পাতায়ায় সেক্স পার্টি
থাইল্যান্ডের
পর্যটন স্পট পাতায়া। সেখানেই এক হোটেলে সেক্স পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল।
তাতে যোগ দিয়েছিল কিছু বৃটিশ, মার্কিন, অস্ট্রেলিয়ান, রাশিয়ান ও চায়না
যুবক। তাদের মনোরঞ্জনের জন্য ডেকে নেয়া হয়েছিল থাইল্যান্ডের সুন্দরী
যুবতীদের। পাতায়ার টিউলিপ হোটেলে ওই পার্টির আয়োজন করা হয়। আর দলে ছিল মোট
১৮ জন যুবক। তারা ভিতরে প্রবেশের জন্য প্রতিজন ১৫০০ থাই বাথ দিয়েছে। এক
সঙ্গে এত অর্থ পেয়ে হোটেল মালিকও মহাখুশি। কিন্তু বাধ সাধলো ওই বেরসিক থাই
পুলিশ। তারা ওই হোটেল ঘেরাও করে অভিযান চালায়। এ সময় বিভিন্ন কক্ষে
বিবস্ত্র অবস্থায় আপত্তিকর দৃশ্যে মগ্ন থাকা যুগলদের দেখতে পায় তারা। এ
ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, মধ্য বয়সী বৃটিশ ওইসব যুবক
জড়িয়ে আছেন থাই যুবতীদের। থাইল্যান্ডের পাতায়াকে বিশ্বের ‘সেক্স ক্যাপিটাল’
হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সেখানে রাতের চেহারা দিনের চেয়ে অনেক আলাদা।
যেহেতু বিদেশীরা, ধনবানরা সেখানে যান বেড়াতে তাদেরকে টার্গেট করে
দেহপসারিণীরা। চারদিকে তখন উচ্চস্বরে বাজতে থাকে হাইবিটের গান। সামান্য
বসনে থাকা যুবতীরা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। কেউবা হাত ধরে
টেনে নিয়ে যান ভিতরে। কোনো কোনো বারের ভিতরের রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। অর্থ
দিলেই সেখানে চলে শরীর নিয়ে খেলা। এমনই এক দেহলীলা জমে উঠেছিল টিউলিপ
হোটেলে। পুলিশ হঠাৎ করে যখন তাতে অভিযান চালায় তখন মধ্যবয়সী বৃটিশ যুবকদের
দেখতে পায় ঘর্মাক্ত অবস্থায়। তারা বিবস্ত্র। পুলিশ দেখে সঙ্গে সঙ্গে হাতের
কাছে যা পেয়েছে তা দিয়ে নিজেদের লজ্জাস্থান ঢাকার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনা
ঘটেছে শনিবার রাতে। পুলিশের অভিযোগ এমন সেক্স পার্টি অবৈধ। এ জন্য স্থানীয়
সময় সাড়ে এগারটার দিকে তারা সেখানে ঝটিকা অভিযান চালায়। ওই হোটেলটির মালিক
একজন চীনা। তাকে অবৈধভাবে হোটেলে দেহ ব্যবসা চালানোর কারণে গ্রেপ্তার করা
হয়েছে। ওদিকে পাতায়ার বাঙলামাঙ এলাকার ডিস্ট্রিক্ট শেরিফ নারিস
নিওয়াপানটাওয়াং বলেছেন, যেসব পুরুষ ওই পার্টি আয়োজন করেছিল তারা একই নারী
সঙ্গীকে একজনের সঙ্গে আরেকজন বিনিময় করেছে। অর্থাৎ একই নারী একাধিক পুরুষের
সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। টিউলিপ হোটেল সম্পর্কে আগে থেকেই
তাদের কাছে তথ্য ছিল। নারিস নিওয়াপানটাওয়াং বলেন, সপ্তাহান্তে ওই হোটেলে যে
সেক্স পার্টি আয়োজন হচ্ছে আমাদের কাছে আগে থেকেই এ খবর ছিল। তাই যখন ওইসব
যুবক ও যুবতী উত্তেজনাকর মুহূর্তে ছিল ঠিক তখনই আমরা সেখানে অভিযান
পরিচালনা করি। উল্লেখ্য, পাতায়ার নং প্রু জেলায় অবস্থিত টিউলিপ হোটেল। এটি
একটি চারতলা বিশিষ্ট ভবন। এতে আছে মোট ৩০ টি রুম। একে ভাগ করা হয়েছে
বিভিন্ন জোনে। একটি ফ্লোরের নাম দেয়া হয়েছে ‘প্লে জোন’। পুলিশ বলেছে, ওই
অভিযানে যাদেরকে ধরা হয়েছে তারা সবাই অবস্থান করছিলো ‘প্লে জোনে’। সেখানে
বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকতে দেখা গেছে কনডম, লুব্রিকেন্ট ও সেক্স টয়। ওই
হোটেলের মালিক শেং লিয়াও ইয়াং (৫৩)। লাইসেন্স ছাড়াই তিনি দেহ ব্যবসার
বাণিজ্য খুলে বসেছেন এমন অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
No comments