বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস- অস্থিরতার তীব্রতা বৃদ্ধি প্রধান ঝুঁকি
ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের অনুষ্ঠেয় স্প্রিং অধিবেশনকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাংক কার্যত হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে যে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ যে ধরনের ‘স্থিতিশীলতা’ প্রত্যক্ষ করেছে সেভাবে আগামী ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ‘স্থিতিশীল’ থাকতে পারে। উপরন্তু চলমান রাজনৈতিক গোলোযোগ দীর্ঘায়িত ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়াটাই হলো দেশটির প্রধান ঝুঁকি। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বিশ্বব্যাংক সম্ভবত অনেকটা ধরেই নিয়েছে যে, ২০১৯ সালের আগে রাজনৈতিক সমঝোতা না হওয়া এবং সহিংস রাজনীতিরও অবসান না ঘটার মতো অনিশ্চয়তা থেকে যেতে পারে। ১৭-১৯শে এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ওই স্প্রিং সভায় যোগ দিতে অর্থমন্ত্রী এম এ মুহিত গতকাল ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
গত ১২ই মার্চ ঢাকায় প্রকাশিত বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ছয়টি বিষয় চিহ্নিত করে দিয়েও বিশ্বব্যাংক সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, ‘মজবুত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাই বাংলাদেশের জন্য বৃহত্তম হুমকি।’ এমনকি তারা পূর্বাভাস দিয়ে মন্তব্য করেছে যে, ‘চলমান রাজনৈতিক গোলোযোগ দীর্ঘায়িত ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়াটাই হলো দেশটির প্রধান ঝুঁকি। অস্থিরতার অবসানের কোন স্পষ্ট ইঙ্গিতই বর্তমানে নেই। যদিও নিকট ভবিষ্যতে রাজপথের সহিংসতা হ্রাস পেতে পারে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সকল উল্লেখযোগ্য স্টেকহোল্ডারদের কাছে কোন গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছার সম্ভাবনা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের হতাশ করে চলতে পারে।’
বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদন এরপর আরও নির্দিষ্টভাবে বলেছে, ‘এ ধরনের একটি সুরাহা ছাড়া বাংলাদেশ অস্থিরতার নানা ধাপ অতিক্রম করতে পারে। সেই সঙ্গে ২০১৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে এবং ২০১৫ সালের প্রথমার্ধে রাজপথে যে ধরনের সহিংসতা চলেছে এবং ২০১৯ সালে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান পর্যন্ত ২০১৪ সালে যে ধরনের স্থিতিশীলতার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, সেটাই প্রত্যক্ষ করতে পারে।’
তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলা অবরোধের প্রেক্ষাপট এবং ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বসন্তকালীন সভাকে সামনে রেখে গত ১২ই এপ্রিল ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন প্রকাশকে পর্যবেক্ষকরা সুচিন্তিত ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন। আশা করা হচ্ছে, এম এ মুহিত রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ যে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা বজায় রাখতে পারে সে বিষয়ে নীতি-নির্ধারকদের আশ্বস্ত করবেন।
বিশ্বব্যাংক টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য ছয়টি বিষয় দরকারি বলে চিহ্নিত করে দিলেও এককভাবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপরই সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করেছে। ৪২ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে রাজনীতি সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক যে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচি সরকারের ভাষায় ব্যর্থ হওয়া কিংবা বিরোধী দল আর ‘কোমর সোজা করে দাঁড়াতে না পারা’ মর্মে যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হচ্ছে তাতে বিশ্বব্যাংক আশ্বস্ত হতে পারবে না। এমনকি রাজনৈতিক সংকট যে প্রলম্বিত হতে পারে তাও বিবেচনায় নিয়েছে তারা।
বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে চিহ্নিত করে দেয়া ছয়টি বিষয় হলো- প্রথমত, বিনিময়হারের নমনীয়তা বজায় রেখে আর্থিক স্পেস সৃষ্টি করা, দ্বিতীয়ত, বিশেষ ইকনোমিক জোন প্রতিষ্ঠা করে ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ বাড়ানো, তৃতীয়ত, বেসরকারি খাতের রেগুলেটরি নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো, চতুর্থত, ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প স্থাপনে ভূমির যোগান নিশ্চিত করা, পঞ্চমত, কানেকটিভিটি উন্নত করতে পরিবহন সমস্যা দূরীকরণ এবং ষষ্ঠত সংগঠিত আর্থিক খাতে নারীর অংশগ্রহণের বাধা প্রশমিত করা।
