বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ৬ দিনের সফরে দিল্লিতে
অসুস্থ
হয়ে ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও
বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের নির্ধারিত ভারত সফরে কোন পরিবর্তন করা হয় নি।
কয়েক দিন আগেই প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে।
গতকাল পর্যন্ত তিনি হাসপাতালেই ছিলেন। তবে আজ সন্ধ্যায় তিনি বাংলাদেশের
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ভবনেই বৈঠকে মিলিত হবেন বলে
জানানো হয়েছে। এর পরে প্রেসিডেন্টের সম্মানে এক ভোজসভার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের এ সফরকে ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে
বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ভারত সফরে এসেছিলেন। এরপর বাংলাদেশের আর কোন
প্রেসিডেন্ট ভারত সফর করেন নি। চার দশকের ব্যবধানে এবার ভারতের প্রেসিডেন্ট
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে ছয় দিনের ভারত সফরে এসেছেন বাংলাদেশের
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অতিথি হিসেবে রাইসিনা হিলসের
প্রেসিডেন্ট ভবনেই তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সফরের আগেই ভারত
সীমান্ত চুক্তিতে অনুমোদন দেয়ার কাজটি সেরে ফেলে বার্তা দেয়ার চেষ্টা
করেছিল, কিন্তু নানা কারণে তা এবারের অধিবেশনে না হয়ে উঠলেও আগামী অধিবেশনে
তা নিশ্চিতভাবেই অনুমোদিত হবে। গতকাল দুপুর পৌনে ১২টায় বাংলাদেশ বিমানের
বিশেষ ভিআইপি ফ্লাইটে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
অবতরণ করেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান ভারতের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী বি কে সিং। উপস্থিত ছিলেন
বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীসহ ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
অন্য কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এসেছেন তার স্ত্রী ও
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বিমানবন্দর থেকে সোজা
তাদের নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্ট ভবনে। এদিন হামিদের বিশেষ কোন কর্মসূচি
না থাকলেও আজ তিনি প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ,
ভারতের ভাইস প্রেসিডেন্ট হামিদ আনসারী, সংসদের বিরোধী দলনেতা গুলাম নবী
আজাদ প্রমুখের সঙ্গে বৈঠক করবেন। শনিবার তিনি আগ্রায় যাবেন তাজমহল, ফতেপুর
সিক্রিসহ বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনে। এরপর রোববার যাবেন জয়পুর ও
আজমীর শরিফে। সেখান থেকে দু’দিনের জন্য আসবেন কলকাতায়। কলকাতা থেকেই ২৩শে
ডিসেম্বর তিনি ঢাকা ফিরে যাবেন।
কলকাতা সফরে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের হাতে অনেক সময় থাকছে। তাই এ সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করতে চাইলে সে সুযোগ রয়েছে। তবে এদিন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে কোন আগ্রহের খবর জানা যায় নি। তবে শেষ মুহূর্তে মমতা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মমতা নিজে এ মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন। তার শুক্রবারই কলকাতায় ফেরার কথা। তবে সোম ও মঙ্গলবার কলকাতায় থাকাকালে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর কেশরী নাথ ত্রিপাঠী সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন। এর পরই প্রেসিডেন্ট শান্তিনিকেতনে যাবেন। সেখানে বাংলাদেশ ভবনের শিলান্যাস উদ্বোধন করবেন তিনি। বিশ্বভারতীতে এ ভবন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
কলকাতা সফরে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের হাতে অনেক সময় থাকছে। তাই এ সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করতে চাইলে সে সুযোগ রয়েছে। তবে এদিন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে কোন আগ্রহের খবর জানা যায় নি। তবে শেষ মুহূর্তে মমতা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মমতা নিজে এ মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন। তার শুক্রবারই কলকাতায় ফেরার কথা। তবে সোম ও মঙ্গলবার কলকাতায় থাকাকালে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর কেশরী নাথ ত্রিপাঠী সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন। এর পরই প্রেসিডেন্ট শান্তিনিকেতনে যাবেন। সেখানে বাংলাদেশ ভবনের শিলান্যাস উদ্বোধন করবেন তিনি। বিশ্বভারতীতে এ ভবন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
No comments