জন্ম শতবর্ষে ডিলান টমাস by আহমেদ বাসার
বইয়ের
দোকানগুলো নতুন নতুন সংগ্রহে ভরে উঠছে, আবাসিক হোটেলগুলো
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠছে , আর পানশালাগুলো প্রস্তুত হচ্ছে ওয়ালেসের
সবচেয়ে খ্যাতিমান কবি ডিলান টমাসের জন্ম শতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য।
ডিলান টমাসের ভক্ত অনুরাগীরা অবশ্য সাউথ ওয়ালেস থেকে শুধু যুক্তরাজ্যের
বিভিন্ন স্থানেই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেও
তার বছরব্যাপী জন্মজয়ন্তীর আমেজকে ছড়িয়ে দিতে তৎপর। একই সময়ে, ডিলান টমাসের
জন্মজয়ন্তীর অংশ হিসেবে ওয়ালেস সরকার ও ব্রিটিশ কাউন্সিল ওয়ালেস মিলে
উত্তর আমেরিকা, ইন্ডিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও আর্জেন্টিনায় আয়োজন করতে যাচ্ছে
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালার। এতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি টমাস ও
ওয়ালেস সম্পর্কে রচনা প্রতিযোগিতারও আয়োজন থাকবে।
সোয়ানসিয়া - যে শহরে টমাস ১৯১৪ সালের অক্টোবরে জন্মেছিলেন - শহরের ‘ডিলান বুকস্টোর’ এর কর্ণধার জেফ টাউনস বলেন, তিনি আশা করছেন ডিলান টমাসের জন্ম জয়ন্তী তার বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতাকে আরও সম্প্রসারিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও এ অঞ্চলের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। তিনি যোগ করেন- আমেরিকানরা মূলত তাকে পছন্দ করা শুরু করেছে নিউইয়র্কে তার মৃত্যুর পর। বিশেষ করে রিচার্ড বাটন ও বব ডিলানের প্রশংসার পর তারা তাকে পছন্দ করতে শুরু করে। এছাড়া জেমস ডিনের পছন্দের তালিকায় স্থান পাওয়ার পর তিনি মূলত ‘পবিত্র প্রতিমা’ (আইকন) হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন- ইউরোপের মানুষ তাকে পছন্দ করে তার সজীব ভাবমূর্তি কিংবা রক এন রোলের (নাচের জন্য রচিত চড়া তালের জনপ্রিয় গান) জন্য নয়; বরং তার কবিতার জন্য। তিনি আরও বলেন, আমি সব সময় লক্ষ করেছি, ইউরোপের লোকজন, বিশেষ করে স্কেন্ডিনেভিয়ানরা তাকে যতটা দ্বিধাহীনভাবে গ্রহণ করেছে, ততটা ইংল্যান্ড কিংবা ওয়ালেসেও দেখা যায়নি। তারা তার ব্যক্তিজীবনের চেয়ে সাহিত্যিক সৃষ্টির প্রতিই অধিকতর উৎসাহী। কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে টমাসের খ্যাতি যতটা পাকাপোক্ত , ওয়ালেসে ততটা নয়। এর একটা কারণ হতে পারে, একজন নন-নেটিভ লেখক হিসেবে তিনি ওয়ালেসে যথেষ্ট ওয়েলশ হিসেবে বিবেচিত হতেন না। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইংরেজদের কাছে তিনি অতিমাত্রায় একজন ওয়েলশ। টাউনের ধারণা, মদ্যপান ও নারী সংসর্গে তার অতিমাত্রায় আসক্তি ওয়ালেসের পিউরিটানদের তার প্রতি বিমুখ করে তুলতে পারে।
