রুবেলের পিছুটান অপেক্ষায় হ্যাপি
কথা
ছিল গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন রুবেল। ভক্তসহ কৌতূহলী সবাই অপেক্ষায়ও
ছিলেন। অপেক্ষায় ছিলেন সাংবাদিকরাও। এমনকি অপেক্ষায় ছিলেন অভিযোগকারী
হ্যাপি-ও। সবারই কৌতূহল- ধর্ষণের মতো গুরুতর যে অভিযোগ উঠেছে রুবেলের
বিরুদ্ধে, কিভাবে তা খণ্ডাবেন জাতীয় ক্রিকেট দলের এই পেসার। রুবেলের প্রেস
ব্রিফিং নিয়ে গতকাল দিনভর গুঞ্জন শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তার আর দেখা
মেলেনি। পিছুটান দিয়ে আগের মতো আড়ালেই রয়েছেন তিনি। রুবেলের ঘনিষ্ঠ
সূত্রগুলো অবশ্য বলছে, আইনজীবীর পরামর্শেই মিডিয়ার মুখোমুখি হওয়া থেকে
বিরত থাকছেন রুবেল। তবে অপর একটি সূত্র বলছে, রোববার নাগাদ মিডিয়ার
মুখোমুখি হতে পারেন তিনি। এদিকে রুবেলকে আর বিয়ে নয়, এখন থেকে আইনি লড়াই
চলবে- এমন ঘোষণা দিলেও মামলা করে আলোচনায় আসা চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার
হ্যাপি-ও রয়েছেন অপেক্ষায়। রুবেল তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিডিয়াতে কি
বলবেন তা শোনার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। যদিও রুবেলের প্রেস ব্রিফিংয়ের
কথা শুনে একদিন আগেই প্রেমের বিষয়টি সত্য প্রমাণ করতে মোবাইলের কথোপকথন
ফাঁস করে দিয়েছেন হ্যাপি নিজেই। যাতে রুবেল কোনভাবেই সম্পর্কের বিষয়টাকে
উড়িয়ে দিতে না পারে। বলতে না পারে, হ্যাপি ছিল তার নিছকই একজন ভক্ত। তবে
হ্যাপির স্বজনরাও বলছে, হ্যাপিকে নিয়ে অনেকটা বিপদের মধ্যেই আছে তার
পরিবার। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে ভেবেছিলেন, মামলার কথা বললে কিংবা মামলা
করলে ক্যারিয়ার বাঁচাতেই রুবেল তর-তর করে সামনে এসে হাজির হবে। কিন্তু শেষ
পর্যন্ত তা হয়নি। রুবেল কৌশলে মামলার একদিন আগেই ‘ব্ল্যাকমেইল’-এর অভিযোগে
একটি সাধারণ ডায়েরি করে রেখেছিলেন মিরপুর থানায়। যা আদালতে তাকে সহযোগিতা
করবে বলেই ধারণা করছে সবাই। এ কারণে অনেকটা ভেঙে পড়েছে হ্যাপির পরিবার,
সঙ্গে হ্যাপি নিজেও। আর শেষ পর্যন্ত যদি প্রেম বা বিয়ের কথা বলে শারীরিক
সম্পর্কের কথা প্রমাণ করতে না পারে হ্যাপি তাহলে তার নিজের ক্যারিয়ারও শেষ
হয়ে যাবে। সারা জীবন সি-গ্রেডের নায়িকা বা অভিনেত্রী হিসেবেই জীবন কাটাতে
হবে তাকে। অনেক কঠিন হয়ে যাবে হারানো সামাজিক মর্যাদা ফিরে পাওয়াও। এ কারণে
হ্যাপির কর্মকাণ্ডে তার বাবা-মা কিছুটা ক্ষুব্ধ বলেই শোনা যাচ্ছে।
এদিকে রুবেলের সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ড ফাঁস করে দেয়ায় অনেকটা হিতে বিপরীত হয়েছে হ্যাপির জন্যই। অনেকেই বলছেন, হ্যাপি আসলে পরিকল্পনা করে রুবেলকে ফাঁসাতে চেয়েছে। তা না হলে ভালবাসার মানুষটির অজান্তে কথোপকথন রেকর্ড করবে কেন? নিশ্চয়ই তার কোন উদ্দেশ্য ছিল। সেই উদ্দেশ্যই এখন বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। প্রথমে রূপের জালে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল তাকে। তাতে সফল হতে না পেরে এবার পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে নেমেছে হ্যাপি। আবার রুবেল-হ্যাপির কথোপকথন শুনেও অনেকেই মন্তব্য করেছেন, হ্যাপি যে পরিমাণ সন্দেহপ্রবণ তাকে বিয়ে করলে রুবেলের সারা জীবন পস্তাতে হতো। ক্রিকেটের ক্যারিয়ারও নিশ্চিত হয়ে যেতো ধ্বংস। অপরদিকে রুবেলের সঙ্গে যে হ্যাপির প্রেমের সম্পর্ক ছিল তা পরিষ্কার হয়েছে কথোপকথনে। বরং হ্যাপিকে পাওয়ার জন্য রুবেলের আকুতি জানাতেও শোনা গেছে। এদিকে রুবেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা হ্যাপির এই মামলা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা। বিষয়টি স্পর্শকাতর, তদন্ত চলছে- এটুকু বলেই ক্ষান্ত দিচ্ছেন তারা। যদিও শোনা যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত একটা রফাদফাই করা হবে। জোর প্রচেষ্টাও চলছে এজন্য। ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরাই রুবেলের হয়ে কাজ করছেন। নমনীয় করার চেষ্টা চলছে হ্যাপিকেও।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় মিরপুর থানায় রুবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/১ ধারায় মামলাটি করেন হ্যাপি। মামলায় রুবেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এই অভিনেত্রী। ওই দিনই পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে চিত্রনায়িকা হ্যাপিকে। পরদিন তার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়। গতকাল পর্যন্ত এই টেস্ট অবশ্য প্রকাশিত হয়নি। এদিকে মামলার দু’দিন পর গত সোমবার উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন রুবেল। উচ্চ আদালতে সেদিন রুবেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবেও দ্রুত প্রেস ব্রিফিং করে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার কথা বলেন।
ক্রিকেটারদের সচেতন হতে হবে
জাতীয় দল সহ মোট ১১৫ জন ক্রিকেটার বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। রুবেল হোসেনের এই ঘটনার পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেটারদের নিয়ন্ত্রণ করতে বিসিবি’র ভূমিকা নিয়ে। এই পর্যন্ত বিসিবি’র অনেক পরিচালক ও সাবেক ক্রিকেটার বিষয়টি রুবেলের ব্যক্তিগত বলে এড়িয়ে গেছেন। যদিও এরই মধ্যে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘এই উচ্ছৃঙ্খলার চরম পর্যায়ে আমি ভেবেছিলাম কমেছে। কিন্তু এখন দেখলাম রয়েই গেছে।’ বোর্ড সভাপতি স্পষ্ট ভাষায়ই বলেছেন দোষীদের ছাড় দেয়া হবে না। তবে বিষয়টি ব্যক্তিগত হলেও নিজের খেলা ও ক্যারিয়ারের জন্য ক্রিকেটারদের সীমার মধ্যেই থাকতে হবে- এমনটাই মনে করে জাতীয় দলের ম্যানেজার শফিকুল হক হীরা। অন্যদিকে বিসিবি অভিজ্ঞ পরিচালক ও ক্রিকেট সংগঠক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি মনে করেন এখনই মন্তব্যের সময় নয়, আদালতের নির্দেশের পরই রুবেল দোষী হলে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের জন্য বিধি-নিষেধ আরও কঠিন করতে হবে।
রুবেল প্রসঙ্গে আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি বলেন, ‘আমি বলবো বিষয়টি সত্য-মিথ্যা আমরা এখনও জানি না। মামলাটি কোর্টে আছে। তাই দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে আমরা কোন মন্তব্য করতে চাই না। তবে আমি বলতে পারি কোর্টের নির্দেশনার উপরই নির্ভর করছে আমাদের করণীয় কি হবে। কারণ বিসিবি এখানে তো ভূমিকা রাখবে ঠিকই। কিন্তু আমাদের তো জানতে হবে আসল ঘটনা কি? যদি মিথ্যা হয়! যেহেতু চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার। আর তাদের জন্য তো বিসিবি’র আইন আছে। তবে রুবেলের ইস্যুতে আমাদের এখন কোন মন্তব্য করাই ঠিক হবে না। এটি প্রমাণ হলেই আমরা সেই অনুপাতে ব্যবস্থা নিতে পারবো। আর তা না হলে আমরা কিসের ওপর নির্ভর করে ব্যবস্থা নেবো?’
