শিশু আইন স্পষ্ট করতে সংশোধনী আসছে by দীন ইসলাম
অবশেষে
শিশু আইনে সংশোধনী আনতে যাচ্ছে সরকার। শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায়
প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিচার কোন আইনে বা কোন আদালতে হবে, তা স্পষ্ট করতেই
শিশু আইনে সংশোধনী আনা হচ্ছে। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত আইনের সংশোধনের খসড়া
মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে শিশু আইন
অনুমোদনের জন্য উঠবে। এছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে বস্ত্র আইন-২০১৮, জাতীয়
ক্রীড়া পরিষদ আইন-২০১৮ এবং বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আইন
(সংশোধন)-২০১৮ খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উঠবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
সূত্রে জানা গেছে, ‘শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮’-এর খসড়া এরই মধ্যে লেজিসলেটিভ
ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে ভেটিং হয়েছে।
তাই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আইনটি গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে তারা। এর আগে ঢাকা, কক্সবাজার ও রংপুরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা আলাদা চারটি মামলার আসামিরা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান। এসব মামলার সব আসামি প্রাপ্তবয়স্ক। শিশু আদালত এসব প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের জামিনের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করায় হাইকোর্ট রুল জারি করে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকদের এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী চারটি আদালতের বিচারকরা নিজ নিজ ব্যাখ্যা লিখিতভাবে আদালতে জমা দেন। ব্যাখ্যায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্রুনাল-৪ এর বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দ্য চিলড্রেন অ্যাক্ট, ১৯৭৪’-এর বিধান অনুযায়ী যেসব মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা ভিকটিম শিশু ওই সব মামলা বিচারের জন্য কিশোর আদালতে পাঠানো হতো। আর যেসব মামলায় কেবল অভিযুক্ত ব্যক্তি শিশু, ওই সব মামলার অপরাধ আমলে নেয়ার পর মামলাটি বিচারের জন্য কিশোর আদালতে পাঠানো হতো। কিন্তু ‘শিশু আইন, ২০১৩’-এর ১৭(১) ধারার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে অস্পষ্টতা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে থাকা শিশু আইনের ধারায় বলা হয়েছে, আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশু বা আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু কোনো মামলায় জড়িত থাকলে যেকোনো আইনের অধীনেই হোক না কেন, ওই মামলা বিচারের এখতিয়ার কেবল শিশু আদালতের থাকবে। তবে আইনের ধারা ১৮, দফা-(ক) এ শিশু আদালতকে ফৌজদারি কার্যবিধির দায়রা আদালতের ক্ষমতা দেয়া হলেও ওই আইনে শিশু আদালতকে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ এর কোনো ধারার অপরাধ আমলে নেয়া কিংবা বিচারের সুনির্দিষ্ট এখতিয়ার দেয়া হয়নি। শিশু আইনের ৩৩ (১) ধারা অনুসারে শিশু আদালত অভিযুক্ত কোনো শিশুকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারবেন। তাই আইনটি স্পষ্ট করতেই সংশোধনী আনা হচ্ছে। এদিকে গেল বছরের ২০শে মার্চ বস্ত্র আইনে নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। আজকের সভায় আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উঠবে। রপ্তানিমুখী বস্ত্র খাতকে আইনি কাঠামোয় নিয়ে আসতে আইনটি করা হয়েছে। নতুন আইনে সংঘটিত অপরাধে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আইনে মোট ২২টি ধারা রয়েছে। আইনের ধারায় রাষ্ট্রায়ত্ত বস্ত্র কারখানাগুলোর ব্যবস্থাপনা ও তদারকি, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সহায়তা প্রদান, খাতের উন্নয়নে তহবিল গঠন, মাননিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সমন্বয়, খাতের শিল্প নিবন্ধন, দক্ষ জনবল তৈরি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, গবেষণাকল্পে তথ্যভাণ্ডার প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণ, তথ্যাদি প্রদান ও মূল্য স্থিতিকরণ, অপরাধ ও দণ্ড, বিচার ও আপিল। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো আইন অনুযায়ী, আইনের অধীনে বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও নিবন্ধন গ্রহণ বা নিবন্ধন নবায়ন না করা হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। আবার নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত হওয়ার পর আপিল ব্যতিরেকে বস্ত্রশিল্প বা কারখানার কার্যক্রম অব্যাহত রাখলেও তা অপরাধ হবে। এছাড়া সরকার বা পোশাক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তার পরিদর্শন কাজে বাধা দিলে বা অসহযোগিতা করলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন-২০১৮ এবং বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আইন (সংশোধন) ২০১৮-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উঠবে।