যাই হোক, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ওয়ালেস টমাসকে চূড়ান্তভাবে সম্মাননা জানাতে প্রস্তুত। মন্ত্রী কারউইন জোনস- যিনি টমাসের একজন বড় ভক্ত- গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, তার প্রিয় চরিত্র হচ্ছে ‘আন্ডার মিল্ক উডে’র অন্ধ ক্যাপটেইন ক্যাট, যে তার দীর্ঘদিনের জাহাজের সঙ্গী ও প্রণয়ী রোজি প্রোবার্টের কথা কল্পনা করে।
জোনস ‘ডিলান হানড্রেড ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম’-এর উদ্বোধন করেছেন। এতে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সিরিজ ও বিশ্বজুড়ে স্কুলগুলোতে টমাসের ওপর আলোচনা; যা তাকে বিশ্বময় আরও ছড়িয়ে দিতে সহায়ক হবে।
মন্ত্রী বলেন- আমরা যুক্তরাজ্য ও আন্তর্জাতিকভাবে অনুষ্ঠিত ইভেন্টস থেকে শুরু করে লন্ডনের জমকালো আয়োজনের দিকে নজর রাখছি। এ মহত্তম উৎসব যতই গতিশীল হবে ততই আমরা আশা করি দর্শনার্থীদের ভিড়ও ওয়ালেসে বাড়তে থাকবে। এ আয়োজন হবে তারকাবহুল। এখানে মিখাইল শীন ও রব ব্রাইডনের মতো অভিনেতা যেমন থাকবেন, তেমনি থাকবেন ক্যারল অ্যান ডাফি ও ওয়ালেসের জাতীয় কবি গিলিয়ান ক্লার্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক। এদের অংশগ্রহণ ব্রিটেন ও বিশ্বব্যাপী আয়োজিত এ জন্মজয়ন্তীকে ভিন্নমাত্রা দেবে নিঃসন্দেহে।
সোয়ানসিয়া শহর ও কাউন্সিল- যাকে টমাস আখ্যা দিয়েছিলেন ‘নোংরা ও প্রেমময় শহর’- আমেরিকার বিশিষ্টজনদের আকৃষ্ট করার জন্য কঠোরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কাউন্সিল মেম্বার নিক ব্র্যাডলি আশা করছেন বিল ক্লিনটন- যিনি ডিলান টমাসের একজন ভক্ত- এ জন্মজয়ন্তীতে যোগ দেবেন। তিনি যদি এতে অংশ নেন তাহলে এটা কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর হবে না । কারণ, এর আগে ১৯৯৫ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার এ শহরে ‘ডিলান টমাস সেন্টার’ উদ্বোধন করেছিলেন। ব্র্যাডলি বলেন, আমরা আশা করব আমেরিকানরা এখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসবে। কারণ টমাস এখনও তাদের কাছে অনেক বড় কিছু।
চল্লিশ মাইল পশ্চিমে লাফার্নেতে টমাসের জন্মজয়ন্তীর আয়োজনের প্রক্রিয়া চলছে। এখানে ছিল টমাসের নৌকাগৃহ ও লেখার স্থান। এটির বিস্ময়কর দৃশ্যপট চার নদীর মোহনার চেয়ে কোনো অংশে কম নান্দনিক নয়। এখানে বসে তিনি ‘আন্ডার মিল্ক উড’ লিখেছিলেন; যাতে এ শহরের মানুষদেরও অনুপ্রেরণা ছিল।
ব্রাউনস হোটেল- যা টমাসের খুব পছন্দের ছিল- আবার সময়মতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠছে। ম্যানেজার জন ট্রেগেন্না বলেন, তিনি শুনছেন যে আমেরিকান অভিনেতা জনি ডিপ- যার কাছে টমাসের কিছু পত্র ও পাণ্ডুলিপি আছে- এ হোটেলে আবির্ভূত হতে পারেন। ট্রেগেন্না আশা করছেন শুধু ইউরোপ কিংবা আমেরিকার লোকজন নয়, চীন ও জাপানের উৎসাহীরাও টমাসের কবিতা উপভোগ করতে আসবে। তিনি যোগ করেন- আমরা দেখছি অনেকেই ইতিমধ্যে হোটেলে সিট বুক করেছেন। আশা করি এটি একটি অসাধারণ বর্ষ হয়ে উঠবে।
