নারীর ফাঁদ, খদ্দের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীও
ভারতের
মধ্যপ্রদেশে নারীদের দিয়ে ফাঁদ পাতা বা হানিট্রাপের ভয়াবহ সব তথ্য বেরিয়ে
আসছে। বলা হচ্ছে, ভিআইপিদের শয্যাসঙ্গী হতে বাধ্য করা হয়েছে কমপক্ষে ২৪ জন
কলেজপড়ুয়া ছাত্রীকে। এ ছাড়া কমপক্ষে ৪০ জন কলগার্ল নিয়ে গড়ে উঠেছিল এক
যৌনতার ফাঁদ। তার খদ্দেরের তালিকায় রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের সাবেক একজন
মুখ্যমন্ত্রী, আটজন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ফাঁদের মূলহোতা শ্বেতা জৈন
জিজ্ঞাসাবাদে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের (এসআইটি) কাছে স্বীকার করেছেন
এসব। তার দেয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, এই ফাঁদে পা দিয়েছিলেন ১২ জন
শীর্ষস্থানীয় আমলা ও রাজ্যের সাবেক আটজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাদের মনোরঞ্জনে
মধ্যবিত্ত পরিবারের ওইসব ছাত্রীকে ব্যবহার করতেন চক্রের হোতারা। তাদেরকে
ব্যবহার করে উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ ও মধ্যপ্রদেশ সরকারের শক্তিধরদের
কাত করে ফেলা হতো। এর উদ্দেশ্য ছিল সরকারি বিভিন্ন লোভনীয় ক্রয় সংক্রান্ত
কাজ বাগিয়ে নেয়া। এসব কাজে শত শত কোটি রুপির ব্যবসা হতো। এজন্য টার্গেট করা
হতো ভিআইপিদের। এর মধ্যে বেশির ভাগ কাজের চুক্তি পেতো শ্বেতা জৈনের
কোম্পানি। কমিশন ভিত্তিতে এসব কাজ করতেন তার সহযোগী আরতি দয়াল। বুধবার
অভিযান চালিয়ে এই চক্রটির সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে
অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এতে বলা হয়, ক্রয় সংক্রান্ত কাজ বাগিয়ে নেয়া ছাড়াও ভারতের প্রশাসনিক বিভাগের এবং পুলিশ বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তাদের পোস্টিং দেয়ার ক্ষেত্রে তারা প্রভাব বিস্তার করতেন। তাদের পোস্টিং বা বদলি করার মতো ক্ষমতা ছিল তাদের। ইন্দোরে এসআইটির জিজ্ঞাসাবাদে শ্বেতা জৈন বলেছেন, আমলাদের ফাঁদে ফেলতে তিনি অনেক কলেজছাত্রীকে প্রলুব্ধ করতেন। আমলাদের সঙ্গে ওইসব কলেজছাত্রীকে বিছানা পর্যন্ত যেতে বলতেন। তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। এসব আমলা ওইসব কলেজছাত্রীর পিতার বয়সী।
একটি ঘটনায় শ্বেতা জৈনের সঙ্গে কলেজছাত্রী মনিকা যাদবের সাক্ষাতের বিষয় আমলে নেয় এসআইটি। মনিকার সঙ্গে কথা হয় এসআইটি টিমের। এ সময় মনিকা জানিয়ে দেন, তিনি একটি অভিজাত কলেজে ভর্তির জন্য চেষ্টা করছিলেন। তখনই তিনি শ্বেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় শ্বেতা তাকে জানিয়ে দেন যে, মধ্যপ্রদেশ সরকারে শীর্ষ স্থানের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক আছে। তাকে আশ্বস্ত করতে একদিন মনিকাকে ভূপালে সচিবালয়ে নিয়ে যান শ্বেতা। সেখানে ভারতীয় প্রশাসনিক পর্যায়ের তিনজন সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দেন। এক পর্যায়ে ইন্দোর ও ভূপালে যাওয়া-আসার জন্য মনিকাকে একটি অডি গাড়ি দেন শ্বেতা।
