রাম মন্দির নির্মাণে বিশ্বের কোনো শক্তিই বাধা দিতে পারবে না: বিনয় কাটিয়ার
মুহাম্মদ কামরুজ্জামান |
ভারতে
হিন্দুত্ববাদী বিজেপি’র রাজ্যসভার সদস্য বিনয় কাটিয়ার বলেছেন, "রাম মন্দির
নির্মাণে বিশ্বের কোনো শক্তিই বাধা দিতে পারবে না। যদি মসজিদের দাবি
অব্যাহত থাকে তাহলে সাড়ে ছয় হাজার বিতর্কিত মসজিদের উপরে আমরা দাবি জানাব।"
আজ (সোমবার) ‘আজতক’ হিন্দি গণমাধ্যমে শ্রী কাটিয়ারের ওই বিতর্কিত মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে। তিনি মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি’র উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘উনি বলুন মসজিদ কোথায় তৈরি করবেন, অযোধ্যায় তো রামলালা বিরাজমান আছে। এবার শুধুমাত্র তা বিশালাকার করা হবে এবং দিব্যতা দেয়া হবে। খুব শিগগিরি সেখানে গ্র্যান্ড ও ঐশ্বরিক রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে।’ বাবরী মসজিদ নামের কোনো জিনিস সেখানে অবশিষ্ট ছিল না বলে তিনি দাবি করেন।
কাটিয়ার বলেন, ‘আফগানিস্তানে বাবরের কবর পাকা নয় তো ভারতে কী তৈরি হবে?’ তার দাবি, বাবরী মসজিদ কোনো নথিতে নেই, কোথাও বাবরের নামে কিছু নেই। আমরা সবসময় বলে এসেছি আমাদের তিন স্থান চাই অযোধ্যা, কাশী ও মথুরা। কাশী ও মথুরাতে আগে থেকেই মন্দির আছে কিন্তু অযোধ্যাতে এরকম কাঠামো ছিল না। প্রথমে অযোধ্যার দাবি ছেড়ে দিলে আমরা ভাববো কাশী ও মথুরার ব্যাপারে কী করা হবে।’
বিনয় কাটিয়ার রাম মন্দির প্রসঙ্গে বলেন, ‘মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন আছে। আমরা আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি কিন্তু এটা অবশ্যই বলব যে, যা-ই হোক না কেন যেকোনো অবস্থাতেই রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে।’
মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি গত (শনিবার) নয়াদিল্লিতে ‘স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অব ইন্ডিয়া’র (এসআইও) সর্বভারতীয় সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময় বাবরী মসজিদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমাদের মসজিদ ছিল, আছে এবং তা থাকবে। ইনশাআল্লাহ্ সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের পক্ষে যাওয়ার পর তা পুনরায় তা তৈরি হবে। আমার বিশ্বাস আছে যে সুপ্রিম কোর্টের রায় আস্থা-বিশ্বাসের ভিত্তিতে নয় বরং তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হবে।’
এরপরেই গতকাল (রোববার) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং ভারতের সমস্ত মুসলিমদের রামের বংশধর বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।
আজ (সোমবার) ‘আজতক’ হিন্দি গণমাধ্যমে শ্রী কাটিয়ারের ওই বিতর্কিত মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে। তিনি মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি’র উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘উনি বলুন মসজিদ কোথায় তৈরি করবেন, অযোধ্যায় তো রামলালা বিরাজমান আছে। এবার শুধুমাত্র তা বিশালাকার করা হবে এবং দিব্যতা দেয়া হবে। খুব শিগগিরি সেখানে গ্র্যান্ড ও ঐশ্বরিক রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে।’ বাবরী মসজিদ নামের কোনো জিনিস সেখানে অবশিষ্ট ছিল না বলে তিনি দাবি করেন।
কাটিয়ার বলেন, ‘আফগানিস্তানে বাবরের কবর পাকা নয় তো ভারতে কী তৈরি হবে?’ তার দাবি, বাবরী মসজিদ কোনো নথিতে নেই, কোথাও বাবরের নামে কিছু নেই। আমরা সবসময় বলে এসেছি আমাদের তিন স্থান চাই অযোধ্যা, কাশী ও মথুরা। কাশী ও মথুরাতে আগে থেকেই মন্দির আছে কিন্তু অযোধ্যাতে এরকম কাঠামো ছিল না। প্রথমে অযোধ্যার দাবি ছেড়ে দিলে আমরা ভাববো কাশী ও মথুরার ব্যাপারে কী করা হবে।’