জর্জ ট্রেমলেট- যিনি টমাসের ওপর কয়েকটি বই লিখেছেন এবং লাফর্নের একটি বইয়ের দোকানের মালিক- বলেন, আমরা সামান্য উৎকর্ষের জন্যও সবকিছু করতে প্রস্তুত। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী ঘটে। কিন্তু তিনি বেঁচে থাকার জন্য শুধু টমাসের ওপর নির্ভর করার মতো বোকা নন। তিনি বলেন, আমরা প্রকৃতপক্ষে টমাসের চেয়ে জেইন অস্টিন ও ব্রন্টির বই বেশি বিক্রি করছি।
সোয়ানসিয়া - যে শহরে টমাস ১৯১৪ সালের অক্টোবরে জন্মেছিলেন - শহরের ‘ডিলান বুকস্টোর’ এর কর্ণধার জেফ টাউনস বলেন, তিনি আশা করছেন ডিলান টমাসের জন্ম জয়ন্তী তার বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতাকে আরও সম্প্রসারিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও এ অঞ্চলের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। তিনি যোগ করেন- আমেরিকানরা মূলত তাকে পছন্দ করা শুরু করেছে নিউইয়র্কে তার মৃত্যুর পর। বিশেষ করে রিচার্ড বাটন ও বব ডিলানের প্রশংসার পর তারা তাকে পছন্দ করতে শুরু করে। এছাড়া জেমস ডিনের পছন্দের তালিকায় স্থান পাওয়ার পর তিনি মূলত ‘পবিত্র প্রতিমা’ (আইকন) হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন- ইউরোপের মানুষ তাকে পছন্দ করে তার সজীব ভাবমূর্তি কিংবা রক এন রোলের (নাচের জন্য রচিত চড়া তালের জনপ্রিয় গান) জন্য নয়; বরং তার কবিতার জন্য। তিনি আরও বলেন, আমি সব সময় লক্ষ করেছি, ইউরোপের লোকজন, বিশেষ করে স্কেন্ডিনেভিয়ানরা তাকে যতটা দ্বিধাহীনভাবে গ্রহণ করেছে, ততটা ইংল্যান্ড কিংবা ওয়ালেসেও দেখা যায়নি। তারা তার ব্যক্তিজীবনের চেয়ে সাহিত্যিক সৃষ্টির প্রতিই অধিকতর উৎসাহী। কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে টমাসের খ্যাতি যতটা পাকাপোক্ত , ওয়ালেসে ততটা নয়। এর একটা কারণ হতে পারে, একজন নন-নেটিভ লেখক হিসেবে তিনি ওয়ালেসে যথেষ্ট ওয়েলশ হিসেবে বিবেচিত হতেন না। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইংরেজদের কাছে তিনি অতিমাত্রায় একজন ওয়েলশ। টাউনের ধারণা, মদ্যপান ও নারী সংসর্গে তার অতিমাত্রায় আসক্তি ওয়ালেসের পিউরিটানদের তার প্রতি বিমুখ করে তুলতে পারে।
যাই হোক, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ওয়ালেস টমাসকে চূড়ান্তভাবে সম্মাননা জানাতে প্রস্তুত। মন্ত্রী কারউইন জোনস- যিনি টমাসের একজন বড় ভক্ত- গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, তার প্রিয় চরিত্র হচ্ছে ‘আন্ডার মিল্ক উডে’র অন্ধ ক্যাপটেইন ক্যাট, যে তার দীর্ঘদিনের জাহাজের সঙ্গী ও প্রণয়ী রোজি প্রোবার্টের কথা কল্পনা করে।
জোনস ‘ডিলান হানড্রেড ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম’-এর উদ্বোধন করেছেন। এতে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সিরিজ ও বিশ্বজুড়ে স্কুলগুলোতে টমাসের ওপর আলোচনা; যা তাকে বিশ্বময় আরও ছড়িয়ে দিতে সহায়ক হবে।
