দিনে দুই গ্লাস কোমল পানীয় পানে বাড়ে মৃত্যুঝুঁকি
দিনে
দুই কিংবা তার বেশি বার কোমল পানীয় পান করলে কম বয়সে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়
বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, চিনি ও কৃত্রিমভাবে মিষ্টি করা
কোমল পানীয় নিয়মিত পান করলে মৃত্যুর বহু আশঙ্কা ত্বরান্বিত হয়। আমেরিকান
মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণায় এসব তথ্য তুলে
ধরা হয়। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্যান্য গবেষণাতেও এমন ফলাফল
দেখা গেছে।
ইউরোপের ৪ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৩ জন নারী-পুরুষের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। ৫০ জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ এই গবেষণা পরিচালনা করেন। সেখানে দেখা যায়, দুই কিংবা এর বেশি গ্লাস কৃত্রিমভাবে মিষ্টি করা কোমল পানীয় পানে রক্তসংবহনজনিত রোগে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়। এক গ্লাস পানে হজমে সমস্যা হয়। এছাড়া যকৃত, অ্যাপেন্ডিক্স, অগ্ন্যাশয় ও নাড়িজনিত রোগও হতে পারে।
১৯৯২ সাল থেকে ২০০০ সাল থেকে ইউরোপের ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন ও যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের এই গবেষণায় যুক্ত করা হয়। তাদের খাবার ও পানীয় পানের বিষয় নজরে রাখা হয়। যাদের ক্যান্সার, হৃদরোগ কিংবা ডায়বেটিস ধরা পড়েছিলো তাদের বাদ দেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিলো ৫০.৮ এবং ৭১.১ শতাংশ ছিলো নারী।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারে নিল মার্ফি এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় আমরা কোমল পানীয় পানকারীদের বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) ও তামাক সেবনের হার নিয়ে আলাদা কাজ করেছি।
গবেষকরা ধূমপায়ী ও অধূমপায়ীদের মধ্যেও একটি সংযোগ দেখতে পান। একইরকম পরিস্থিতি দেখা যায় চিকন ও অপেক্ষাকৃত মোটা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে। এতে বোঝা যায় কোমল পানীয়ের কারণে বেড়ে যাওয়া মৃত্যু ঝুঁকি ওজন কিংবা ধূমপানের সঙ্গে সম্পর্কিত না।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্য গবেষকরাও জানিয়েছেন কোমল পানীয় পানে জীবনযাত্রা অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। ইউনিয়ন অব কনসার্নড সাইন্টিস্ট এর স্বাস্থ্য বিষয় বিশ্লেষক সারাহ রেইনহার্ড বলেন, এই গবেষণার ফল দারুণ। তিনি বলেন, পুষ্টিখাতে কাজ করা কারও জন্যই এটা চমক নয়। কৃত্রিম খাদ্য উপাদান কখনোই স্বাস্থ্য ভালো করে না সেটা সুগারের পরিমাণ যতই কম হোক না কেন।
সেন্টার ফর সাইন্স এই গবেষণার প্রশংসা করলেও কোমল পানীয় পানকারীদের মৃত্যুঝুঁকির ক্ষেত্রে অন্যান্য নির্ধারকও আমলে নেওয়ার পক্ষপাতী। তাদের ধারণা, এতে গবেষণার ফলাফলে পরিবর্তন আসতে পারে। সিএসপিআর এর পুষ্টি বিষয়ক পরিচালক বনি লিবম্যান বলেন, ‘এই নতুন ইউরোপীয় গবেষণাটি পূর্বে প্রাপ্ত গবেষণা তথ্যের সঙ্গে ধারবাহিক নয়। এই গবেষণায় ডায়েট পানীয় পানকারীদের মৃত্যুঝুঁকি সুগার সম্বলিত পানীয় পানকারীদের চেয়ে বেশি দেখানো হয়েছে।
কৃত্রিমভাবে মিষ্টি করা পানীয়ের সঙ্গে অন্যান্য স্বাস্থ্য নির্ধারকের সংযোগ অবশ্য উড়িয়ে দেননি মারফি । তিনি বলেন, আমরা কৃত্রিমভাবে মিষ্টি করা পানীয় পানকারীদের ক্ষেত্রে কার্যকর সংযোগ দেখেছি। আমরা ধারণা করছি তারা ইতোমধ্যেই অন্য কোনও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আগে থেকেই ছিলেন। যেমন প্রিডায়বেটিস কিংবা অতিরিক্ত ওজন। তাই তারা কৃত্রিমভাবে মিষ্টি করা কোমল পানীয় পানে সুস্থ ছিলেন।
তবে এই কোমাল পানীয় ক্যান্সার কিংবা আলঝেইমার রোগে কোনও ভূমিকা রাখে না বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন জানায়, মিষ্টি পানীয় আমাদের খাদ্যভ্যাসে সবচেয়ে বেশি সুগার যোগ করে। মোটা শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা ১৯৭০ সালের তুলনায় এখন তিনগুণ। সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রল অ্যান্ড প্রিভেনশন এর তথ্য অনুযায়ী ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কই এখন স্থুল।
