সোহেল তাজের স্ট্যাটাস: ফোন করেছিলেন ড. ইউনূস, দিয়েছেন দাবি আদায়ের আশ্বাস

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজকে ফোন করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার সোহেল তাজ তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, তার দাবির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ ফেসবুকে লিখেন- ৩ দফা দাবি আপডেট: আপনারা সবাই শুনে আনন্দিত হবেন যে আজকে সকালে (সোমবার) মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাকে ফোন করেছিলেন এবং ওনার সঙ্গে আমার বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দীন আহমদ এবং জাতীয় চার নেতার অবদানের কথা তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন যে, তিনি পদক্ষেপ নিবেন যাতে নতুন প্রজন্ম আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জানতে পারে ও আমার দাবি মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা অবদান রেখেছেন সকলের অবদানকে পূর্ণাঙ্গভাবে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
তিনি আরও লিখেন, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জাতীয় চার নেতাসহ জিয়াউর রহমান, ওসমানী (মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী), মুক্তিযুদ্ধের ১১ জন সেক্টর কমান্ডারসহ সকল বীর, হিরো, নায়ক-মহানায়কদের অবদান তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা অত্যাবশ্যক। তারা দেশের সম্পদ, তাদেরকে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
তিনি লিখেন- বিঃ দ্রঃ রোববার আমাদের সঙ্গে দেখা করতে না পারায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন- এইটাই হলো একজন বড় মনের ও মানের মানুষের পরিচয়- ভদ্রতা ও আমি ওনার এবং এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য কামনা করছি- আপনাদের উপর বাংলাদেশের মানুষ অনেক আশা করে এই গুরুদায়িত্ব দিয়েছে একটি নতুন সুন্দর ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে- আপনাদের সফল হতে হবেই।
উল্লেখ্য, এর আগে তিন দাবিতে গত রোববার পদযাত্রা কর্মসূচি ডেকেছিলেন সোহেল তাজ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করার কথা ছিল তার। পদযাত্রা শুরুর আগেই প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে তার স্মারকলিপি সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকাল ৪টায় তিন দফা দাবিতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সংলগ্ন সাকুরা রেস্টুরেন্টের সামনে উপস্থিত হন সোহেল তাজ। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগেই বিকাল ৫টায় প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের প্রতিনিধি এসে দাবি সংবলিত স্মারকলিপি নিয়ে গেলে, পরে আর পদযাত্রা করার প্রয়োজন হয়নি।
সোহেল তাজ বলেন, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জাতীয় চার নেতাসহ জিয়াউর রহমান, ওসমানী, মুক্তিযুদ্ধের ১১ জন সেক্টর কমান্ডারসহ সব বীর, হিরো, নায়ক-মহানায়কদের অবদান তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা অত্যাবশ্যক। তারা দেশের সম্পদ, তাদের সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। তাদের নিয়ে ভবিষ্যতে কোনো রাজনীতি যেন না হয়।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.