আইসল্যান্ডের এক নারী মন্ত্রীর কাণ্ড, পদত্যাগ
এ বিষয়ে আইসল্যান্ডের বার্তা সংস্থা আরইউভি বৃহস্পতিবার খবর দিয়েছে যে, মিস আস্থিলদারের ওই টিনেজ প্রেমিকের নাম ইরিক আসমুন্ডসন। বর্তমানে তিনি টগবগে এক যুবক। বাড়িতে জটিল পরিস্থিতিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন ট্রু ওগ লিফ (ধর্ম ও জীবন) নামের একটি গ্রুপে। সেখানে কাজ করতেন মিস আস্থিলদার। এই সুযোগে তাদের সাক্ষাৎ হয়। যোগাযোগ হয়। তার পর প্রেম। শারীরিক সম্পর্ক। সেই সম্পর্কে তিনি ২৩ বছর বয়সে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। সেই সন্তানের বয়স এখন ১৬ বছর।
উল্লেখ্য, আইসল্যান্ডে সম্মতি জানানোর বয়স ১৫ বছর। কিন্তু কেউ যদি মেন্টর হন, শিক্ষক বা শিক্ষিকা হন, যদি কোনো ব্যক্তি আপনার ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল হয় অথবা আপনার জন্য কাজ করে, তাহলে তার সঙ্গে ১৮ বছর বয়সের আগে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন বেআইনি। যদি এই অভিযোগে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাহলে তাকে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল দেয়ার বিধান আছে। ওদিকে ওই সম্পর্কের বয়স পেরিয়েছে ৩৬ বছর। কিন্তু মিস আস্থিলদার লোয়া থোরসদোত্তি মনে করেন এরই মধ্যে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এসব ইস্যুকে তিনি এখন অন্যভাবে দেখেন। তবে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্ট্রান ফ্রেস্টাদোত্তির বলেছেন, বিষয়টি সিরিয়াস। সাধারণ পর্যায়ে মানুষ এসব বিষয়ে যা জানেন, তার চেয়ে কিছুটা বেশি জানার কথা মিস আস্থিলদারের। তিনি এ অভিযোগ পেয়েছেন বৃহস্পতিবার রাতে। সঙ্গে সঙ্গে তার অফিসে তলব করেন মিস আস্থিলদারকে। সেখানেই শিশুকল্যাণ বিষয়ক ওই মন্ত্রী পদত্যাগ করেন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, মিস আস্থিলদার ও মিস্টার আসমুন্ডসনের মধ্যকার সম্পর্ক যদিও গোপন ছিল, তবু সন্তান জন্মগ্রহণের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আসমুন্ডসন। এরপর প্রথম এক বছর তারা একসঙ্গে ছিলেন। কিন্তু মিস আস্থিলদারের স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সবকিছু বদলে গেছে। ওদিকে মিস্টার আসমুন্ডসন আগেই আইসল্যান্ডের আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে ডকুমেন্ট জমা দিয়েছেন। তাতে তিনি ওই সন্তানের ‘এক্সেস’ দাবি করেছেন। কিন্তু তার কাছ থেকে দেড় বছর ওই সন্তানের সাপোর্ট নেয়া সত্ত্বেও সন্তানের ‘এক্সেস’ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মিস আস্থেলদার। গত সপ্তাহে আসমুন্ডসনের একজন নারী আত্মীয় এ বিষয়ে দু’বার কথা বলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
No comments