জানাজার ১৯ মাস পর মাজার থেকে উদ্ধার হেফাজত কর্মী আল ফারুক by মহিউদ্দীন জুয়েল
ঢাকার
শাপলা চত্বরের ঘটনার পর সবাই ধরে নিয়েছিলেন সে আর বেঁচে নেই। কারণ
হেফাজতে ইসলামের সেই আন্দোলনে যাওয়া তার সহযোগীরা জানিয়েছিলেন সে মারা
গেছে। পুত্রের শোকে তখন পুরো পরিবার ছিল বেদনাহত। আয়োজন করা হয় দোয়া মাহফিল
ও গায়েবি জানাজার। কিন্তু মারা যাওয়ার খবরের প্রায় ১৯ মাস পর বুধবার
চট্টগ্রামে হঠাৎ পাওয়া গেল হেফাজত কর্মী আল ফারুককে। বিষয়টি নিয়ে সৃষ্টি
হয়েছে রহস্যের। তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। সবারই এক জিজ্ঞাসা, এতদিন সে
কোথায় ছিল?
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ জানায়, নিখোঁজ থাকা আল ফারুক কুমিল্লার চান্দিনার নবাবপুর এলাকার শিংগাডা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম সোলায়মান বিন মোবারক। সর্বশেষ চলতি বছরের গত ৫ই মে তার স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে পরিবারের সদস্যরা। ২০১৩ সালের ৫ই মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের ঘটনার পর হেফাজত কর্মী ফারুক নিখোঁজ হয়ে যায়। গত বুধবার তাকে চট্টগ্রামের একটি মাজার থেকে উদ্ধার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। নগর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন ফারুক তার দলের কর্মীদের সঙ্গে ঢাকায় মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে যোগ দিতে গিয়েছিল। শাপলা চত্বরের সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের দু’দিন পরও বাড়ি না আসায় তার বাবা-মা ভেবেছিলেন সে মারা গেছে। আল ফারুকের বয়স ১৮ বলে তারা জানতে পেরেছেন। ঢাকার ঘটনার দু’দিন পর গায়েবানা জানাজা হয়েছিল তার জন্য। মা-বাবা আয়োজন করেছিলেন কুলখানি ও চেহলামেরও।
গত বুধবার চকবাজার মিছকিন শাহ মাজার থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। শাপলা চত্বরের ঘটনার পর থেকে সে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মাজারে আত্মগোপনে ছিল বলে সে জানিয়েছে। সূত্র জানায়, আল ফারুক বাড্ডা উম্মুল ক্বোরা ইসলামিক একাডেমির ছাত্র। ২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের লংমার্চে সে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এক মাস আগে একটি মোবাইল নম্বর থেকে তার মায়ের নম্বরে ফারুক নিজের পরিচয়ে ফোন করে। তারপর চলতি মাসের ১০ই ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে একটি অভিযোগ করেন তার মা। বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম কলেজের সামনে মিছকিন শাহ মাজার এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে ফারুককে উদ্ধার করা হয়। ফারুক চার ভাই দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয়।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সন্তোষ কুমার চাকমা মানবজমিনকে বলেন, ফারুককে উদ্ধার করার পর তার পরিচয় নিশ্চিত হতে বেশ সময় লেগেছে। ছেলেটিকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে আমরা তার মামার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সবাই মনে করেছিল ফারুক মারা গেছে। ঘটনাটিতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি। ছেলেটি বলছে সে গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে নাকি পালিয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, তার মা যখন ছেলের বেঁচে থাকার খবর দেন তখন আমরা ঢাকায় তলব করি। সেখান থেকে জানায়, নিখোঁজ লিস্টে তার নাম রয়েছে। এরপর ধারণা অনুযায়ী মাজারে তল্লাশি করে তাকে উদ্ধার করি।
এই বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কথা হয় ফারুকের সঙ্গে। সে বলে, আমি আল্লামা শফীর ভক্ত। তবে এখন এসব আন্দোলন করতে ভয় লাগে। কারণ বড়রা বলতো বলে তাদের সঙ্গে গিয়েছি। আমি মাদরাসার পড়া খুব ভয় পাই।
