‘কোন স্বৈরাচার দেশ চালাচ্ছে, প্রশ্ন এরশাদের’
জাতীয়
পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আমাকে স্বৈরাচার বলা হয়,
এখন কোন স্বৈরাচার দেশ পরিচালনা করছে। কি ভাবে দেশ পরিচালনা করছে সবাই
জানেন। আমি কোন মানুষের ক্ষতি করিনি, হত্যা করিনি, আমার সময় কোন মানুষ গুম
হয়নি, সংবাদপত্র আমার বিরুদ্ধে মুক্ত ভাবে লিখেছে। কারো বিরুদ্ধে কোন
ব্যবস্থা নেই নি। এখন কেউ কিছু লিখতে পারে না, বলতে পারেনা। সব কিছু এখন
বন্ধ। আমরা বন্ধ কারাগারে বাস করছি। মুক্ত হতে হবে একদিন। নির্বাচনের
মাধ্যমে মুক্ত হতে হবে। আমরা সে জন্য প্রস্তুত আছি। বিএনপি আমাকে জেলে
দিয়েছিল। তারা ১৪ বছর ৯মাস পর আমার বিরুদ্ধে মঞ্জু হত্যার মামলা দিয়েছে। ২৫
বছর ধরে এ মামলা চলছে। ২৫ বছর একটি মামলা চলতে পারেনা। আমি মুক্ত মানুষ
নই, মুক্ত রাজনীতিবিদ নই। আমার মনে যে জোর আছে তাতে আমাকে কেউ বন্দি করে
রাখতে পারবেনা। তিনি শনিবার বিকালে গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলনে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, যে দলটি আমকে জেলে পাঠিয়েছিল তাদের অস্তিত্ব আজ টলটলয়মান। তাদের অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয়না। তাদের অস্তিত্ব কেবল টিভিতে একটি বয়ান দেয়া। এর বাইিরে কিছু নেই। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোন বিভক্তি নেই। পার্টির জন্য আমার মতো কষ্ট আর কেউ করেনি। জেলখানায় থেকে সে সময় ৩৫টি আসনে নির্বাচিত হয়েছি। আমি একা ৫টিতে জয়ী হয়েছি। এতে প্রমাণিত হয় আমি নিন্দিত ছিলাম না। আমি নন্দিত ছিলাম। এরশাদ আরো বলেন, ১/১১ কুশিলবদের বিচারের ব্যাপারে বিএনপি-আওয়ামীলীগ এক। মাইনাস টু এর ব্যাপারে বিএনপি আওয়ামীলীগ এক। এখানে মাইনাস থ্রি করা হয়েছিল এক কথা কেউ বলেনা। আমি মাইনাস থ্রি’র বলি। সে সময় আমি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান থাকতে পারেনি। পার্টির কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছিল ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলামকে। ষড়যন্ত্র করে আমাকে সরিয়ে দিয়ে তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। হাসিনা - খালেদাকে কেউ সরায়নি। আমাকে সরানো হয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে আমার দলের লোক ষড়যন্ত্র করেছিল। তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা আমাকে সরিয়ে দিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান হয়েছিল তাদের সঙ্গে হাত মিলানো উচিত না। জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ.বি.এম রুহুল আমিন হাওলাদার, পার্টির প্রেডিসিয়াম সদস্য এস.এম ফয়সাল চিশ্তী, শ্রী সুনীল শুভ রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
এরশাদ বলেন, যে দলটি আমকে জেলে পাঠিয়েছিল তাদের অস্তিত্ব আজ টলটলয়মান। তাদের অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয়না। তাদের অস্তিত্ব কেবল টিভিতে একটি বয়ান দেয়া। এর বাইিরে কিছু নেই। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোন বিভক্তি নেই। পার্টির জন্য আমার মতো কষ্ট আর কেউ করেনি। জেলখানায় থেকে সে সময় ৩৫টি আসনে নির্বাচিত হয়েছি। আমি একা ৫টিতে জয়ী হয়েছি। এতে প্রমাণিত হয় আমি নিন্দিত ছিলাম না। আমি নন্দিত ছিলাম। এরশাদ আরো বলেন, ১/১১ কুশিলবদের বিচারের ব্যাপারে বিএনপি-আওয়ামীলীগ এক। মাইনাস টু এর ব্যাপারে বিএনপি আওয়ামীলীগ এক। এখানে মাইনাস থ্রি করা হয়েছিল এক কথা কেউ বলেনা। আমি মাইনাস থ্রি’র বলি। সে সময় আমি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান থাকতে পারেনি। পার্টির কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছিল ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলামকে। ষড়যন্ত্র করে আমাকে সরিয়ে দিয়ে তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। হাসিনা - খালেদাকে কেউ সরায়নি। আমাকে সরানো হয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে আমার দলের লোক ষড়যন্ত্র করেছিল। তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা আমাকে সরিয়ে দিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান হয়েছিল তাদের সঙ্গে হাত মিলানো উচিত না। জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ.বি.এম রুহুল আমিন হাওলাদার, পার্টির প্রেডিসিয়াম সদস্য এস.এম ফয়সাল চিশ্তী, শ্রী সুনীল শুভ রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
No comments