স্কুল হামলায় দায়ী আইএসআই
পেশোয়ারের
অত্যন্ত সুরক্ষিত স্থান আর্মি পাবলিক স্কুলে জঙ্গি হামলায় ১৩০ জনের বেশি
শিশু নিহত হওয়ার পেছনে স্বয়ং পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী নিজেই দায়ী বলে
ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির গোয়েন্দা বাহিনী আইএসআই প্রতিবেশী দেশগুলোর
বিরুদ্ধে এসব জঙ্গিদের ব্যবহার করতে সম্পর্ক বজায় রেখে চলতো বলে দীর্ঘদিন
ধরে অভিযোগ রয়েছে। এবার সেই ভ্রান্তনীতিই নিজেদের জন্য কার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিজের পোষা সাপ নিজের শরীরেই ছোবল দিয়েছে। ব্রিটিশ প্রভাবশালী দৈনিক দ্য
গার্ডিয়ান তার বিশ্লেষণে এমন কথাই বলেছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতের ভারতীয় দূতাবাসে জঙ্গি হামলার পর
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে কাবুল ও দিল্লি দূতাবাসকে বলা হয়েছিল এ
ঘটনায় পাকিস্তান ভিত্তিক লস্কর-ই তৈয়বাহ দায়ী। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে
ভারতের নবনির্বাচিত মোদি সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এ আক্রমণ চালানো হয়েছে।
হামলা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তারিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার এ ঘটনায় পরোক্ষ যোগাযোগ রয়েছে।
২০০৮ সালে লস্কর-ই তৈয়বাহই ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে হামলা চালিয়েছিল। এতে অন্তত ১৭০ জন নিহত হয়। মার্কিন নথিপত্র ও আদালত কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়, হামলাকারীরা করাচি থেকে নৌকায় করে ভারতে গিয়েছিল। এ ঘটনায়ও জঙ্গিদের সঙ্গে আইএসআইয়ের সুক্ষ্ম যোগাযোগ রক্ষা হয়েছিল। ভারতের প্রকাশ্যে এ ধরনের অভিযোগ অবশ্য পাকিস্তান বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, আফগান তালেবান ও হক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আইএসআই যোগাযোগ রক্ষা করে। গত এপ্রিলে আফগানিস্তানে ন্যাটো ফোর্সের কমান্ডার জোসেফ ডানফোর্ড বলেন, হক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আইএসআইয়ের যোগাযোগ রক্ষার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া পাক গোয়েন্দারা কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপকেও উস্কানি দিয়ে থাকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মঙ্গলবার পেশোয়ারে হামলার জন্য আইএসআইয়ের জঙ্গি কানেকশনই দায়ী। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের পর তালেবানরা পাকিস্তানে পালিয়ে গেলে দেশটির নীতিনির্ধারকরা তাদের জায়গা দিয়েছিল।
ভারতের বিরুদ্ধে কৌশলগত যুদ্ধ ও আফগানিস্তানে ভারতীয় প্রভাব খর্ব করতে পাক গোয়েন্দারা তাদের মদদ দেয়ার মতো বিপজ্জনক নীতি নিয়েছিল। ২০০১ সালেই তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তান সফর করে বলেছিলেন, প্রতিবেশীকে শায়েস্তা করতে সাপকে নিজের পিঠে জায়গা দেয়া খুব খারাপ হবে। এই সময়ে এসে টিটিপি বোধ হয় সেই সুযোগটাই নিল।
২০০৮ সালে লস্কর-ই তৈয়বাহই ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে হামলা চালিয়েছিল। এতে অন্তত ১৭০ জন নিহত হয়। মার্কিন নথিপত্র ও আদালত কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়, হামলাকারীরা করাচি থেকে নৌকায় করে ভারতে গিয়েছিল। এ ঘটনায়ও জঙ্গিদের সঙ্গে আইএসআইয়ের সুক্ষ্ম যোগাযোগ রক্ষা হয়েছিল। ভারতের প্রকাশ্যে এ ধরনের অভিযোগ অবশ্য পাকিস্তান বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, আফগান তালেবান ও হক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আইএসআই যোগাযোগ রক্ষা করে। গত এপ্রিলে আফগানিস্তানে ন্যাটো ফোর্সের কমান্ডার জোসেফ ডানফোর্ড বলেন, হক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আইএসআইয়ের যোগাযোগ রক্ষার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া পাক গোয়েন্দারা কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপকেও উস্কানি দিয়ে থাকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মঙ্গলবার পেশোয়ারে হামলার জন্য আইএসআইয়ের জঙ্গি কানেকশনই দায়ী। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের পর তালেবানরা পাকিস্তানে পালিয়ে গেলে দেশটির নীতিনির্ধারকরা তাদের জায়গা দিয়েছিল।
ভারতের বিরুদ্ধে কৌশলগত যুদ্ধ ও আফগানিস্তানে ভারতীয় প্রভাব খর্ব করতে পাক গোয়েন্দারা তাদের মদদ দেয়ার মতো বিপজ্জনক নীতি নিয়েছিল। ২০০১ সালেই তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তান সফর করে বলেছিলেন, প্রতিবেশীকে শায়েস্তা করতে সাপকে নিজের পিঠে জায়গা দেয়া খুব খারাপ হবে। এই সময়ে এসে টিটিপি বোধ হয় সেই সুযোগটাই নিল।
No comments