‘সীমা অতিক্রম করা যাবে না’- শফিকুল হক হীরা
রুবেলের ঘটনা নিয়ে শফিকুল হক হীরা বলেন, ‘আমি জানি এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। সে হয়তো ভুল করে ফেলেছে। কিন্তু একটি বিষয় অবশ্যই বলতে হয় যে, এটি তার যতই ব্যক্তি গত হোক তাকে ভাবতে হবে সে এখন দেশের আইডল। মানুষ তাকে ফলো করে। তার সঙ্গে আমাদের ক্রিকেট জড়িত। তাই তার আচরণের উপর আমাদের ক্রিকেটের সম্মানও জড়িত। আমি বলবো এখানে আইন যতটা কার্যকর হবে তার চেয়ে বেশি এই লেভেলে চলে যাওয়া একজন ক্রিকেটারকে সচেতন হতে হবে। সব চেয়ে বড় বিষয় সব কিছুরই একটি লিমিট (সীমা) আছে। আর সেই সীমা অতিক্রম করলে বিপদ তো হবে। এখন কে দোষী বা নির্দোষ সেটি আইনের উপর নির্ভর করবে। তবে আমি মনে করি যেহেতু বিসিবি সভাপতি নিজেই বলেছেন উচ্ছৃঙ্খলতা মেনে নেয়া হবে না। তাই এটা বলতে পারি নিশ্চয় বিসিবি এই বিষয়ে ভাবছে। তবে আমি আবারও বলছি প্রত্যেক ক্রিকেটারকে তার ক্যারিয়ারের কথা ভেবে কোথায় কি আচরণ করতে হবে সেই ভাবে চলতে হবে। একজন তারকা যদি না জানে সে কিভাবে চলবে তাহলে তার ভুল তো হবেই।’
এদিকে রুবেলের সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ড ফাঁস করে দেয়ায় অনেকটা হিতে বিপরীত হয়েছে হ্যাপির জন্যই। অনেকেই বলছেন, হ্যাপি আসলে পরিকল্পনা করে রুবেলকে ফাঁসাতে চেয়েছে। তা না হলে ভালবাসার মানুষটির অজান্তে কথোপকথন রেকর্ড করবে কেন? নিশ্চয়ই তার কোন উদ্দেশ্য ছিল। সেই উদ্দেশ্যই এখন বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। প্রথমে রূপের জালে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল তাকে। তাতে সফল হতে না পেরে এবার পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে নেমেছে হ্যাপি। আবার রুবেল-হ্যাপির কথোপকথন শুনেও অনেকেই মন্তব্য করেছেন, হ্যাপি যে পরিমাণ সন্দেহপ্রবণ তাকে বিয়ে করলে রুবেলের সারা জীবন পস্তাতে হতো। ক্রিকেটের ক্যারিয়ারও নিশ্চিত হয়ে যেতো ধ্বংস। অপরদিকে রুবেলের সঙ্গে যে হ্যাপির প্রেমের সম্পর্ক ছিল তা পরিষ্কার হয়েছে কথোপকথনে। বরং হ্যাপিকে পাওয়ার জন্য রুবেলের আকুতি জানাতেও শোনা গেছে। এদিকে রুবেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা হ্যাপির এই মামলা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা। বিষয়টি স্পর্শকাতর, তদন্ত চলছে- এটুকু বলেই ক্ষান্ত দিচ্ছেন তারা। যদিও শোনা যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত একটা রফাদফাই করা হবে। জোর প্রচেষ্টাও চলছে এজন্য। ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরাই রুবেলের হয়ে কাজ করছেন। নমনীয় করার চেষ্টা চলছে হ্যাপিকেও।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় মিরপুর থানায় রুবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/১ ধারায় মামলাটি করেন হ্যাপি। মামলায় রুবেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এই অভিনেত্রী। ওই দিনই পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে চিত্রনায়িকা হ্যাপিকে। পরদিন তার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়। গতকাল পর্যন্ত এই টেস্ট অবশ্য প্রকাশিত হয়নি। এদিকে মামলার দু’দিন পর গত সোমবার উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন রুবেল। উচ্চ আদালতে সেদিন রুবেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবেও দ্রুত প্রেস ব্রিফিং করে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার কথা বলেন।
