মুসা বিন শমসেরের ব্যাপারে দুদকের হাতে নতুন তথ্য! by মোর্শেদ নোমান
মুসা বিন শমসের। ফাইল ছবি |
বিতর্কিত
ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের সম্পদ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে মুসা ও
ব্যবসায়ী টিপু আলমের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীর জন্য নোটিশ জারি করছে
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সুইস ব্যাংকে তাঁর ১২ বিলিয়ন ডলার বিষয়ে তথ্য
জানতে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স
ইউনিটের কাছেও চিঠি পাঠাচ্ছে সংস্থাটি। দুদকের কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন
গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টিপু আলম মুসার ছোট ছেলে জুবি হাজ্জাজের শ্বশুর কে এম শহিদুল্লাহর ভাগ্নে ও ব্যবসায়িক অংশীদার। জুবির স্ত্রী নাসরিন সুলতানা সুমি টিপু আলমের খালাতো বোন। দুদকের অনুসন্ধানে মুসার সঙ্গে টিপু আলমের ‘পরোক্ষ’ সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। এর আগে তাঁকেও দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, অনুসন্ধানে নামার সময় সুইস ব্যাংকে মুসার যে পরিমাণ অর্থ রয়েছে বলে দুদক জানত, প্রকৃতপক্ষে এ পরিমাণ আরও বেশি। দুদকের দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদে মুসা নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। সম্প্রতি দুদকের অনুসন্ধান দল মুসার মালিকানাধীন বনানীর জনশক্তি প্রতিষ্ঠান ড্যাটকো এবং তার গুলশানের বাসায় পরিদর্শনে যান। সেখানে মুসা বিন শমসেরকে দলটি জিজ্ঞাসাবাদও করেন বলে জানা গেছে।
সূত্রটি আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মুসা জানিয়েছেন, সুইস ব্যাংকে তাঁর একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে এ অ্যাকাউন্টে সাত বিলিয়ন নয়, বর্তমানে জমা আছে মোট ১২ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৯৩ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসেবে)। এ অর্থ জব্দ অবস্থায় রয়েছে বলেও জানান তিনি। অথচ সুইস ব্যাংকে মুসার জব্দকৃত অর্থের পরিমাণ সাত বিলিয়ন ডলার রয়েছে তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। দুদকের প্রথম দফা জিজ্ঞাসাবাদেও এ তথ্য জানিয়েছিলেন মুসা। মুসার দেওয়া নতুন এ তথ্যের পর আইনি প্রক্রিয়ায় প্রকৃত অর্থের পরিমাণ ও উৎস জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সহায়তা চাইছে দুদক।
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা দাবি করেন, বাংলাদেশ থেকে তার কোনো অর্থই সুইস ব্যাংকে জমা হয়নি। ৪২ বছর বিদেশে বৈধভাবে ব্যবসার মাধ্যমেই তিনি ১২ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছেন, যা সুইস ব্যাংকে তার নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, মিসর, সিরিয়া ও পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশের সরকারি প্রতিরক্ষা ক্রয়সংক্রান্ত পাওনা অর্থই সুইস ব্যাংকের মুসার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।
সুইস ব্যাংকে অতিরিক্ত পাঁচ বিলিয়ন ডলার সম্পদের তথ্যের পাশাপাশি দুদককে মুসা আরও জানিয়েছেন, সাভারে তাঁর এক হাজার ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। সত্তরের দশকে নিজ নামে ঢাকা জেলার সাভার অঞ্চলে বিভিন্ন দাগে বিভিন্ন সময় দলিল ও সাফ-কবলার মাধ্যমে এ সব জমি কিনেছেন। জমির অধিকাংশই বর্তমানে গাজীপুর জেলার বিভিন্ন মৌজায় তফসিলভুক্ত। তিনি জানান, দেশে না থাকায় এ সব জমির খাজনা পরিশোধ করে নামজারি করা সম্ভব হয়নি। তবে গত কয়েক বছরে দেশের অবস্থানের কারণে জমিগুলো পুনরুদ্ধারে চেষ্টা করছেন।
২০১৪ সালের জুন মাসে বিজনেস এশিয়া নামের একটি সাময়িকীর ঈদসংখ্যায় মুসাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গত বছরের ৩ নভেম্বর কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে মুসার সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ওই সাময়িকীতে এই ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তাঁর জীবনযাত্রা, আর্থিক সামর্থ্য ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর প্রায় ৪০ জন ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর বহর নিয়ে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হন তিনি। দুদকের উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল অভিযোগটির অনুসন্ধান করছেন।
