জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সেনাবাহিনী পাশে থাকবে -প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকার পেশাদার
এবং সুপ্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ মহান
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সৃষ্ট সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে গর্ববোধ করে। আমাদের
দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সব সময় তাদের পাশে রয়েছে।
ভবিষ্যতেও তারা জনগণের পাশে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল ন্যাশনাল ডিফেন্স
কলেজ (এনডিসি) এবং আর্মড ফোর্স ওয়ার (এএফডব্লিউ) কোর্স ২০১৪-এর
গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে এনডিসি’র কমান্ড্যান্ট লে. জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর-ও বক্তব্য
রাখেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, কূটনৈতিক এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর লক্ষ্য অর্জনে চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক এমবিটি-২০০০, সেলফপ্রোপেলড গান, রাডার, সেনাবাহিনীর জন্য এপিসি এবং সামরিক বিমানবাহিনীর জন্য আধুনিক হেলিকপ্টারসহ আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌবাহিনীর জন্য সাবমেরিন ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২০১৬ সালের মধ্যে এই সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হেলিকপ্টার, মেরিন পেট্রল এয়ারক্রাপ্ট, মডার্ন ফ্রিগেট ও জাহাজ কেনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সশস্ত্র বাহিনীর সর্বশেষ প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার নিশ্চিত করেছেন।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অখণ্ডতা ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে এবং যে কোন ধরনের প্রাকৃতিক ও অন্য কোন দুর্যোগের সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়াচ্ছে। তারা কৌশলগত অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এবং দেশে ও দেশের বাইরে খুবই মানসম্পন্ন কাজ করছে। তারা দেশে ও বিদেশে ভাল কাজ করে সুনাম বয়ে আনছে। তিনি জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যকার এ অংশীদারিত্ব আগামীতে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি বহুমুখীকরণ ও জোরদারে এসব দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিরও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ অবস্থায় আমাদের অবশ্যই অর্থনীতি বহুমুখীকরণ ও শক্তিশালীকরণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ এখন একটি বৈশ্বিক বহুমুখী বিশ্বে বসবাস করছে। সব মানুষের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে। এতে কখনও কখনও কিছু সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, এজন্য আমরা জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কিছু আইন প্রণয়নও করেছি। তবে প্রযুক্তির কার্যকর সফল ব্যবহারকেও আমরা উৎসাহিত করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল গণতন্ত্র এবং প্রতারণামুক্ত একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সরকার ব্যবস্থায় এ মূল নীতি নিশ্চিত করতে আমাদের সাহসী বীর সন্তানরা জীবন উৎসর্গ করেছে। শেখ হাসিনা কলেজের শিক্ষার মান বজায় রেখে আরও উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এই কলেজ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী কর্মকর্তারা তাদের জ্ঞানের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও জনগণের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায় সূচনায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এ বছর এনডিসি কোর্সে বাংলাদেশ থেকে ৪৮ জন অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ২৮ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে ৪ জন কমোডর, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী থেকে তিনজন গ্রুপ ক্যাপ্টেন, প্রশাসন ও সিভিল সার্ভিসের অন্যান্য ক্যাডার থেকে ১১ জন যুগ্ম সচিব, ফরেন সার্ভিস থেকে একজন মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ থেকে একজন উপমহাপরিদর্শক কোর্সে অংশ নেন। পাশাপাশি ১১টি বন্ধুপ্রতিম দেশ থেকে ২৮ জন বিদেশী এ কোর্সে অংশ নেন। এ বছরের এএফডব্লিউ কোর্সে মোট ৩৫ জন অংশ নেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ৬ লে. কর্নেল, বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে ২ জন ক্যাপ্টেন ও ৩ জন কমান্ডার এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনী থেকে একজন গ্রুপ ক্যাপ্টেন ও তিনজন উইং কমান্ডার অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, কূটনৈতিক এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর লক্ষ্য অর্জনে চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক এমবিটি-২০০০, সেলফপ্রোপেলড গান, রাডার, সেনাবাহিনীর জন্য এপিসি এবং সামরিক বিমানবাহিনীর জন্য আধুনিক হেলিকপ্টারসহ আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌবাহিনীর জন্য সাবমেরিন ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২০১৬ সালের মধ্যে এই সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হেলিকপ্টার, মেরিন পেট্রল এয়ারক্রাপ্ট, মডার্ন ফ্রিগেট ও জাহাজ কেনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সশস্ত্র বাহিনীর সর্বশেষ প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার নিশ্চিত করেছেন।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অখণ্ডতা ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে এবং যে কোন ধরনের প্রাকৃতিক ও অন্য কোন দুর্যোগের সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়াচ্ছে। তারা কৌশলগত অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এবং দেশে ও দেশের বাইরে খুবই মানসম্পন্ন কাজ করছে। তারা দেশে ও বিদেশে ভাল কাজ করে সুনাম বয়ে আনছে। তিনি জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যকার এ অংশীদারিত্ব আগামীতে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি বহুমুখীকরণ ও জোরদারে এসব দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিরও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ অবস্থায় আমাদের অবশ্যই অর্থনীতি বহুমুখীকরণ ও শক্তিশালীকরণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ এখন একটি বৈশ্বিক বহুমুখী বিশ্বে বসবাস করছে। সব মানুষের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে। এতে কখনও কখনও কিছু সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, এজন্য আমরা জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কিছু আইন প্রণয়নও করেছি। তবে প্রযুক্তির কার্যকর সফল ব্যবহারকেও আমরা উৎসাহিত করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল গণতন্ত্র এবং প্রতারণামুক্ত একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সরকার ব্যবস্থায় এ মূল নীতি নিশ্চিত করতে আমাদের সাহসী বীর সন্তানরা জীবন উৎসর্গ করেছে। শেখ হাসিনা কলেজের শিক্ষার মান বজায় রেখে আরও উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এই কলেজ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী কর্মকর্তারা তাদের জ্ঞানের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও জনগণের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায় সূচনায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এ বছর এনডিসি কোর্সে বাংলাদেশ থেকে ৪৮ জন অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ২৮ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে ৪ জন কমোডর, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী থেকে তিনজন গ্রুপ ক্যাপ্টেন, প্রশাসন ও সিভিল সার্ভিসের অন্যান্য ক্যাডার থেকে ১১ জন যুগ্ম সচিব, ফরেন সার্ভিস থেকে একজন মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ থেকে একজন উপমহাপরিদর্শক কোর্সে অংশ নেন। পাশাপাশি ১১টি বন্ধুপ্রতিম দেশ থেকে ২৮ জন বিদেশী এ কোর্সে অংশ নেন। এ বছরের এএফডব্লিউ কোর্সে মোট ৩৫ জন অংশ নেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ৬ লে. কর্নেল, বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে ২ জন ক্যাপ্টেন ও ৩ জন কমান্ডার এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনী থেকে একজন গ্রুপ ক্যাপ্টেন ও তিনজন উইং কমান্ডার অংশ নেন।
No comments