তাই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আইনটি গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে তারা। এর আগে ঢাকা, কক্সবাজার ও রংপুরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা আলাদা চারটি মামলার আসামিরা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান। এসব মামলার সব আসামি প্রাপ্তবয়স্ক। শিশু আদালত এসব প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের জামিনের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করায় হাইকোর্ট রুল জারি করে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকদের এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী চারটি আদালতের বিচারকরা নিজ নিজ ব্যাখ্যা লিখিতভাবে আদালতে জমা দেন। ব্যাখ্যায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্রুনাল-৪ এর বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দ্য চিলড্রেন অ্যাক্ট, ১৯৭৪’-এর বিধান অনুযায়ী যেসব মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা ভিকটিম শিশু ওই সব মামলা বিচারের জন্য কিশোর আদালতে পাঠানো হতো। আর যেসব মামলায় কেবল অভিযুক্ত ব্যক্তি শিশু, ওই সব মামলার অপরাধ আমলে নেয়ার পর মামলাটি বিচারের জন্য কিশোর আদালতে পাঠানো হতো। কিন্তু ‘শিশু আইন, ২০১৩’-এর ১৭(১) ধারার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে অস্পষ্টতা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে থাকা শিশু আইনের ধারায় বলা হয়েছে, আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশু বা আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু কোনো মামলায় জড়িত থাকলে যেকোনো আইনের অধীনেই হোক না কেন, ওই মামলা বিচারের এখতিয়ার কেবল শিশু আদালতের থাকবে। তবে আইনের ধারা ১৮, দফা-(ক) এ শিশু আদালতকে ফৌজদারি কার্যবিধির দায়রা আদালতের ক্ষমতা দেয়া হলেও ওই আইনে শিশু আদালতকে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ এর কোনো ধারার অপরাধ আমলে নেয়া কিংবা বিচারের সুনির্দিষ্ট এখতিয়ার দেয়া হয়নি। শিশু আইনের ৩৩ (১) ধারা অনুসারে শিশু আদালত অভিযুক্ত কোনো শিশুকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারবেন। তাই আইনটি স্পষ্ট করতেই সংশোধনী আনা হচ্ছে। এদিকে গেল বছরের ২০শে মার্চ বস্ত্র আইনে নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। আজকের সভায় আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উঠবে। রপ্তানিমুখী বস্ত্র খাতকে আইনি কাঠামোয় নিয়ে আসতে আইনটি করা হয়েছে। নতুন আইনে সংঘটিত অপরাধে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আইনে মোট ২২টি ধারা রয়েছে। আইনের ধারায় রাষ্ট্রায়ত্ত বস্ত্র কারখানাগুলোর ব্যবস্থাপনা ও তদারকি, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সহায়তা প্রদান, খাতের উন্নয়নে তহবিল গঠন, মাননিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সমন্বয়, খাতের শিল্প নিবন্ধন, দক্ষ জনবল তৈরি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, গবেষণাকল্পে তথ্যভাণ্ডার প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণ, তথ্যাদি প্রদান ও মূল্য স্থিতিকরণ, অপরাধ ও দণ্ড, বিচার ও আপিল। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো আইন অনুযায়ী, আইনের অধীনে বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও নিবন্ধন গ্রহণ বা নিবন্ধন নবায়ন না করা হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। আবার নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত হওয়ার পর আপিল ব্যতিরেকে বস্ত্রশিল্প বা কারখানার কার্যক্রম অব্যাহত রাখলেও তা অপরাধ হবে। এছাড়া সরকার বা পোশাক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তার পরিদর্শন কাজে বাধা দিলে বা অসহযোগিতা করলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন-২০১৮ এবং বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আইন (সংশোধন) ২০১৮-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উঠবে।
No comments