কোকা কোলার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান অনেস্ট টি এর প্রধান নির্বাহী সেথ গোল্ডম্যান বলেন, এখন প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত বিকল্প কোনও পানীয় উৎপাদন করা। তিনি বলেন, কম চিনি কিংবা চিনিবিহিন পানীয় বাজারজাত করা প্রয়োজন। ক্রেতারাও পরিবর্তন হচ্ছে। কোম্পানিগুলো পরিবর্তন না হলে এই পরিবর্তিত ক্রেতা হারাবেন।
ইউরোপের ৪ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৩ জন নারী-পুরুষের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। ৫০ জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ এই গবেষণা পরিচালনা করেন। সেখানে দেখা যায়, দুই কিংবা এর বেশি গ্লাস কৃত্রিমভাবে মিষ্টি করা কোমল পানীয় পানে রক্তসংবহনজনিত রোগে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়। এক গ্লাস পানে হজমে সমস্যা হয়। এছাড়া যকৃত, অ্যাপেন্ডিক্স, অগ্ন্যাশয় ও নাড়িজনিত রোগও হতে পারে।
১৯৯২ সাল থেকে ২০০০ সাল থেকে ইউরোপের ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন ও যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের এই গবেষণায় যুক্ত করা হয়। তাদের খাবার ও পানীয় পানের বিষয় নজরে রাখা হয়। যাদের ক্যান্সার, হৃদরোগ কিংবা ডায়বেটিস ধরা পড়েছিলো তাদের বাদ দেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিলো ৫০.৮ এবং ৭১.১ শতাংশ ছিলো নারী।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারে নিল মার্ফি এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় আমরা কোমল পানীয় পানকারীদের বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) ও তামাক সেবনের হার নিয়ে আলাদা কাজ করেছি।
গবেষকরা ধূমপায়ী ও অধূমপায়ীদের মধ্যেও একটি সংযোগ দেখতে পান। একইরকম পরিস্থিতি দেখা যায় চিকন ও অপেক্ষাকৃত মোটা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে। এতে বোঝা যায় কোমল পানীয়ের কারণে বেড়ে যাওয়া মৃত্যু ঝুঁকি ওজন কিংবা ধূমপানের সঙ্গে সম্পর্কিত না।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্য গবেষকরাও জানিয়েছেন কোমল পানীয় পানে জীবনযাত্রা অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। ইউনিয়ন অব কনসার্নড সাইন্টিস্ট এর স্বাস্থ্য বিষয় বিশ্লেষক সারাহ রেইনহার্ড বলেন, এই গবেষণার ফল দারুণ। তিনি বলেন, পুষ্টিখাতে কাজ করা কারও জন্যই এটা চমক নয়। কৃত্রিম খাদ্য উপাদান কখনোই স্বাস্থ্য ভালো করে না সেটা সুগারের পরিমাণ যতই কম হোক না কেন।
সেন্টার ফর সাইন্স এই গবেষণার প্রশংসা করলেও কোমল পানীয় পানকারীদের মৃত্যুঝুঁকির ক্ষেত্রে অন্যান্য নির্ধারকও আমলে নেওয়ার পক্ষপাতী। তাদের ধারণা, এতে গবেষণার ফলাফলে পরিবর্তন আসতে পারে। সিএসপিআর এর পুষ্টি বিষয়ক পরিচালক বনি লিবম্যান বলেন, ‘এই নতুন ইউরোপীয় গবেষণাটি পূর্বে প্রাপ্ত গবেষণা তথ্যের সঙ্গে ধারবাহিক নয়। এই গবেষণায় ডায়েট পানীয় পানকারীদের মৃত্যুঝুঁকি সুগার সম্বলিত পানীয় পানকারীদের চেয়ে বেশি দেখানো হয়েছে।
কৃত্রিমভাবে মিষ্টি করা পানীয়ের সঙ্গে অন্যান্য স্বাস্থ্য নির্ধারকের সংযোগ অবশ্য উড়িয়ে দেননি মারফি । তিনি বলেন, আমরা কৃত্রিমভাবে মিষ্টি করা পানীয় পানকারীদের ক্ষেত্রে কার্যকর সংযোগ দেখেছি। আমরা ধারণা করছি তারা ইতোমধ্যেই অন্য কোনও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আগে থেকেই ছিলেন। যেমন প্রিডায়বেটিস কিংবা অতিরিক্ত ওজন। তাই তারা কৃত্রিমভাবে মিষ্টি করা কোমল পানীয় পানে সুস্থ ছিলেন।
তবে এই কোমাল পানীয় ক্যান্সার কিংবা আলঝেইমার রোগে কোনও ভূমিকা রাখে না বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন জানায়, মিষ্টি পানীয় আমাদের খাদ্যভ্যাসে সবচেয়ে বেশি সুগার যোগ করে। মোটা শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা ১৯৭০ সালের তুলনায় এখন তিনগুণ। সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রল অ্যান্ড প্রিভেনশন এর তথ্য অনুযায়ী ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কই এখন স্থুল।
কোকা কোলার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান অনেস্ট টি এর প্রধান নির্বাহী সেথ গোল্ডম্যান বলেন, এখন প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত বিকল্প কোনও পানীয় উৎপাদন করা। তিনি বলেন, কম চিনি কিংবা চিনিবিহিন পানীয় বাজারজাত করা প্রয়োজন। ক্রেতারাও পরিবর্তন হচ্ছে। কোম্পানিগুলো পরিবর্তন না হলে এই পরিবর্তিত ক্রেতা হারাবেন।
No comments