এসআইটির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, প্রথম দিকে শ্বেতার কথা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন মনিকা। ফেরত চলে গিয়েছিলেন নরসিংহগড়ে তার পিতামাতার কাছে। কিন্তু তাকে এত সহজে ছেড়ে দেয়ার মানুষ নন শ্বেতা। তিনি এক্ষেত্রে ব্যবহার করেন আরতি দয়ালকে। তাকে পাঠিয়ে দেন মনিকার বাড়িতে। সেখানে মনিকার পিতা হিরালালকে আরতি বোঝান যে, তিনি যদি মেয়ে মনিকাকে ভূপালে পাঠান তাহলে তার পড়ার সব খরচ বহন করবে তার এনজিও। ওদিকে হিরালালের আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো ছিল না। তাই পরে তিনি তার ১৮ বছর বয়সী মেয়ে মনিকাকে আরতির সঙ্গে ভূপালে পাঠিয়ে দেন। এসআইটিকে দেয়া বিবৃতিতে মনিকা বলেছেন, একদিন আরতি তাকে একটি এমএমএস দেখান। তাতে শ্বেতাকে দেখা যায় একজন আমলার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত। তা দেখিয়ে মনিকাকে আরতি বলেন, ওপরে উঠতে হলে এমন সব জিনিসই করতে হয়।
এসআইটির তদন্তে দেখা গেছে, এনজিও’র নাম করে এবং সেখানে চাকরি দেয়ার নাম করে আরতি ও শ্বেতা মধ্যবিত্তের মেয়েদের প্রলুব্ধ করতেন। তাদেরকে চাকরির নামে নিজেদের করায়ত্ত করতেন। এরপর তাদের ব্রেনওয়াশ করা হতো। পরিচয় করিয়ে দেয়া হতো অন্ধকার জগতের ফাঁদের সঙ্গে। মনিকা তার বিবৃতিতে বলেছেন, এ বছর ৩০শে আগস্ট আরতি এবং তার একজন সহযোগী একটি বিলাসবহুল গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যান ইন্দোরে। সেখানে তারা অবস্থান করেন একটি অভিজাত হোটেলে। পরের দিন সন্ধ্যায় তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় সরকারি একজন প্রকৌশলী হরভজন সিং (৬০)-এর সঙ্গে।
পুরো রাত ওই প্রকৌশলীর সঙ্গে কাটাতে হয় মনিকাকে। সেখানে মনিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন হরভজন সিং। এ সময়কার ভিডিও দৃশ্য ধারণ করেন আরতি। পরে ওই ভিডিও ক্লিপ ব্যবহার করে হরভজন সিংয়ের কাছে ৩ কোটি রুপি দাবি করেন শ্বেতা। অন্যদিকে মনিকাকে হুমকি দেয়া হয়। বলা হয় যদি তিনি তার পিতামাতাকে এর কোনোকিছু জানান, তাহলে ওই ভিডিও প্রকাশ করে দেয়া হবে ওয়েবসাইটে। এসআইটির মূল সদস্য রুচি বর্ধন সিং বলেছেন, শ্বেতা ও আরতি এমন মেয়েদের আধুনিক যুগের অন্ধকার অধ্যায়ে ঠেলে দিতেন। প্রথমে তাদেরকে গ্লামার ও পাঁচ তারকার বিলাসী সংস্কৃতির স্বপ্ন দেখানো হতো। পরে যৌনতার ফাঁদে রাজনীতিক ও আমলাদের ফেলার বিনিময়ে তাদেরকে ভালো অঙ্কের অর্থ দেয়া হতো। কলেজপড়ুয়া মেয়েদেরকেই শুধু এ পথে নামানো হয় নি। শ্বেতা কমপক্ষে ৪০ জন কলগার্লকে তার ব্যবসায় ব্যবহার করতেন। তার খদ্দেরের ধরন ভিন্ন রকম। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশের সাবেক একজন মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন।
এতে বলা হয়, ক্রয় সংক্রান্ত কাজ বাগিয়ে নেয়া ছাড়াও ভারতের প্রশাসনিক বিভাগের এবং পুলিশ বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তাদের পোস্টিং দেয়ার ক্ষেত্রে তারা প্রভাব বিস্তার করতেন। তাদের পোস্টিং বা বদলি করার মতো ক্ষমতা ছিল তাদের। ইন্দোরে এসআইটির জিজ্ঞাসাবাদে শ্বেতা জৈন বলেছেন, আমলাদের ফাঁদে ফেলতে তিনি অনেক কলেজছাত্রীকে প্রলুব্ধ করতেন। আমলাদের সঙ্গে ওইসব কলেজছাত্রীকে বিছানা পর্যন্ত যেতে বলতেন। তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। এসব আমলা ওইসব কলেজছাত্রীর পিতার বয়সী।
একটি ঘটনায় শ্বেতা জৈনের সঙ্গে কলেজছাত্রী মনিকা যাদবের সাক্ষাতের বিষয় আমলে নেয় এসআইটি। মনিকার সঙ্গে কথা হয় এসআইটি টিমের। এ সময় মনিকা জানিয়ে দেন, তিনি একটি অভিজাত কলেজে ভর্তির জন্য চেষ্টা করছিলেন। তখনই তিনি শ্বেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় শ্বেতা তাকে জানিয়ে দেন যে, মধ্যপ্রদেশ সরকারে শীর্ষ স্থানের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক আছে। তাকে আশ্বস্ত করতে একদিন মনিকাকে ভূপালে সচিবালয়ে নিয়ে যান শ্বেতা। সেখানে ভারতীয় প্রশাসনিক পর্যায়ের তিনজন সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দেন। এক পর্যায়ে ইন্দোর ও ভূপালে যাওয়া-আসার জন্য মনিকাকে একটি অডি গাড়ি দেন শ্বেতা।
এসআইটির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, প্রথম দিকে শ্বেতার কথা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন মনিকা। ফেরত চলে গিয়েছিলেন নরসিংহগড়ে তার পিতামাতার কাছে। কিন্তু তাকে এত সহজে ছেড়ে দেয়ার মানুষ নন শ্বেতা। তিনি এক্ষেত্রে ব্যবহার করেন আরতি দয়ালকে। তাকে পাঠিয়ে দেন মনিকার বাড়িতে। সেখানে মনিকার পিতা হিরালালকে আরতি বোঝান যে, তিনি যদি মেয়ে মনিকাকে ভূপালে পাঠান তাহলে তার পড়ার সব খরচ বহন করবে তার এনজিও। ওদিকে হিরালালের আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো ছিল না। তাই পরে তিনি তার ১৮ বছর বয়সী মেয়ে মনিকাকে আরতির সঙ্গে ভূপালে পাঠিয়ে দেন। এসআইটিকে দেয়া বিবৃতিতে মনিকা বলেছেন, একদিন আরতি তাকে একটি এমএমএস দেখান। তাতে শ্বেতাকে দেখা যায় একজন আমলার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত। তা দেখিয়ে মনিকাকে আরতি বলেন, ওপরে উঠতে হলে এমন সব জিনিসই করতে হয়।
এসআইটির তদন্তে দেখা গেছে, এনজিও’র নাম করে এবং সেখানে চাকরি দেয়ার নাম করে আরতি ও শ্বেতা মধ্যবিত্তের মেয়েদের প্রলুব্ধ করতেন। তাদেরকে চাকরির নামে নিজেদের করায়ত্ত করতেন। এরপর তাদের ব্রেনওয়াশ করা হতো। পরিচয় করিয়ে দেয়া হতো অন্ধকার জগতের ফাঁদের সঙ্গে। মনিকা তার বিবৃতিতে বলেছেন, এ বছর ৩০শে আগস্ট আরতি এবং তার একজন সহযোগী একটি বিলাসবহুল গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যান ইন্দোরে। সেখানে তারা অবস্থান করেন একটি অভিজাত হোটেলে। পরের দিন সন্ধ্যায় তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় সরকারি একজন প্রকৌশলী হরভজন সিং (৬০)-এর সঙ্গে।
পুরো রাত ওই প্রকৌশলীর সঙ্গে কাটাতে হয় মনিকাকে। সেখানে মনিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন হরভজন সিং। এ সময়কার ভিডিও দৃশ্য ধারণ করেন আরতি। পরে ওই ভিডিও ক্লিপ ব্যবহার করে হরভজন সিংয়ের কাছে ