পিলখানা হত্যাকাণ্ডে সেনাবাহিনীর তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের দাবি বিএনপির
দেশের সামরিক বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিতেই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতারা।
আজ শনিবার এক সভায় তারা বলেন, বর্তমানে ওই ঘটনার বিচারের নামে প্রহসন হচ্ছে। ফলে প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। একদিন সঠিক তদন্তে খুনি ও নেপথ্যের কুশীলবদের মুখোশ উন্মচিত হবে।
বিএনপি নেতারা বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একটি তদন্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। অবিলম্বে তা প্রকাশ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা। ভবিষ্যতে বিএনপির ক্ষমতায় এলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২১ ফেব্রয়ারি যেভাবে পালন করা হয়, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে সেভাবে পালন করা হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি করেন বিএনপি নেতারা।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।
পিলখানায় বিজিবির সদর দফতর হত্যাকাণ্ড-২০০৯ এবং শহীদ সামরিক কর্মকর্তাদের স্মরণে এই আলোচনা সভায় আয়োজন করে বিএনপি।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।
অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট কর্নেল সৈয়দ কামরুজ্জামান, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এই সরকার বেছে বেছে সবচেয়ে ভালো সেনা অফিসারদের হত্যা করেছে। এই ফেব্রুয়ারি মাস হত্যার মাস। আপনাদের প্রভুদের নির্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। জাতিকে মেধাশূন্য করে দিয়েছে।
নিজেকে দায়ী মনে হয়, কারণ আমি এদেশে রাজনীতি করি। তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা হত্যকাণ্ডের দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায় অস্বীকার করতে পারেনা বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, আগামীতে যদি বিএনপির সুযোগ আসে তাহলে ২১ ফেব্রুয়ারি যেভাবে পালন করা হয় ২৫ ফেব্রুয়ারিও সেভাবে পালন করার ব্যবস্থা করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের সামরিক বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিতেই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে বিডিআর বিদ্রোহ ও সেনা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছিলো। এটা সহজেই বুঝা যায়।
তিনি বলেন, এখন বিচারের নামে প্রহসন হচ্ছে। যেজন্য প্রকৃত অপরাধীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। যারা ষড়যন্ত্র করেছেন, তারা জানে এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের ফলে সেনাবাহিনী থেকে অনেক দুর্বল চিত্তের মানুষ বাহিনী থেকে বের হয়ে যাবে। সব সময় তারা আতঙ্কে থাকবে এবং দেশের প্রতি তাদের যে কর্তব্য সেটা পালনে সক্ষম হবে না।
পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছে না দাবি করে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তা আজো প্রকাশ করা যায়নি। সেই তদন্ত রিপোর্টটি প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।
বিদ্রোহের ঘটনা দমনে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ওই সময়ে সেনা প্রধানের দায়িত্বে থাকা মঈন-উ-আহমেদেরও সমালোচনা করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, সেনাবাহিনীর কাপুরুষ সেনাপ্রধান মঈন-উ-আহমেদ কেনো অনুমতি নিতে গেলেন? এটা তো সেনা বাহিনীর ঐতিহ্য যে, বিদ্রোহ হলে আগে দমন করতে হবে। এতে কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। শাকিল আহমেদ (বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ) সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাহায্যের জন্য বলেছে। কিন্তু সহায়তা পাঠানো হয়নি।
দক্ষ ও দেশপ্রেমিক সরকার না থাকার কারণে সেদিনের বিদ্রোহ দমানো সম্ভব হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, বিদ্রোহীদের একটি আল্টিটমেটাম দিলেই তারা আত্মসমর্পণ করতো। তা না করে তাদের জামাই আদরে গণভবনে ডাকা হয়েছে। এতে তো খুনিরাও উৎসাহ পাবেই। সুবেদারকে ডিজি বানিয়ে কোনো বাহিনীর শৃঙ্খলা আনা যায় না।
নির্বাচিত সরকারের অভাবে বিডিআর বিদ্রোহের মতো আরো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করে হাফিজ বলেন, এ ধরনের ঘটনা আরো ঘটবে যদি দেশে নির্বাচিত এবং জনগণের সমর্থনপুষ্ট সরকার না থাকে। যে নেতার জনসর্মথন আছে, যে নেতার কথায় লাখো কোটি জনগণ রাস্তায় নেমে আসে; সে ধরনের নেতা যদি দেশে না থাকে তাহলে সামরিক বাহিনীও দায়িত্ব পালন করতে পারে না।
তিনি বলেন, আজ মানুষও গণতন্ত্র বঞ্চিত। বাংলাদেশের মানুষও একটি বৃহৎ কারাগারে বাস করছে। দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার নেই। কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার হয় না।
বিডিআর বিদ্রোহ ও সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে হতাশা প্রকাশ করে এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে তিনটি তদন্ত কমিটি কাজ করলেও এখনও তা আলোর মুখ দেখিনি। অথচ তদন্তের আগেই বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুসহ অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১২-১৩ জন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন।
ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে ওই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হলে কারা লাভবান হবে? তাই বিডিআর হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত তা অনুমান করা যায়।
সরকার ও দেশের মঙ্গলের জন্য ঘটনার দ্রুত ও সঠিক তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা।
পিলখানার দরবার হলের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ কামরুজ্জামান বলেন, ওইদিন ৩২ ঘণ্টা বিডিআরের তাণ্ডব স্বচক্ষে দেখেছি। ওইদিন মরে গেলেই ভালো হতো। কারণ তখন প্রশ্ন উঠতো না, তোকে কেন মারলো না? তোর পরিবার কতবার রেপ (ধর্ষণ) হয়েছে? বিডিআরের সাথে তোর সখ্যতা কোথায়?.. এই বেঁচে থাকা জীবন যে কত কষ্টের তা বলে শেষ করা যাবে না।