ক্রিকেটারদের সচেতন হতে হবে
জাতীয় দল সহ মোট ১১৫ জন ক্রিকেটার বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। রুবেল হোসেনের এই ঘটনার পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেটারদের নিয়ন্ত্রণ করতে বিসিবি’র ভূমিকা নিয়ে। এই পর্যন্ত বিসিবি’র অনেক পরিচালক ও সাবেক ক্রিকেটার বিষয়টি রুবেলের ব্যক্তিগত বলে এড়িয়ে গেছেন। যদিও এরই মধ্যে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘এই উচ্ছৃঙ্খলার চরম পর্যায়ে আমি ভেবেছিলাম কমেছে। কিন্তু এখন দেখলাম রয়েই গেছে।’ বোর্ড সভাপতি স্পষ্ট ভাষায়ই বলেছেন দোষীদের ছাড় দেয়া হবে না। তবে বিষয়টি ব্যক্তিগত হলেও নিজের খেলা ও ক্যারিয়ারের জন্য ক্রিকেটারদের সীমার মধ্যেই থাকতে হবে- এমনটাই মনে করে জাতীয় দলের ম্যানেজার শফিকুল হক হীরা। অন্যদিকে বিসিবি অভিজ্ঞ পরিচালক ও ক্রিকেট সংগঠক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি মনে করেন এখনই মন্তব্যের সময় নয়, আদালতের নির্দেশের পরই রুবেল দোষী হলে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের জন্য বিধি-নিষেধ আরও কঠিন করতে হবে।
রুবেল প্রসঙ্গে আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি বলেন, ‘আমি বলবো বিষয়টি সত্য-মিথ্যা আমরা এখনও জানি না। মামলাটি কোর্টে আছে। তাই দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে আমরা কোন মন্তব্য করতে চাই না। তবে আমি বলতে পারি কোর্টের নির্দেশনার উপরই নির্ভর করছে আমাদের করণীয় কি হবে। কারণ বিসিবি এখানে তো ভূমিকা রাখবে ঠিকই। কিন্তু আমাদের তো জানতে হবে আসল ঘটনা কি? যদি মিথ্যা হয়! যেহেতু চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার। আর তাদের জন্য তো বিসিবি’র আইন আছে। তবে রুবেলের ইস্যুতে আমাদের এখন কোন মন্তব্য করাই ঠিক হবে না। এটি প্রমাণ হলেই আমরা সেই অনুপাতে ব্যবস্থা নিতে পারবো। আর তা না হলে আমরা কিসের ওপর নির্ভর করে ব্যবস্থা নেবো?’
‘সীমা অতিক্রম করা যাবে না’- শফিকুল হক হীরা
রুবেলের ঘটনা নিয়ে শফিকুল হক হীরা বলেন, ‘আমি জানি এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। সে হয়তো ভুল করে ফেলেছে। কিন্তু একটি বিষয় অবশ্যই বলতে হয় যে, এটি তার যতই ব্যক্তি গত হোক তাকে ভাবতে হবে সে এখন দেশের আইডল। মানুষ তাকে ফলো করে। তার সঙ্গে আমাদের ক্রিকেট জড়িত। তাই তার আচরণের উপর আমাদের ক্রিকেটের সম্মানও জড়িত। আমি বলবো এখানে আইন যতটা কার্যকর হবে তার চেয়ে বেশি এই লেভেলে চলে যাওয়া একজন ক্রিকেটারকে সচেতন হতে হবে। সব চেয়ে বড় বিষয় সব কিছুরই একটি লিমিট (সীমা) আছে। আর সেই সীমা অতিক্রম করলে বিপদ তো হবে। এখন কে দোষী বা নির্দোষ সেটি আইনের উপর নির্ভর করবে। তবে আমি মনে করি যেহেতু বিসিবি সভাপতি নিজেই বলেছেন উচ্ছৃঙ্খলতা মেনে নেয়া হবে না। তাই এটা বলতে পারি নিশ্চয় বিসিবি এই বিষয়ে ভাবছে। তবে আমি আবারও বলছি প্রত্যেক ক্রিকেটারকে তার ক্যারিয়ারের কথা ভেবে কোথায় কি আচরণ করতে হবে সেই ভাবে চলতে হবে। একজন তারকা যদি না জানে সে কিভাবে চলবে তাহলে তার ভুল তো হবেই।’
No comments