মন্ত্রী বলেন- আমরা যুক্তরাজ্য ও আন্তর্জাতিকভাবে অনুষ্ঠিত ইভেন্টস থেকে শুরু করে লন্ডনের জমকালো আয়োজনের দিকে নজর রাখছি। এ মহত্তম উৎসব যতই গতিশীল হবে ততই আমরা আশা করি দর্শনার্থীদের ভিড়ও ওয়ালেসে বাড়তে থাকবে। এ আয়োজন হবে তারকাবহুল। এখানে মিখাইল শীন ও রব ব্রাইডনের মতো অভিনেতা যেমন থাকবেন, তেমনি থাকবেন ক্যারল অ্যান ডাফি ও ওয়ালেসের জাতীয় কবি গিলিয়ান ক্লার্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক। এদের অংশগ্রহণ ব্রিটেন ও বিশ্বব্যাপী আয়োজিত এ জন্মজয়ন্তীকে ভিন্নমাত্রা দেবে নিঃসন্দেহে।
সোয়ানসিয়া শহর ও কাউন্সিল- যাকে টমাস আখ্যা দিয়েছিলেন ‘নোংরা ও প্রেমময় শহর’- আমেরিকার বিশিষ্টজনদের আকৃষ্ট করার জন্য কঠোরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কাউন্সিল মেম্বার নিক ব্র্যাডলি আশা করছেন বিল ক্লিনটন- যিনি ডিলান টমাসের একজন ভক্ত- এ জন্মজয়ন্তীতে যোগ দেবেন। তিনি যদি এতে অংশ নেন তাহলে এটা কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর হবে না । কারণ, এর আগে ১৯৯৫ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার এ শহরে ‘ডিলান টমাস সেন্টার’ উদ্বোধন করেছিলেন। ব্র্যাডলি বলেন, আমরা আশা করব আমেরিকানরা এখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসবে। কারণ টমাস এখনও তাদের কাছে অনেক বড় কিছু।
চল্লিশ মাইল পশ্চিমে লাফার্নেতে টমাসের জন্মজয়ন্তীর আয়োজনের প্রক্রিয়া চলছে। এখানে ছিল টমাসের নৌকাগৃহ ও লেখার স্থান। এটির বিস্ময়কর দৃশ্যপট চার নদীর মোহনার চেয়ে কোনো অংশে কম নান্দনিক নয়। এখানে বসে তিনি ‘আন্ডার মিল্ক উড’ লিখেছিলেন; যাতে এ শহরের মানুষদেরও অনুপ্রেরণা ছিল।
ব্রাউনস হোটেল- যা টমাসের খুব পছন্দের ছিল- আবার সময়মতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠছে। ম্যানেজার জন ট্রেগেন্না বলেন, তিনি শুনছেন যে আমেরিকান অভিনেতা জনি ডিপ- যার কাছে টমাসের কিছু পত্র ও পাণ্ডুলিপি আছে- এ হোটেলে আবির্ভূত হতে পারেন। ট্রেগেন্না আশা করছেন শুধু ইউরোপ কিংবা আমেরিকার লোকজন নয়, চীন ও জাপানের উৎসাহীরাও টমাসের কবিতা উপভোগ করতে আসবে। তিনি যোগ করেন- আমরা দেখছি অনেকেই ইতিমধ্যে হোটেলে সিট বুক করেছেন। আশা করি এটি একটি অসাধারণ বর্ষ হয়ে উঠবে।
জর্জ ট্রেমলেট- যিনি টমাসের ওপর কয়েকটি বই লিখেছেন এবং লাফর্নের একটি বইয়ের দোকানের মালিক- বলেন, আমরা সামান্য উৎকর্ষের জন্যও সবকিছু করতে প্রস্তুত। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী ঘটে। কিন্তু তিনি বেঁচে থাকার জন্য শুধু টমাসের ওপর নির্ভর করার মতো বোকা নন। তিনি বলেন, আমরা প্রকৃতপক্ষে টমাসের চেয়ে জেইন অস্টিন ও ব্রন্টির বই বেশি বিক্রি করছি।
No comments