রনিকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ! পালিয়ে বেড়াচ্ছেন রাশেদ
চট্টগ্রাম
মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে খুঁজে পাচ্ছে না
পুলিশ। কিন্তু রনির হুমকিতে প্রাণভয়ে সপরিবারে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মামলার
বাদী ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের মালিক মো. রাশেদ মিয়া।
বৃহস্পতিবার রাতে রাশেদ মিয়ার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও তাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন। এর আগে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অতিরিক্ত ফি ফেরতের জন্য চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ ড. জাহিদ খানকে বেদম মারধর করেন নুরুল আজিম রনি। মারধরের এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এ ঘটনায় নগরীর চকবাজার থানায় চাঁদাবাজি ও প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন অধ্যক্ষ ড. জাহিদ খান। এই দুই মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য চকবাজার থানা পুলিশ এবং পাঁচলাইশ থানা পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে নুরুল আজিম রনিকে। পুলিশের ভাষ্য, কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না রনিকে।
কিন্তু ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের মালিক রাশেদ মিয়া বলছেন, মামলার পর রনি তাঁকে খুঁজতে সদলবলে তার বাসায় গিয়েছিল। সেখানে না পেয়ে কোচিং সেন্টারে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছে। সেখানে না পেয়ে তারা হুমকি দিয়ে আসে। এরপর বিভিন্ন অপরিচিত নাম্বার থেকে তাঁকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন।
রাশেদ মিয়া এ প্রসঙ্গে দৈনিক মানবজমিনকে মুঠোফোনে বলেন, আগেই আঁচ করেছিলাম যে, মামলা হলে রনি ও তার সহযোগীরা আমাকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা চালাবে। তাই সপরিবারে আমি বাসা ছেড়ে আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছি।
তিনি বলেন, নুরুল আজিম রনি সদলবলে বুক ফুলিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর দাপিয়ে বেড়ালেও পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না তাকে। আমাকে খুঁজতে রনি বাসা ও কোচিং সেন্টারে যাওয়া এবং মুঠোফোনে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে আমি পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছি।
জিডিতে রনি ছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় আরও সাত-আটজন জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেছি। এ ছাড়া রনি সদলবলে দাপিয়ে বেড়ানোর বিষয় নিয়ে পুলিশকে বারবার ইনফরমেশন দেয়া সত্ত্বেও পুলিশ রনি ও তার সহযোগীদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
পুলিশের এই ভূমিকাকে রহস্যজনক উল্লেখ করে রাশেদ মিয়া বলেন, মারধর খেয়ে প্রাণে তো কোনোরকমে বেঁচে আছি। এবার মামলা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রাণ হারানোর শঙ্কায় আমি চরম উৎকণ্ঠায় মানবেতর দিন যাপন করছি।
একই কথা বলেছেন চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ ড. জাহিদ খানও। তিনি বলেন, আমাকে মারধর ও চাঁদা দাবির ঘটনায় মামলা করা হলেও চকবাজার থানার পুলিশ নুরুল আজিম রনিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। রনিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ নাকি অভিযানও চালিয়েছে। অথচ আমাকে মারধরের ঘটনার ১৬ দিন পর কোচিং সেন্টারের মালিক রাশেদ মিয়াকে মারধর ও চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটিয়েছে রনি।
এ বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা বলেন, মামলা দায়েরের পর রনিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ একাধিক অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। একই ভাষ্য পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন মাহমুদের। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে নুরুল আজিম রনি আত্মগোপনে রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। রাশেদ মিয়াকে হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে রাশেদ মিয়া একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যা আমরা তদন্ত করে দেখছি।
বৃহস্পতিবার রাতে রাশেদ মিয়ার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও তাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন। এর আগে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অতিরিক্ত ফি ফেরতের জন্য চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ ড. জাহিদ খানকে বেদম মারধর করেন নুরুল আজিম রনি। মারধরের এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এ ঘটনায় নগরীর চকবাজার থানায় চাঁদাবাজি ও প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন অধ্যক্ষ ড. জাহিদ খান। এই দুই মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য চকবাজার থানা পুলিশ এবং পাঁচলাইশ থানা পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে নুরুল আজিম রনিকে। পুলিশের ভাষ্য, কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না রনিকে।
কিন্তু ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের মালিক রাশেদ মিয়া বলছেন, মামলার পর রনি তাঁকে খুঁজতে সদলবলে তার বাসায় গিয়েছিল। সেখানে না পেয়ে কোচিং সেন্টারে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছে। সেখানে না পেয়ে তারা হুমকি দিয়ে আসে। এরপর বিভিন্ন অপরিচিত নাম্বার থেকে তাঁকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন।
রাশেদ মিয়া এ প্রসঙ্গে দৈনিক মানবজমিনকে মুঠোফোনে বলেন, আগেই আঁচ করেছিলাম যে, মামলা হলে রনি ও তার সহযোগীরা আমাকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা চালাবে। তাই সপরিবারে আমি বাসা ছেড়ে আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছি।
তিনি বলেন, নুরুল আজিম রনি সদলবলে বুক ফুলিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর দাপিয়ে বেড়ালেও পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না তাকে। আমাকে খুঁজতে রনি বাসা ও কোচিং সেন্টারে যাওয়া এবং মুঠোফোনে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে আমি পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছি।
জিডিতে রনি ছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় আরও সাত-আটজন জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেছি। এ ছাড়া রনি সদলবলে দাপিয়ে বেড়ানোর বিষয় নিয়ে পুলিশকে বারবার ইনফরমেশন দেয়া সত্ত্বেও পুলিশ রনি ও তার সহযোগীদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
পুলিশের এই ভূমিকাকে রহস্যজনক উল্লেখ করে রাশেদ মিয়া বলেন, মারধর খেয়ে প্রাণে তো কোনোরকমে বেঁচে আছি। এবার মামলা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রাণ হারানোর শঙ্কায় আমি চরম উৎকণ্ঠায় মানবেতর দিন যাপন করছি।
একই কথা বলেছেন চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ ড. জাহিদ খানও। তিনি বলেন, আমাকে মারধর ও চাঁদা দাবির ঘটনায় মামলা করা হলেও চকবাজার থানার পুলিশ নুরুল আজিম রনিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। রনিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ নাকি অভিযানও চালিয়েছে। অথচ আমাকে মারধরের ঘটনার ১৬ দিন পর কোচিং সেন্টারের মালিক রাশেদ মিয়াকে মারধর ও চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটিয়েছে রনি।
এ বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা বলেন, মামলা দায়েরের পর রনিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ একাধিক অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। একই ভাষ্য পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন মাহমুদের। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে নুরুল আজিম রনি আত্মগোপনে রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। রাশেদ মিয়াকে হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে রাশেদ মিয়া একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যা আমরা তদন্ত করে দেখছি।
No comments