জিএসপির বন্ধ দরজা খুলছে না সহসা
বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনের মেয়াদ শেষ
হওয়ার পথে। কিন্তু চলে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য
সুবিধা (জিএসপি) প্রাপ্তির বিষয়ে সুখবরটি দিতে পারেননি বিদায়ী মার্কিন
রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা। বরং তার বক্তব্য থেকে ধারণা মিলছে,
আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রবেশে বন্ধ হওয়া দরজা সহসাই খুলছে
না।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন মজিনা। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ এবং দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য পরিস্থিতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
জানা গেছে, সাক্ষাৎকালে জিএসপি প্রাপ্তি প্রসঙ্গে মজিনা বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, জিএসপির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তার দেশের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি দাবি করেন, এ মুহূর্তে আমেরিকার বাজারে বিশ্বের কোনো দেশই জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে না। তাই বাংলাদেশেরও এখন জিএসপি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, পুনরায় মার্কিন বাজারে জিএসপি সুবিধা দেয়া হবে। আর এ সিদ্ধান্ত নেবে মার্কিন কংগ্রেস। তবে কবে নাগাদ কংগ্রেস এ সিদ্ধান্ত নেবে তা জানেন না বলে মন্তব্য করেন মজিনা।
ঘণ্টাব্যাপী একান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ ও ড্যান মজিনা। এ সময় বাণিজ্য সচিব মো. হেদায়েত আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
মজিনা সাংবাদিকদের বলেন, আমি রাষ্ট্রদূত হিসেবে এদেশে তিন বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছি। এখন চলে যাওয়ার সময় হয়েছে। এ সময় আমি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ দেশের সব জেলা শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে দেখেছি। আমি বিস্মিত বাংলাদেশের ক্রমোন্নতি দেখে। সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটে চলেছে। মজিনা দাবি করেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চমৎকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রয়েছে। এ সম্পর্ক উষ্ণ ও আন্তরিক। এদেশের উন্নয়ন সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রও ভূমিকা রাখছে।
রানা প্লাজা দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে ড্যান মজিনা বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর এ শিল্পে যে অন্ধকার ভর করেছিল তা এখন কেটে গেছে। কারণ ওই দুর্ঘটনার পর তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশের উন্নয়ন হয়েছে, এখনও হচ্ছে। শ্রম আইন সংশোধন হয়েছে এবং শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
পোশাক শিল্প ছাড়াও অন্যান্য খাতের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, অচিরেই চামড়া শিল্পে বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ দেশের চামড়াজাত পণ্য বিশ্বে দারুণভাবে সমাদৃত হচ্ছে। আমি আশা করি আগামী ৫ বছরেই এ খাতটি তৈরি পোশাকের মতো শীর্ষ রফতানিকারকের পর্যায়ে চলে যাবে। এর বাইরে ওষুধ শিল্পেও ব্যাপক উত্তরণ ঘটেছে বাংলাদেশের। বিশ্বের বহু দেশে এখন ওষুধ রফতানি হচ্ছে। দাম ও মানের কারণে এ শিল্পেরও বিপ্লব ঘটেছে। এছাড়া আইটি খাতেও রয়েছে অপার সম্ভাবনা। তবে এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।
বাংলাদেশকে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ উপযোগী দেশ হিসেবে অভিহিত করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশই এখানে বিনিয়োগে আগ্রহী। আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রও। এ দেশের শিল্প খাতের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। কারণ সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অসীম সম্ভাবনা রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, এটি কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আলোচনা ছিল না। এটি ছিল মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী ও আবেগঘন সাক্ষাৎ। তিনি বলেন, ভালো-মন্দ থাকতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখনও আমাদের জন্য শীর্ষ রফতানিকারক দেশ। জিএসপি সুবিধা না থাকলেও কিভাবে বাণিজ্য আরও বাড়ানো যায় সে বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে। রফতানি বাড়ানোর বিষয়ে লেদার, ফার্মাসিউটিক্যালস ও আইটি খাতের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন মজিনা। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ এবং দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য পরিস্থিতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
জানা গেছে, সাক্ষাৎকালে জিএসপি প্রাপ্তি প্রসঙ্গে মজিনা বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, জিএসপির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তার দেশের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি দাবি করেন, এ মুহূর্তে আমেরিকার বাজারে বিশ্বের কোনো দেশই জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে না। তাই বাংলাদেশেরও এখন জিএসপি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, পুনরায় মার্কিন বাজারে জিএসপি সুবিধা দেয়া হবে। আর এ সিদ্ধান্ত নেবে মার্কিন কংগ্রেস। তবে কবে নাগাদ কংগ্রেস এ সিদ্ধান্ত নেবে তা জানেন না বলে মন্তব্য করেন মজিনা।
ঘণ্টাব্যাপী একান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ ও ড্যান মজিনা। এ সময় বাণিজ্য সচিব মো. হেদায়েত আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
মজিনা সাংবাদিকদের বলেন, আমি রাষ্ট্রদূত হিসেবে এদেশে তিন বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছি। এখন চলে যাওয়ার সময় হয়েছে। এ সময় আমি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ দেশের সব জেলা শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে দেখেছি। আমি বিস্মিত বাংলাদেশের ক্রমোন্নতি দেখে। সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটে চলেছে। মজিনা দাবি করেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চমৎকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রয়েছে। এ সম্পর্ক উষ্ণ ও আন্তরিক। এদেশের উন্নয়ন সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রও ভূমিকা রাখছে।
রানা প্লাজা দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে ড্যান মজিনা বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর এ শিল্পে যে অন্ধকার ভর করেছিল তা এখন কেটে গেছে। কারণ ওই দুর্ঘটনার পর তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশের উন্নয়ন হয়েছে, এখনও হচ্ছে। শ্রম আইন সংশোধন হয়েছে এবং শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
পোশাক শিল্প ছাড়াও অন্যান্য খাতের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, অচিরেই চামড়া শিল্পে বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ দেশের চামড়াজাত পণ্য বিশ্বে দারুণভাবে সমাদৃত হচ্ছে। আমি আশা করি আগামী ৫ বছরেই এ খাতটি তৈরি পোশাকের মতো শীর্ষ রফতানিকারকের পর্যায়ে চলে যাবে। এর বাইরে ওষুধ শিল্পেও ব্যাপক উত্তরণ ঘটেছে বাংলাদেশের। বিশ্বের বহু দেশে এখন ওষুধ রফতানি হচ্ছে। দাম ও মানের কারণে এ শিল্পেরও বিপ্লব ঘটেছে। এছাড়া আইটি খাতেও রয়েছে অপার সম্ভাবনা। তবে এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।
বাংলাদেশকে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ উপযোগী দেশ হিসেবে অভিহিত করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশই এখানে বিনিয়োগে আগ্রহী। আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রও। এ দেশের শিল্প খাতের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। কারণ সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অসীম সম্ভাবনা রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, এটি কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আলোচনা ছিল না। এটি ছিল মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী ও আবেগঘন সাক্ষাৎ। তিনি বলেন, ভালো-মন্দ থাকতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখনও আমাদের জন্য শীর্ষ রফতানিকারক দেশ। জিএসপি সুবিধা না থাকলেও কিভাবে বাণিজ্য আরও বাড়ানো যায় সে বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে। রফতানি বাড়ানোর বিষয়ে লেদার, ফার্মাসিউটিক্যালস ও আইটি খাতের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
No comments