স্থুলতাকে ‘অক্ষমতা’ বিবেচনার রায় ইইউ আদালতের
ইউরোপীয়
ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহে চাকরিক্ষেত্রে নিয়োগদাতাদের এখন থেকে স্থূল
কর্মচারীদের ‘অক্ষম’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে এবং তাদের জন্য বিশেষ সুবিধার
ব্যবস্থা করতে হবে। এমন রায় দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আদালত। স্থূল
ব্যক্তিরা যাতে সমাজে বা কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার না হন, সেটা বিবেচনায়
এনেই এ রায় দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। নিয়োগের
সময় ভিন্ন ধর্মমত, বিশ্বাস, অক্ষমতা, বয়স ও যৌন পরিচয়ের ক্ষেত্রে যেমন
বৈষম্য নিষিদ্ধ, সেই একইভাবে কোন নারী বা পুরুষ যদি মোটা হন, শুধু সে কারণে
তাকে নিয়োগ না দেয়া কিংবা চাকরিচ্যুত করা এখন থেকে নিষিদ্ধ করা হবে বলে
রায়ে উল্লেখ করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ আদালতের এ রায়ের মাধ্যমে
একটি নতুন মাইলফলক সূচিত করলো। ‘দ্য ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস’ এ রায়
প্রদান করে। স্থ’ূলতার কারণে কর্মস্থলে বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের
জন্য বড় আসন, পার্কিংয়ের বিশেষ স্থান ও সুবিধা দিতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও
বৃটেনে স্থূল কর্মীদের এখন থেকে অক্ষম হিসেবে বিবেচনা করে তাদের বিশেষ
সুবিধা দিতে হবে। যেহেতু, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বেশ কিছু ক্ষেত্রে
অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে সমানতালে স্থ’ূল ব্যক্তিরা কাজ করতে পারেন না,
তাদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। ডেনমার্কের এক বাসিন্দা কার্স্টেন
ক্যালটফ্ট মামলার শুনানির প্রেক্ষিতে এ রায় প্রদান করে আদালত। কার্স্টেন
অভিযোগ এনেছিলেন, যে শিশুদের দেখাশোনার কাজ করতেন তিনি। কিন্তু, স্থানীয়
কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। এর কারণ তিনি ঠিকভাবে তার দায়িত্ব
পালন করতে পারেন না। কারণ, কার্স্টেনের ওজন ১৫৮ কেজি। উদাহরণ হিসেবে তিনি
উল্লেখ করেন, কোন সহকর্মীর সাহায্যে জুতোর ফিতে বাঁধতে হতো তাকে। এ ধরনের
আরও কিছু কাজে তার অন্যের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। শেষ পর্যন্ত মামলায়
জিতেছেন কার্স্টেন। একই সঙ্গে স্থ’ূলকায় ব্যক্তিদের জন্য তিনি আশীর্বাদ বয়ে
আনলেন।
No comments