মালয়েশিয়ায় ইসলাম অবমাননায় তোলপাড়, তদন্তে রয়েল পুলিশ: প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের কড়া বার্তা
দেশটির পহাং রাজ্যে অভিযোগ দায়েরের পর ইন্সপেক্টর-জেনারেল অব পুলিশ রাজারুদ্দিন হুসাইন জানিয়েছেন, বুকিত আমানের বিশেষ অপরাধ তদন্ত ইউনিট (সিসিআইডি) তদন্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন, “পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, ভিডিওটি গতকাল আপলোড করা হয়েছিল এবং পরে তা মুছে ফেলা হয়, কারণ এতে আপত্তিকর ভাষা ও মুসলমানদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য ছিল। আমরা এমন বিষয়গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখি, কারণ এগুলো সামাজিক সম্প্রীতি ও জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি হতে পারে।”
এদিকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম আজ রাজনীতিকদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ধর্মকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার না করার বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, "যদি আমরা এমন করতে থাকি, তাহলে এটি অগ্নিসংযোগ ঘটাবে এবং জনগণকে ধ্বংস করবে। কিন্তু সরকারের অবস্থান দৃঢ়—মানবতা ও ধর্মের প্রতি কোনো ধরনের অবমাননার জন্য আমাদের দেশে কোনো স্থান নেই।"
এ ঘটনায় মালয়েশিয়ার দণ্ডবিধির ২৯৮ ধারার আওতায় তদন্ত চলছে, যা জাতিগত ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের অপরাধের আওতাভুক্ত। পাশাপাশি, নেটওয়ার্ক সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগেও তদন্ত চলছে। রাজারুদ্দিন হুসাইন জানান, এই ভিডিওটি সম্ভবত আগের এক ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। এর আগে তিনজন ডিজে থাইপুসাম কাওয়াড়ি রীতিকে নিয়ে, ইসলাম নিয়ে উপহাস করায় বিতর্ক তৈরি হয়।
এদিকে, গত রাতে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (জাকিম) মালয়েশিয়ান কমিউনিকেশনস অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া কমিশনে (এমসিএমসি) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে। ইসলাম অবমাননাকর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে তারা পুলিশের কাছেও অভিযোগ জমা দিয়েছে। জাকিমের মহাপরিচালক সিরাজুদ্দিন সুহাইমি বলেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' তবে বিতর্কিত ভিডিওটির পরিচয় প্রকাশ করেনি জাকিম।
মালয়েশিয়ায় ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত আইন কঠোর, এ বিষয়ে পুলিশ আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বুকিত আমান।
প্রতিবেদনে ভিডিওটির সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি। তবে জানা গেছে, ভিডিওটি প্রায় চার মিনিটের ছিল এবং তাতে ইসলাম ধর্মের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল।
No comments