আজ শনিবার এক সভায় তারা বলেন, বর্তমানে ওই ঘটনার বিচারের নামে প্রহসন হচ্ছে। ফলে প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। একদিন সঠিক তদন্তে খুনি ও নেপথ্যের কুশীলবদের মুখোশ উন্মচিত হবে।
বিএনপি নেতারা বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একটি তদন্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। অবিলম্বে তা প্রকাশ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা। ভবিষ্যতে বিএনপির ক্ষমতায় এলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২১ ফেব্রয়ারি যেভাবে পালন করা হয়, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে সেভাবে পালন করা হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি করেন বিএনপি নেতারা।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।
পিলখানায় বিজিবির সদর দফতর হত্যাকাণ্ড-২০০৯ এবং শহীদ সামরিক কর্মকর্তাদের স্মরণে এই আলোচনা সভায় আয়োজন করে বিএনপি।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।
অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট কর্নেল সৈয়দ কামরুজ্জামান, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এই সরকার বেছে বেছে সবচেয়ে ভালো সেনা অফিসারদের হত্যা করেছে। এই ফেব্রুয়ারি মাস হত্যার মাস। আপনাদের প্রভুদের নির্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। জাতিকে মেধাশূন্য করে দিয়েছে।
নিজেকে দায়ী মনে হয়, কারণ আমি এদেশে রাজনীতি করি। তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা হত্যকাণ্ডের দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায় অস্বীকার করতে পারেনা বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, আগামীতে যদি বিএনপির সুযোগ আসে তাহলে ২১ ফেব্রুয়ারি যেভাবে পালন করা হয় ২৫ ফেব্রুয়ারিও সেভাবে পালন করার ব্যবস্থা করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের সামরিক বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিতেই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে বিডিআর বিদ্রোহ ও সেনা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছিলো। এটা সহজেই বুঝা যায়।
তিনি বলেন, এখন বিচারের নামে প্রহসন হচ্ছে। যেজন্য প্রকৃত অপরাধীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। যারা ষড়যন্ত্র করেছেন, তারা জানে এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের ফলে সেনাবাহিনী থেকে অনেক দুর্বল চিত্তের মানুষ বাহিনী থেকে বের হয়ে যাবে। সব সময় তারা আতঙ্কে থাকবে এবং দেশের প্রতি তাদের যে কর্তব্য সেটা পালনে সক্ষম হবে না।
পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছে না দাবি করে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তা আজো প্রকাশ করা যায়নি। সেই তদন্ত রিপোর্টটি প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।
বিদ্রোহের ঘটনা দমনে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ওই সময়ে সেনা প্রধানের দায়িত্বে থাকা মঈন-উ-আহমেদেরও সমালোচনা করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, সেনাবাহিনীর কাপুরুষ সেনাপ্রধান মঈন-উ-আহমেদ কেনো অনুমতি নিতে গেলেন? এটা তো সেনা বাহিনীর ঐতিহ্য যে, বিদ্রোহ হলে আগে দমন করতে হবে। এতে কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। শাকিল আহমেদ (বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ) সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাহায্যের জন্য বলেছে। কিন্তু সহায়তা পাঠানো হয়নি।
দক্ষ ও দেশপ্রেমিক সরকার না থাকার কারণে সেদিনের বিদ্রোহ দমানো সম্ভব হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, বিদ্রোহীদের একটি আল্টিটমেটাম দিলেই তারা আত্মসমর্পণ করতো। তা না করে তাদের জামাই আদরে গণভবনে ডাকা হয়েছে। এতে তো খুনিরাও উৎসাহ পাবেই। সুবেদারকে ডিজি বানিয়ে কোনো বাহিনীর শৃঙ্খলা আনা যায় না।
নির্বাচিত সরকারের অভাবে বিডিআর বিদ্রোহের মতো আরো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করে হাফিজ বলেন, এ ধরনের ঘটনা আরো ঘটবে যদি দেশে নির্বাচিত এবং জনগণের সমর্থনপুষ্ট সরকার না থাকে। যে নেতার জনসর্মথন আছে, যে নেতার কথায় লাখো কোটি জনগণ রাস্তায় নেমে আসে; সে ধরনের নেতা যদি দেশে না থাকে তাহলে সামরিক বাহিনীও দায়িত্ব পালন করতে পারে না।
তিনি বলেন, আজ মানুষও গণতন্ত্র বঞ্চিত। বাংলাদেশের মানুষও একটি বৃহৎ কারাগারে বাস করছে। দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার নেই। কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার হয় না।
বিডিআর বিদ্রোহ ও সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে হতাশা প্রকাশ করে এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে তিনটি তদন্ত কমিটি কাজ করলেও এখনও তা আলোর মুখ দেখিনি। অথচ তদন্তের আগেই বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুসহ অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১২-১৩ জন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন।
ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে ওই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হলে কারা লাভবান হবে? তাই বিডিআর হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত তা অনুমান করা যায়।
সরকার ও দেশের মঙ্গলের জন্য ঘটনার দ্রুত ও সঠিক তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা।
পিলখানার দরবার হলের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ কামরুজ্জামান বলেন, ওইদিন ৩২ ঘণ্টা বিডিআরের তাণ্ডব স্বচক্ষে দেখেছি। ওইদিন মরে গেলেই ভালো হতো। কারণ তখন প্রশ্ন উঠতো না, তোকে কেন মারলো না? তোর পরিবার কতবার রেপ (ধর্ষণ) হয়েছে? বিডিআরের সাথে তোর সখ্যতা কোথায়?.. এই বেঁচে থাকা জীবন যে কত কষ্টের তা বলে শেষ করা যাবে না।
No comments