টিপু আলম মুসার ছোট ছেলে জুবি হাজ্জাজের শ্বশুর কে এম শহিদুল্লাহর ভাগ্নে ও ব্যবসায়িক অংশীদার। জুবির স্ত্রী নাসরিন সুলতানা সুমি টিপু আলমের খালাতো বোন। দুদকের অনুসন্ধানে মুসার সঙ্গে টিপু আলমের ‘পরোক্ষ’ সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। এর আগে তাঁকেও দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, অনুসন্ধানে নামার সময় সুইস ব্যাংকে মুসার যে পরিমাণ অর্থ রয়েছে বলে দুদক জানত, প্রকৃতপক্ষে এ পরিমাণ আরও বেশি। দুদকের দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদে মুসা নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। সম্প্রতি দুদকের অনুসন্ধান দল মুসার মালিকানাধীন বনানীর জনশক্তি প্রতিষ্ঠান ড্যাটকো এবং তার গুলশানের বাসায় পরিদর্শনে যান। সেখানে মুসা বিন শমসেরকে দলটি জিজ্ঞাসাবাদও করেন বলে জানা গেছে।
সূত্রটি আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মুসা জানিয়েছেন, সুইস ব্যাংকে তাঁর একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে এ অ্যাকাউন্টে সাত বিলিয়ন নয়, বর্তমানে জমা আছে মোট ১২ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৯৩ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসেবে)। এ অর্থ জব্দ অবস্থায় রয়েছে বলেও জানান তিনি। অথচ সুইস ব্যাংকে মুসার জব্দকৃত অর্থের পরিমাণ সাত বিলিয়ন ডলার রয়েছে তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। দুদকের প্রথম দফা জিজ্ঞাসাবাদেও এ তথ্য জানিয়েছিলেন মুসা। মুসার দেওয়া নতুন এ তথ্যের পর আইনি প্রক্রিয়ায় প্রকৃত অর্থের পরিমাণ ও উৎস জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সহায়তা চাইছে দুদক।
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা দাবি করেন, বাংলাদেশ থেকে তার কোনো অর্থই সুইস ব্যাংকে জমা হয়নি। ৪২ বছর বিদেশে বৈধভাবে ব্যবসার মাধ্যমেই তিনি ১২ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছেন, যা সুইস ব্যাংকে তার নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, মিসর, সিরিয়া ও পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশের সরকারি প্রতিরক্ষা ক্রয়সংক্রান্ত পাওনা অর্থই সুইস ব্যাংকের মুসার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।
সুইস ব্যাংকে অতিরিক্ত পাঁচ বিলিয়ন ডলার সম্পদের তথ্যের পাশাপাশি দুদককে মুসা আরও জানিয়েছেন, সাভারে তাঁর এক হাজার ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। সত্তরের দশকে নিজ নামে ঢাকা জেলার সাভার অঞ্চলে বিভিন্ন দাগে বিভিন্ন সময় দলিল ও সাফ-কবলার মাধ্যমে এ সব জমি কিনেছেন। জমির অধিকাংশই বর্তমানে গাজীপুর জেলার বিভিন্ন মৌজায় তফসিলভুক্ত। তিনি জানান, দেশে না থাকায় এ সব জমির খাজনা পরিশোধ করে নামজারি করা সম্ভব হয়নি। তবে গত কয়েক বছরে দেশের অবস্থানের কারণে জমিগুলো পুনরুদ্ধারে চেষ্টা করছেন।
২০১৪ সালের জুন মাসে বিজনেস এশিয়া নামের একটি সাময়িকীর ঈদসংখ্যায় মুসাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গত বছরের ৩ নভেম্বর কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে মুসার সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ওই সাময়িকীতে এই ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তাঁর জীবনযাত্রা, আর্থিক সামর্থ্য ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর প্রায় ৪০ জন ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর বহর নিয়ে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হন তিনি। দুদকের উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল অভিযোগটির অনুসন্ধান করছেন।
No comments