ডেটলাইন ৫ই জানুয়ারি- ওয়ার্মআপে দুই শিবির by সাজেদুল হক
রাজপথে
গড়াচ্ছে রাজনীতি। উভয় শিবিরেই চলছে ওয়ার্মআপ। নেয়া হচ্ছে প্রস্তুতি। ৫ই
জানুয়ারি, ২০১৫ সংঘাতের রাজনীতির দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হচ্ছে। একপক্ষের
‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ আরেক পক্ষের ‘কালো দিবস’। এটা নিশ্চিত করেই বলা
যায়, বাংলাদেশের ইতিহাসের ৫ই জানুয়ারির স্থান আলাদা। এ এক নয়া কিসিমের
গণতন্ত্র। গ্রামের চায়ের দোকান থেকে উড্রো উইলসন সেন্টারে এ নিয়ে গবেষণা
হয়েছে বিস্তর। কোন কূলকিনারা হয়নি। ভবিষ্যতের দিনগুলো কোন দিকে এগোবে তা
কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে বিরোধী শক্তি লড়াইয়ে মরিয়া প্রস্তুতি
নিচ্ছে। টার্গেট জানুয়ারি-মার্চ। এ সময়ের মধ্যেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে
একটি ফল দেখতে চাইছেন তারা। মুখে বিরোধীদের আন্দোলনের ঘোষণাকে উড়িয়ে দিলেও
ভেতরে ভেতরে প্রস্তুত হচ্ছে সরকারি মহলও। বরাবরের মতো আরও কঠোর অবস্থান
নিতে যাচ্ছেন তারা। একটি মামলায় বিচারক বদলের সরকারি আদেশ তেমনই ইঙ্গিত
দিচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের আবেদনের
প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সিগন্যাল পেলেই এ আবেদন
করা হবে। খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের একটি গুঞ্জন কিছুদিন থেকেই শোনা
যাচ্ছে। তবে কোন সূত্রই এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি।
সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবিলার জন্য সাংগঠনিকভাবেও প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী
লীগ। দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর পুনর্গঠনের
কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বিজয় দিবসের দিন ঢাকায় ব্যাপক শোডাউন করেছে
সরকার সমর্থকরা। ৫ই জানুয়ারি সামনে রেখেই মূলত শক্তি প্রদর্শন করলো আওয়ামী
লীগ। ওই দিনটিকে এরই মধ্যে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে উদযাপানের ঘোষণা
দিয়েছে দলটি। গত শুক্রবার সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগের এক যৌথসভায়
এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই দিন দেশের সব জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় শহরে আওয়ামী
লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো সমাবেশ ও র্যালি করবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম মহাসচিব
মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, যদি ৫ই জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন না হতো তাহলে
দেশের সাংবিধানিক ধারা ও গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকতো না। একটি সূত্রে
জানা গেছে, বিরোধীদের যে কোন ধরনের তৎপরতা মাঠে থেকে মোকাবিলা করার জন্যও
আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাংগঠনিক প্রস্তুতির
পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকেও সক্রিয় করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর শক্তি আরও বাড়ানো হচ্ছে সুযোগ-সুবিধাও নিশ্চিত করা হচ্ছে
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য। বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের প্রায় সব
নেতার বিরুদ্ধেই কোন না কোন মামলায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। সুবিধামতো সময়ে এ
সব নেতাকে আবার গ্রেপ্তার করা হতে পারে। ২০ দলীয় জোট এবং বিএনপির অবহেলিত
একাধিক নেতার সঙ্গে সরকারের সংস্থা যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। বিশেষ করে
খালেদা জিয়া যদি গ্রেপ্তার বা বাসায় অন্তরীণ হন তখন এ সব নেতাকে দল ও জোট
ভাঙার কাজে ব্যবহার করা হতে পারে। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে যে
সব আন্তর্জাতিক শক্তি সরকারকে সমর্থন দিয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ আরও
বৃদ্ধি করা হয়েছে। কংগ্রেসের মতো বিজেপি সরকারের সঙ্গেও সমান সম্পর্ক
রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছে সরকার। সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই
ভারত সফরে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ।
ওদিকে, ৫ই জানুয়ারি থেকেই পুরোদমে আন্দোলনে নামতে পারে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। ওই দিনটি ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য বিএনপির নীতিনির্ধারকরা এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আন্দোলন কর্মসূচি কেমন হবে খালেদা জিয়া এখনও তা নেতাদের খোলাসা করে বলেননি। আন্দোলন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এরই মধ্যে দলের নেতা, বুদ্ধিজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়েছেন তিনি। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কিছু কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে দল পুনর্গঠনের কাজ আপাতত স্থগিত রেখেছে বিএনপি। সর্বশেষ দলীয় নেতাদের খালেদা জিয়া বলেছেন, এখন নতুন কোন কমিটি দিলে শত্রুরা সুযোগ নিতে পারে। তারা দলের মধ্যে কোন্দল তৈরি করতে পারে। এ কারণে কমিটি দেয়া হবে আন্দোলনের পর। