কাশ্মিরে নিখোঁজ ১৩ হাজার শিশু-কিশোর!
ভারতের
এক প্রগতিশীল নারী সংগঠনের সদস্যরা দাবি করেছেন, কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা
বাতিলের পর সেখানে ১৩ হাজার অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু-কিশোর নিখোঁজ হয়েছে।
সম্প্রতি কাশ্মিরের গ্রামগুলোত পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েছিলেন দেশটির সমাজকর্মী
ও বামপন্থী আন্দোলনের নেত্রী অ্যানি রাজা নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল।
কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর)
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, কাশ্মিরের অধিকাংশ বাড়িতে ছোট ছোট
ছেলে নিখোঁজ রয়েছে। এদের ধরে নিয়ে গিয়েছে ভারতীয় বাহিনী।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এই পদক্ষেপকে ঘিরে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। সেখানকার অধিবাসীদের ওপর চলাচলে রয়েছে বিধিনিষেধ। গ্রেফতার করা হয়েছে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে। তাদের বেশিরভাগকে এ রাজ্যের বাইরে কারাগারে ও সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় বন্দি রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক যুবক ও কিশোর রয়েছে।
ভারতের যোজনা কমিশনের সাবেক সদস্য ও সাবেক আমলা সাঈদা হামিদ ছোট থেকেই তিনি কাশ্মিরে বড় হয়েছেন। কাশ্মিরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কাশ্মিরের পরিস্থিতি বোঝাতে গেলে বলতে হয়, এই উপত্যকার পরিস্থিতি এখন বড় বেশি শান্ত, বড় বেশি অবসাদগ্রস্ত। সমাজের বিভিন্ন স্তরের জনগণের সঙ্গে কথা বলার পরে আমরা প্রাথমিকভাবে যে হিসেবে পেয়েছি তাতে দেখা যাচ্ছে, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর উপত্যকা থেকে নিখোঁজ হয়েছে প্রায় তেরো হাজার নাবালক।’
অ্যানি রাজা অভিযোগ করেন, ‘যে গ্রামগুলোয় আমরা গিয়েছিলাম, সেখানকার অধিকাংশ বাড়িতে ছোট ছোট ছেলে নিখোঁজ। এদের ধরে নিয়ে গিয়েছে সেনাবাহিনী ও আধা সেনা সদস্যরা। তাদের অভিভাবকরা খোঁজ নিতে গেলে তাদের বলা হচ্ছে, তিন রাজ্যের জেলে গিয়ে খোঁজ নিতে। সেখানে গেলে দেখা যাচ্ছে, জেলের বাইরের দেওয়ালে একটি তালিকা আটকানো রয়েছে, যেখানে নাম রয়েছে কাশ্মিরি অধিবাসীদের। এভাবে অগণিত কাশ্মিরি ছোট ছোট ছেলে জেলের মধ্যে রয়েছে।’
অ্যানি রাজা ও সাঈদা হামিদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি, ৩৭০ ধারা বিলোপের এই সিদ্ধান্ত কাশ্মিরের অধিবাসীদের একজোট করেছে, যাবতীয় ছোটখাটো বিভেদকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আট থেকে আশি সবাই এখন ভারত সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কথা বলছে। প্রত্যেকেরই অভিমত হলো, সরকার তাদের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিয়েছে।
আইনজীবী পুনম কৌশিকের দাবি, ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে কাশ্মিরের সর্বত্র রাত ৮টার মধ্যে সব বাড়ির আলো নিভিয়ে দিতে হয়। তা না হলে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর রোষানলে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় জনগণকে।
পুনম আরও দাবি করেন, ‘আমরা জম্মু-কাশ্মির বার অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখেছি। স্থানীয় আইনজীবীরা আমাদের জানিয়েছেন, আদালতে কোনো কাজ হচ্ছে না। কার্যত পুরো বিচারব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে। দেশের সংবিধানের কোনো অস্তিত্ব নেই এই উপত্যকায়। মারাত্মক ভয়, গ্লানি আর অসম্মানকে সঙ্গী করে বাঁচার জন্য রোজ লড়াই করতে হচ্ছে।’
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এই পদক্ষেপকে ঘিরে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। সেখানকার অধিবাসীদের ওপর চলাচলে রয়েছে বিধিনিষেধ। গ্রেফতার করা হয়েছে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে। তাদের বেশিরভাগকে এ রাজ্যের বাইরে কারাগারে ও সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় বন্দি রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক যুবক ও কিশোর রয়েছে।
ভারতের যোজনা কমিশনের সাবেক সদস্য ও সাবেক আমলা সাঈদা হামিদ ছোট থেকেই তিনি কাশ্মিরে বড় হয়েছেন। কাশ্মিরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কাশ্মিরের পরিস্থিতি বোঝাতে গেলে বলতে হয়, এই উপত্যকার পরিস্থিতি এখন বড় বেশি শান্ত, বড় বেশি অবসাদগ্রস্ত। সমাজের বিভিন্ন স্তরের জনগণের সঙ্গে কথা বলার পরে আমরা প্রাথমিকভাবে যে হিসেবে পেয়েছি তাতে দেখা যাচ্ছে, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর উপত্যকা থেকে নিখোঁজ হয়েছে প্রায় তেরো হাজার নাবালক।’
অ্যানি রাজা অভিযোগ করেন, ‘যে গ্রামগুলোয় আমরা গিয়েছিলাম, সেখানকার অধিকাংশ বাড়িতে ছোট ছোট ছেলে নিখোঁজ। এদের ধরে নিয়ে গিয়েছে সেনাবাহিনী ও আধা সেনা সদস্যরা। তাদের অভিভাবকরা খোঁজ নিতে গেলে তাদের বলা হচ্ছে, তিন রাজ্যের জেলে গিয়ে খোঁজ নিতে। সেখানে গেলে দেখা যাচ্ছে, জেলের বাইরের দেওয়ালে একটি তালিকা আটকানো রয়েছে, যেখানে নাম রয়েছে কাশ্মিরি অধিবাসীদের। এভাবে অগণিত কাশ্মিরি ছোট ছোট ছেলে জেলের মধ্যে রয়েছে।’
অ্যানি রাজা ও সাঈদা হামিদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি, ৩৭০ ধারা বিলোপের এই সিদ্ধান্ত কাশ্মিরের অধিবাসীদের একজোট করেছে, যাবতীয় ছোটখাটো বিভেদকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আট থেকে আশি সবাই এখন ভারত সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কথা বলছে। প্রত্যেকেরই অভিমত হলো, সরকার তাদের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিয়েছে।
আইনজীবী পুনম কৌশিকের দাবি, ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে কাশ্মিরের সর্বত্র রাত ৮টার মধ্যে সব বাড়ির আলো নিভিয়ে দিতে হয়। তা না হলে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর রোষানলে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় জনগণকে।
পুনম আরও দাবি করেন, ‘আমরা জম্মু-কাশ্মির বার অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখেছি। স্থানীয় আইনজীবীরা আমাদের জানিয়েছেন, আদালতে কোনো কাজ হচ্ছে না। কার্যত পুরো বিচারব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে। দেশের সংবিধানের কোনো অস্তিত্ব নেই এই উপত্যকায়। মারাত্মক ভয়, গ্লানি আর অসম্মানকে সঙ্গী করে বাঁচার জন্য রোজ লড়াই করতে হচ্ছে।’
No comments