সুইস ব্যাংকের টাকা বাংলাদেশে উপার্জিত নয়
সুইস
ব্যাংকে জব্দ হওয়া ৫১ হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করেননি বলে দুর্নীতি
দমন কমিশনের (দুদক) কাছে দাবি করেছেন বিতর্কিত ধনকুবের মুসা বিন শমসের।
তিনি বলেন, এ টাকার সব বিদেশে রোজগার করা হয়েছে। বাংলাদেশের কেউ এত টাকা
কোনো দিন উপার্জন করেনি, আগামী ৫০ বছরে করতেও পারবে না। বৃহস্পতিবার দুদকে
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। অর্থ পাচারের অভিযোগ
অনুসন্ধানে মুসা বিন শমসেরকে ৪ ডিসেম্বর তলবি নোটিশ দেয় দুদক। নোটিশে তাকে
১৮ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় দুদকে আসতে বলা হয়। কিন্তু মুসা নির্ধারিত সময়ের
অন্তত ২ ঘণ্টা আগে দুদকে হাজির হন। তখনও দুদক কর্মকর্তারা অফিসে পৌঁছেননি।
সকাল ৯টার দিকে আকস্মিকভাবেই আটটি ভিন্নরকম গাড়ি এসে থামে দুদক কার্যালয়ের
সামনে। গাড়ি থেকে প্রথমে নেমে আসেন স্যুট-টাই পরা চার সুন্দরী তরুণী।
পেছনে কালো সানগ্লাস চোখে সুঠামদেহী অন্তত ৩০ নিরাপত্তা রক্ষী। অফ-হোয়াইট
কালারের প্রাইভেট কার থেকে নামেন মুসা। নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা স্কট করে
তাকে নিয়ে আসেন দুদকের রিসিপশনে। হতচকিত হয়ে পড়েন দুদকের নিরাপত্তাকর্মীরা।
পরিচয় দিয়েই বসার জায়গা খোঁজেন তিনি। তখনও অফিসের বাইরে অবস্থান করা
অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী দুদক
কর্মচারীদের ফোনে নির্দেশ দেন বসার ব্যবস্থা করতে। মুসা তখনই জানতে চান,
মিডিয়া কোথায়?
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত দুদক কার্যালয়ের দোতলার এক কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় মুসা বিন শমসেরের দুই নারী সহকারী ও একজন আইনজীবী সঙ্গে ছিলেন। মুসার নিরাপত্তা সমন্বয়কারী নূরে আলম যুগান্তরকে বলেন, স্যার (মুসা) সব সময়ই এরকম সিকিউরিটি নিয়ে চলাফেরা করেন। কখন, কোথায় যাবেন, আমাদের কিছু বলা হয় না। তার ১৫ সদস্যের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় সবাই সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুসা বিন শমসের বলেন, আমার বিষয়ে যা বলা হয়, আমি ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৫১ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছি। কেউ কোনো দিন এত টাকা এ দেশে আয় করতে পারেনি, পারবেও না। আমি এই টাকা বিদেশে উপার্জন করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। দুদক আমাকে ডেকেছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমি আন্তরিক বিধায় এসেছি। অনুসন্ধানের প্রয়োজনে আমি সব সময়ই সহযোগিতা করব। অর্থ পাচারের অনুসন্ধান সম্পর্কে তিনি বলেন, সব গল্পেরই একটি ইতিহাস থাকে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে সত্য বেরিয়ে আসে। আমি দুদকের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আশা করি দুদক সন্তুষ্ট। আমিও সন্তুষ্ট।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মুসা বলেন, আপনারা বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করুন, আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে দেশের জন্য আমি কি করেছি। কি পরিমাণ জনশক্তির বাজার সৃষ্টি করেছি। সেটি না করলে দেশ আজ সোমালিয়ার মতো দুর্ভিক্ষপীড়িত হতো।
সুইস ব্যাংকে জব্দ থাকা অর্থ ছাড় করাতে পারলে তিনি পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন, সরকারি দুস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কল্যাণে কিছু করা এবং বৃদ্ধ বাবা-মায়েদের কল্যাণে ব্যয়ের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন মুসা। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ শুধু আমার নয়, আমার বাবারও স্বপ্ন ছিল।