এতদিন কেন লুকানো? প্রশ্ন করলে গোয়েন্দা কার্যালয়ে সে জানায়, আমি শুনেছি হেফাজতের ওই আন্দোলনে যারা গিয়েছে তাদের নাকি গ্রেপ্তার করা হবে। তাই ভয়ে পালিয়ে ছিলাম। এই ক’দিন তবারক খেয়ে মাজারে কাটিয়ে দিয়েছি। আমি বাড়ি ফিরতে চাই।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ জানায়, নিখোঁজ থাকা আল ফারুক কুমিল্লার চান্দিনার নবাবপুর এলাকার শিংগাডা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম সোলায়মান বিন মোবারক। সর্বশেষ চলতি বছরের গত ৫ই মে তার স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে পরিবারের সদস্যরা। ২০১৩ সালের ৫ই মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের ঘটনার পর হেফাজত কর্মী ফারুক নিখোঁজ হয়ে যায়। গত বুধবার তাকে চট্টগ্রামের একটি মাজার থেকে উদ্ধার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। নগর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন ফারুক তার দলের কর্মীদের সঙ্গে ঢাকায় মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে যোগ দিতে গিয়েছিল। শাপলা চত্বরের সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের দু’দিন পরও বাড়ি না আসায় তার বাবা-মা ভেবেছিলেন সে মারা গেছে। আল ফারুকের বয়স ১৮ বলে তারা জানতে পেরেছেন। ঢাকার ঘটনার দু’দিন পর গায়েবানা জানাজা হয়েছিল তার জন্য। মা-বাবা আয়োজন করেছিলেন কুলখানি ও চেহলামেরও।
গত বুধবার চকবাজার মিছকিন শাহ মাজার থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। শাপলা চত্বরের ঘটনার পর থেকে সে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মাজারে আত্মগোপনে ছিল বলে সে জানিয়েছে। সূত্র জানায়, আল ফারুক বাড্ডা উম্মুল ক্বোরা ইসলামিক একাডেমির ছাত্র। ২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের লংমার্চে সে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এক মাস আগে একটি মোবাইল নম্বর থেকে তার মায়ের নম্বরে ফারুক নিজের পরিচয়ে ফোন করে। তারপর চলতি মাসের ১০ই ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে একটি অভিযোগ করেন তার মা। বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম কলেজের সামনে মিছকিন শাহ মাজার এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে ফারুককে উদ্ধার করা হয়। ফারুক চার ভাই দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয়।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সন্তোষ কুমার চাকমা মানবজমিনকে বলেন, ফারুককে উদ্ধার করার পর তার পরিচয় নিশ্চিত হতে বেশ সময় লেগেছে। ছেলেটিকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে আমরা তার মামার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সবাই মনে করেছিল ফারুক মারা গেছে। ঘটনাটিতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি। ছেলেটি বলছে সে গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে নাকি পালিয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, তার মা যখন ছেলের বেঁচে থাকার খবর দেন তখন আমরা ঢাকায় তলব করি। সেখান থেকে জানায়, নিখোঁজ লিস্টে তার নাম রয়েছে। এরপর ধারণা অনুযায়ী মাজারে তল্লাশি করে তাকে উদ্ধার করি।
এই বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কথা হয় ফারুকের সঙ্গে। সে বলে, আমি আল্লামা শফীর ভক্ত। তবে এখন এসব আন্দোলন করতে ভয় লাগে। কারণ বড়রা বলতো বলে তাদের সঙ্গে গিয়েছি। আমি মাদরাসার পড়া খুব ভয় পাই।
এতদিন কেন লুকানো? প্রশ্ন করলে গোয়েন্দা কার্যালয়ে সে জানায়, আমি শুনেছি হেফাজতের ওই আন্দোলনে যারা গিয়েছে তাদের নাকি গ্রেপ্তার করা হবে। তাই ভয়ে পালিয়ে ছিলাম। এই ক’দিন তবারক খেয়ে মাজারে কাটিয়ে দিয়েছি। আমি বাড়ি ফিরতে চাই।
No comments