বিনয় কাটিয়ার রাম মন্দির প্রসঙ্গে বলেন, ‘মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন আছে। আমরা আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি কিন্তু এটা অবশ্যই বলব যে, যা-ই হোক না কেন যেকোনো অবস্থাতেই রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে।’
মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি গত (শনিবার) নয়াদিল্লিতে ‘স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অব ইন্ডিয়া’র (এসআইও) সর্বভারতীয় সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময় বাবরী মসজিদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমাদের মসজিদ ছিল, আছে এবং তা থাকবে। ইনশাআল্লাহ্ সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের পক্ষে যাওয়ার পর তা পুনরায় তা তৈরি হবে। আমার বিশ্বাস আছে যে সুপ্রিম কোর্টের রায় আস্থা-বিশ্বাসের ভিত্তিতে নয় বরং তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হবে।’
এরপরেই গতকাল (রোববার) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং ভারতের সমস্ত মুসলিমদের রামের বংশধর বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।
ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি |
আসাদউদ্দিন
ওয়াইসিকে টার্গেট করে তিনি বলেন, 'ওরাতো মক্কা-মদীনায় যাবে, কিন্তু আমরা
কোথায় যাব? রাম মন্দির কী পাকিস্তানে তৈরি হবে?’ ওয়াইসির মতো লোকেরা দেশকে
ভাঙতে চাচ্ছেন বলেও গিরিরাজ সিং মন্তব্য করেন।
এ প্রসঙ্গে আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘শুধু ভারত নয়, বিশ্বের কোথাও মুসলিমরা বিতর্কিত স্থানে মসজিদ নির্মাণ করে না। কেননা মুসলিমরা বিতর্কিত স্থানে নামাজ পড়া বৈধ বলে মনে করে না। ফলে শুধু বাবরী মসজিদের জায়গা নয়, বিশ্বের কোথাও বিতর্কিত জায়গায় মসজিদ হয়নি। এটা ভারতের বিচার ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় ঘোষণা করার আগেই যেভাবে শাসক দলের নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা একের পর এক তাদের মনগড়া কথা বলছেন এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়কে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিচার ব্যবস্থার ওপরে আমাদের আস্থা আছে। আমরা মনে করি সুপ্রিম কোর্টের ফায়সালা মানুষের আবেগের দিকে লক্ষ্য রেখে নয়, দলিল প্রমাণাদির ভিত্তিতে বাবরী মসজিদের পক্ষে রায় দেয়া হবে। এটা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কোনো শক্তি নেই যে কেউ সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অবমাননা করবে।
এ প্রসঙ্গে আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘শুধু ভারত নয়, বিশ্বের কোথাও মুসলিমরা বিতর্কিত স্থানে মসজিদ নির্মাণ করে না। কেননা মুসলিমরা বিতর্কিত স্থানে নামাজ পড়া বৈধ বলে মনে করে না। ফলে শুধু বাবরী মসজিদের জায়গা নয়, বিশ্বের কোথাও বিতর্কিত জায়গায় মসজিদ হয়নি। এটা ভারতের বিচার ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় ঘোষণা করার আগেই যেভাবে শাসক দলের নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা একের পর এক তাদের মনগড়া কথা বলছেন এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়কে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিচার ব্যবস্থার ওপরে আমাদের আস্থা আছে। আমরা মনে করি সুপ্রিম কোর্টের ফায়সালা মানুষের আবেগের দিকে লক্ষ্য রেখে নয়, দলিল প্রমাণাদির ভিত্তিতে বাবরী মসজিদের পক্ষে রায় দেয়া হবে। এটা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কোনো শক্তি নেই যে কেউ সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অবমাননা করবে।
No comments