১৯৫০ সালের ১৫ অক্টোবর ফরিদপুরে শামসু মিয়া ওরফে মুসা বিন শমসেরের জন্ম। পিতা শমসের আলী মোল্লা। ‘ড্যাটকো’ নামক জনশক্তি রফতানি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রফতানি করেন তিনি। পরে আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসা, জ্বালানি তেল ও আন্তর্জাতিক নিলাম কারবারে সম্পৃক্ত হন। সিরীয় বংশোদ্ভূত সৌদি নাগরিক আকরাম ওয়াজেহ তার ব্যবসায়িক গুরু। বিশ্বের ৩০ দেশে মুসার ব্যবসা রয়েছে। উপাধি প্রিয় এ ব্যবসায়ী ‘প্রিন্স মুসা’, ‘বিজনেস টাইকুন’সহ দুই ডজন উপাধিতে সম্বোধিত হন।
জুনে ‘বিজনেস এশিয়া’র ঈদসংখ্যায় মুসাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ৩ নভেম্বর সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রতিবেদনে তার জীবনযাত্রা, আর্থিক সামর্থ্য ইত্যাদি বিষয়ে প্রশস্তি গাওয়া হয়।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত দুদক কার্যালয়ের দোতলার এক কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় মুসা বিন শমসেরের দুই নারী সহকারী ও একজন আইনজীবী সঙ্গে ছিলেন। মুসার নিরাপত্তা সমন্বয়কারী নূরে আলম যুগান্তরকে বলেন, স্যার (মুসা) সব সময়ই এরকম সিকিউরিটি নিয়ে চলাফেরা করেন। কখন, কোথায় যাবেন, আমাদের কিছু বলা হয় না। তার ১৫ সদস্যের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় সবাই সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুসা বিন শমসের বলেন, আমার বিষয়ে যা বলা হয়, আমি ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৫১ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছি। কেউ কোনো দিন এত টাকা এ দেশে আয় করতে পারেনি, পারবেও না। আমি এই টাকা বিদেশে উপার্জন করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। দুদক আমাকে ডেকেছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমি আন্তরিক বিধায় এসেছি। অনুসন্ধানের প্রয়োজনে আমি সব সময়ই সহযোগিতা করব। অর্থ পাচারের অনুসন্ধান সম্পর্কে তিনি বলেন, সব গল্পেরই একটি ইতিহাস থাকে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে সত্য বেরিয়ে আসে। আমি দুদকের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আশা করি দুদক সন্তুষ্ট। আমিও সন্তুষ্ট।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মুসা বলেন, আপনারা বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করুন, আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে দেশের জন্য আমি কি করেছি। কি পরিমাণ জনশক্তির বাজার সৃষ্টি করেছি। সেটি না করলে দেশ আজ সোমালিয়ার মতো দুর্ভিক্ষপীড়িত হতো।
সুইস ব্যাংকে জব্দ থাকা অর্থ ছাড় করাতে পারলে তিনি পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন, সরকারি দুস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কল্যাণে কিছু করা এবং বৃদ্ধ বাবা-মায়েদের কল্যাণে ব্যয়ের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন মুসা। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ শুধু আমার নয়, আমার বাবারও স্বপ্ন ছিল।
১৯৫০ সালের ১৫ অক্টোবর ফরিদপুরে শামসু মিয়া ওরফে মুসা বিন শমসেরের জন্ম। পিতা শমসের আলী মোল্লা। ‘ড্যাটকো’ নামক জনশক্তি রফতানি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রফতানি করেন তিনি। পরে আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসা, জ্বালানি তেল ও আন্তর্জাতিক নিলাম কারবারে সম্পৃক্ত হন। সিরীয় বংশোদ্ভূত সৌদি নাগরিক আকরাম ওয়াজেহ তার ব্যবসায়িক গুরু। বিশ্বের ৩০ দেশে মুসার ব্যবসা রয়েছে। উপাধি প্রিয় এ ব্যবসায়ী ‘প্রিন্স মুসা’, ‘বিজনেস টাইকুন’সহ দুই ডজন উপাধিতে সম্বোধিত হন।
জুনে ‘বিজনেস এশিয়া’র ঈদসংখ্যায় মুসাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ৩ নভেম্বর সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রতিবেদনে তার জীবনযাত্রা, আর্থিক সামর্থ্য ইত্যাদি বিষয়ে প্রশস্তি গাওয়া হয়।
No comments