বিশ্বব্যাংক গত মাসেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ঢাকায় তাদের একটি প্রস্তাবিত মিশনের সফর বাতিল করেছে। মিশন সদস্যদের অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল। অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান যদিও বলেছিলেন যে, রাজনৈতিক কারণে মিশনটির সফর বাতিল হয়নি, এর অন্য কারণ থাকতে পারে।
গত ১২ই মার্চ ঢাকায় প্রকাশিত বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ছয়টি বিষয় চিহ্নিত করে দিয়েও বিশ্বব্যাংক সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, ‘মজবুত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাই বাংলাদেশের জন্য বৃহত্তম হুমকি।’ এমনকি তারা পূর্বাভাস দিয়ে মন্তব্য করেছে যে, ‘চলমান রাজনৈতিক গোলোযোগ দীর্ঘায়িত ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়াটাই হলো দেশটির প্রধান ঝুঁকি। অস্থিরতার অবসানের কোন স্পষ্ট ইঙ্গিতই বর্তমানে নেই। যদিও নিকট ভবিষ্যতে রাজপথের সহিংসতা হ্রাস পেতে পারে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সকল উল্লেখযোগ্য স্টেকহোল্ডারদের কাছে কোন গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছার সম্ভাবনা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের হতাশ করে চলতে পারে।’
বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদন এরপর আরও নির্দিষ্টভাবে বলেছে, ‘এ ধরনের একটি সুরাহা ছাড়া বাংলাদেশ অস্থিরতার নানা ধাপ অতিক্রম করতে পারে। সেই সঙ্গে ২০১৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে এবং ২০১৫ সালের প্রথমার্ধে রাজপথে যে ধরনের সহিংসতা চলেছে এবং ২০১৯ সালে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান পর্যন্ত ২০১৪ সালে যে ধরনের স্থিতিশীলতার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, সেটাই প্রত্যক্ষ করতে পারে।’
তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলা অবরোধের প্রেক্ষাপট এবং ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বসন্তকালীন সভাকে সামনে রেখে গত ১২ই এপ্রিল ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন প্রকাশকে পর্যবেক্ষকরা সুচিন্তিত ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন। আশা করা হচ্ছে, এম এ মুহিত রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ যে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা বজায় রাখতে পারে সে বিষয়ে নীতি-নির্ধারকদের আশ্বস্ত করবেন।
বিশ্বব্যাংক টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য ছয়টি বিষয় দরকারি বলে চিহ্নিত করে দিলেও এককভাবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপরই সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করেছে। ৪২ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে রাজনীতি সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক যে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচি সরকারের ভাষায় ব্যর্থ হওয়া কিংবা বিরোধী দল আর ‘কোমর সোজা করে দাঁড়াতে না পারা’ মর্মে যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হচ্ছে তাতে বিশ্বব্যাংক আশ্বস্ত হতে পারবে না। এমনকি রাজনৈতিক সংকট যে প্রলম্বিত হতে পারে তাও বিবেচনায় নিয়েছে তারা।
বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে চিহ্নিত করে দেয়া ছয়টি বিষয় হলো- প্রথমত, বিনিময়হারের নমনীয়তা বজায় রেখে আর্থিক স্পেস সৃষ্টি করা, দ্বিতীয়ত, বিশেষ ইকনোমিক জোন প্রতিষ্ঠা করে ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ বাড়ানো, তৃতীয়ত, বেসরকারি খাতের রেগুলেটরি নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো, চতুর্থত, ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প স্থাপনে ভূমির যোগান নিশ্চিত করা, পঞ্চমত, কানেকটিভিটি উন্নত করতে পরিবহন সমস্যা দূরীকরণ এবং ষষ্ঠত সংগঠিত আর্থিক খাতে নারীর অংশগ্রহণের বাধা প্রশমিত করা।
বিশ্বব্যাংক গত মাসেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ঢাকায় তাদের একটি প্রস্তাবিত মিশনের সফর বাতিল করেছে। মিশন সদস্যদের অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল। অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান যদিও বলেছিলেন যে, রাজনৈতিক কারণে মিশনটির সফর বাতিল হয়নি, এর অন্য কারণ থাকতে পারে।
No comments