি দিয়ে অভ্যর্থনা জানালেন আশিকুর রহমান। পাশের ১১-বি বেডে বসে দুপুরের
খাবার খাচ্ছিলেন আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের
ছাত্র মো. শাহরিয়ার হোসেন। পুরো রুম জুড়ে যেন সুনসান নীরবতা। যেন একজনের
কথা অন্যজনই ভালোভাবে শুনতে পাচ্ছেন না। এরই মাঝে দুইবার বাইরে অপেক্ষা করা
আনসার সদস্য এসে প্রতিবেদকের নাম-পরিচয় জানতে চান। তৃতীয় দফায় এসে নাম
এন্ট্রি করে নেন। এরইমধ্যে টুকটাক কথা চলে আশিকুরের সঙ্গে।
তার চেহারায় এখনো ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। কথা বলতে গিয়ে থেমে যাচ্ছিলেন বারবার। আশিকুরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক বন্ধু রাফি রয়েছেন হাসপাতালে। হাসপাতালের খাবার খেতে পারেন না আশিকুর। তাই সাভারে মামার বাসা থেকে তার মা দুপুর ও সকালের খাবার নিয়ে আসেন। আশিকুর জানায়, ডাক্তার বলেছে, বুকে বিদ্ধ বুলেট শরীরের অন্য কোথাও মুভ করছে কিনা তা অবজারভেশনের জন্যই তাকে আবারো হাসপাতালে ডাকা হয়েছে। বর্তমানে শরীরে কোনো সমস্যা অনুভূত হচ্ছে না বলে জানান তিনি। একমাস পরে আশিকুরের পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রস্তুতি খুব একটা নেই বলে জানান তিনি। বুকের কোন পাশটায় বুলেটবিদ্ধ আছে জানতে চাইলে, হাত দিয়ে বুকের ডানপাশটা দেখিয়ে বলেন- এই যে এখানেই বুলেটটি রয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, আশিকুরের শরীরের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ইম্প্রুভ হয়েছে। রোববার সকালেও একটি রেগুলার এক্সরে করা হয়েছে। তবে তাকে আগের তুলনায় অনেক বেশি কনফিডেন্ট মনে হচ্ছে। পাশের বেডের শাহরিয়ারের শরীরের অবস্থাও ভালো। আরো ৩-৪ দিন অবজারভেশন শেষে তাদের দুজনকে একই সঙ্গে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে বলে জানান তিনি।
কোটা সংস্কারের আন্দোলনের সময় বুকে গুলি লাগে আশিকুর রহমানের। ৮ই এপ্রিল দিবাগত রাত দুইটার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। গুলিতে তার যকৃৎ ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখনো তার বুকের ভেতরে রয়ে গেছে বুলেটটি। আশিকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। আশিকুরের বন্ধুরা জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের একটি পক্ষ রাতে যখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে, তখনই গুলিবিদ্ধ হন আশিকুর। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে থাকা শিখ সমপ্রদায়ের উপাসনালয় গুরুদুয়ারা নানক শাহীর ঠিক সামনে হঠাৎ তিনি ঢলে পড়েন। আশিকুর রহমানকে গত বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেন ডাক্তাররা। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ির উদ্দেশে কল্যাণপুর যেতে না যেতেই হাসপাতাল থেকে তাকে আবার ফোন দিয়ে ডেকে নেয়া হয়।
তার চেহারায় এখনো ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। কথা বলতে গিয়ে থেমে যাচ্ছিলেন বারবার। আশিকুরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক বন্ধু রাফি রয়েছেন হাসপাতালে। হাসপাতালের খাবার খেতে পারেন না আশিকুর। তাই সাভারে মামার বাসা থেকে তার মা দুপুর ও সকালের খাবার নিয়ে আসেন। আশিকুর জানায়, ডাক্তার বলেছে, বুকে বিদ্ধ বুলেট শরীরের অন্য কোথাও মুভ করছে কিনা তা অবজারভেশনের জন্যই তাকে আবারো হাসপাতালে ডাকা হয়েছে। বর্তমানে শরীরে কোনো সমস্যা অনুভূত হচ্ছে না বলে জানান তিনি। একমাস পরে আশিকুরের পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রস্তুতি খুব একটা নেই বলে জানান তিনি। বুকের কোন পাশটায় বুলেটবিদ্ধ আছে জানতে চাইলে, হাত দিয়ে বুকের ডানপাশটা দেখিয়ে বলেন- এই যে এখানেই বুলেটটি রয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, আশিকুরের শরীরের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ইম্প্রুভ হয়েছে। রোববার সকালেও একটি রেগুলার এক্সরে করা হয়েছে। তবে তাকে আগের তুলনায় অনেক বেশি কনফিডেন্ট মনে হচ্ছে। পাশের বেডের শাহরিয়ারের শরীরের অবস্থাও ভালো। আরো ৩-৪ দিন অবজারভেশন শেষে তাদের দুজনকে একই সঙ্গে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে বলে জানান তিনি।
কোটা সংস্কারের আন্দোলনের সময় বুকে গুলি লাগে আশিকুর রহমানের। ৮ই এপ্রিল দিবাগত রাত দুইটার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। গুলিতে তার যকৃৎ ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখনো তার বুকের ভেতরে রয়ে গেছে বুলেটটি। আশিকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। আশিকুরের বন্ধুরা জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের একটি পক্ষ রাতে যখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে, তখনই গুলিবিদ্ধ হন আশিকুর। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে থাকা শিখ সমপ্রদায়ের উপাসনালয় গুরুদুয়ারা নানক শাহীর ঠিক সামনে হঠাৎ তিনি ঢলে পড়েন। আশিকুর রহমানকে গত বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেন ডাক্তাররা। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ির উদ্দেশে কল্যাণপুর যেতে না যেতেই হাসপাতাল থেকে তাকে আবার ফোন দিয়ে ডেকে নেয়া হয়।
No comments