চাঁদ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন বিজ্ঞানীরা
চাঁদ
নিয়ে আরো এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করলেন বিজ্ঞানীরা। নাসার লুনার
রেকোনাইস্যান্স অর্বিটার ও ভারতের চন্দ্রায়ন-১ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। তারা
জানিয়েছে, চাঁদের পানি নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় জমা নেই। সম্ভবত তা সমগ্র
চাঁদের পৃষ্ঠতলে ছড়িয়ে পড়েছে। নেচার জিও সায়েন্সে এই তথ্য প্রকাশ হয়েছে।
আমেরিকার স্পেস সায়েন্স ইনস্টিটিউটের সিনিয়র গবেষক জশুয়া ব্যান্ডফিল্ড
জানিয়েছেন, ‘দিনে বা রাতে, কোন সময় আমরা দেখছি বা কোন ল্যাটিচিউডে দেখছি,
সেটা বিষয় নয়। পানির অস্তিত্ব থাকার সব রকম সঙ্কেত পাওয়া গেছে। পানির
অস্তিত্ব পৃষ্ঠদেশের গঠনের ওপর নির্ভর করে না। পানি আশপাশেই রয়েছে।’
গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁদের মেরু অক্ষাংশে পানি রয়েছে। চান্দ্রদিন (পৃথিবীর
হিসাবে ২৯.৫ দিন) অনুসারে তা বাড়ে ও কমে। এই তথ্য গবেষকদের চাঁদের পানি
সম্পর্কে গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। চাঁদের পানির উৎস কী, তা
কিভাবে আসে, তা-ও জানতে সাহায্য করবে। যদি চাঁদে যথেষ্ট পরিমাণ পানি থাকে,
আর তা পর্যন্ত যদি পৌঁছা যায়, তাহলে তা ভবিষ্যতে খাওয়ার পানি হিসেবেও
ব্যবহার করা যাবে। যদি তা না-ও হয়, তাহলে পানি ভেঙে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন
গ্যাস পাওয়া যাবে। সেই গ্যাস রকেটের জ্বালানি হিসেবে বা শ্বাস নেয়ার জন্যও
ব্যবহার করা যেতে পারে।
নতুন এই তথ্য বলছে, হয়তো প্রাথমিকভাবে ‘ওএইচ’
হিসেবে রয়েছে। পানি বা ‘এইচটুও’-এর কাছাকাছি কোনো যৌগের আকারে রয়েছে। তা
থেকে ভেঙে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের অণু তৈরি করা সম্ভব হতে পারে। ‘ওএইচ’কে
বলা হয় হাইড্রক্সিল। এটি খুব বেশি দিন এভাবে থাকতে পারে না। কোনো-না-কোনো
অণুর সাথে জুড়ে যায়। চন্দ্রযান-১ স্পেসক্র্যাফেট মুন মিনেরারোলজি ম্যাপার
স্পেকটোমিটারে তথ্যগুলোর বিশ্লেষণ করা হয়। তাপমাত্রা নিয়েও নতুন তথ্য পাওয়া
গেছে। তবে তথ্যের বিশ্লেষণ এখনো শেষ হয়নি। বিজ্ঞানীরা এখনো চাঁদের পানি
নিয়ে মাথা ঘামিয়ে যাচ্ছেন। তবে ফলাফল বলছে, ‘ওএইচ’ বা ‘এইচটুও’ রয়েছে
চাঁদে। সৌর ঝড়ের প্রভাবেই এর সৃষ্টি হয়েছে। - টাইমস অব ইন্ডিয়া
No comments