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে মনে হয়েছে, সরকারবিরোধী আন্দোলনে সফলতার ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী। তবে ঠিক কি উপায়ে সরকারের পরিবর্তন হতে পারে সে ব্যাপারে তাদের কাছে স্পষ্ট কোন ধারণা নেই। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান পদে কারা আসছেন সেদিকেও দৃষ্টি রাখছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। তবে তারা মনে করেন, সরকারকে এরই মধ্যে যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। জানুয়ারি থেকেই আন্দোলন শুরুর আর কোন বিকল্প তাদের সামনে নেই। বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম বলেন, জানুয়ারি মাসটি বাংলাদেশের ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুয়ারি গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। আর ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি আবার গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। সারা দেশের মানুষ এর বিরুদ্ধে সোচ্চার। এর বিরুদ্ধে বিএনপির সোচ্চার না হয়ে উপায় নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীনদের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঢাকায় আন্দোলন কর্মসূচি সফলে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ আন্দোলন কর্মসূচিতে খালেদা জিয়া নিজেই মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। সরকারবিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বিত আন্দোলনের জন্য সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা চলছে। শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার হলেও যেন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় সে ব্যাপারেও বিরোধী নেতারা সতর্ক রয়েছেন। এজন্য একই ভূমিকায় একাধিক বিকল্প নেতাকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের মাঠে রাখা নিশ্চিত করারও চেষ্টা চলছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার ও বিরোধী শিবিরে যখন এক ধরনের চাপা টেনশন বিরাজ করছে, তখন গতকালও খালেদা জিয়া বলেছেন, যে কোন সময় ডাক আসবে।
ওদিকে, ৫ই জানুয়ারি থেকেই পুরোদমে আন্দোলনে নামতে পারে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। ওই দিনটি ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য বিএনপির নীতিনির্ধারকরা এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আন্দোলন কর্মসূচি কেমন হবে খালেদা জিয়া এখনও তা নেতাদের খোলাসা করে বলেননি। আন্দোলন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এরই মধ্যে দলের নেতা, বুদ্ধিজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়েছেন তিনি। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কিছু কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে দল পুনর্গঠনের কাজ আপাতত স্থগিত রেখেছে বিএনপি। সর্বশেষ দলীয় নেতাদের খালেদা জিয়া বলেছেন, এখন নতুন কোন কমিটি দিলে শত্রুরা সুযোগ নিতে পারে। তারা দলের মধ্যে কোন্দল তৈরি করতে পারে। এ কারণে কমিটি দেয়া হবে আন্দোলনের পর। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে মনে হয়েছে, সরকারবিরোধী আন্দোলনে সফলতার ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী। তবে ঠিক কি উপায়ে সরকারের পরিবর্তন হতে পারে সে ব্যাপারে তাদের কাছে স্পষ্ট কোন ধারণা নেই। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান পদে কারা আসছেন সেদিকেও দৃষ্টি রাখছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। তবে তারা মনে করেন, সরকারকে এরই মধ্যে যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। জানুয়ারি থেকেই আন্দোলন শুরুর আর কোন বিকল্প তাদের সামনে নেই। বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম বলেন, জানুয়ারি মাসটি বাংলাদেশের ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুয়ারি গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। আর ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি আবার গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। সারা দেশের মানুষ এর বিরুদ্ধে সোচ্চার। এর বিরুদ্ধে বিএনপির সোচ্চার না হয়ে উপায় নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীনদের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঢাকায় আন্দোলন কর্মসূচি সফলে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ আন্দোলন কর্মসূচিতে খালেদা জিয়া নিজেই মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। সরকারবিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বিত আন্দোলনের জন্য সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা চলছে। শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার হলেও যেন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় সে ব্যাপারেও বিরোধী নেতারা সতর্ক রয়েছেন। এজন্য একই ভূমিকায় একাধিক বিকল্প নেতাকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের মাঠে রাখা নিশ্চিত করারও চেষ্টা চলছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার ও বিরোধী শিবিরে যখন এক ধরনের চাপা টেনশন বিরাজ করছে, তখন গতকালও খালেদা জিয়া বলেছেন, যে কোন সময় ডাক আসবে।
No comments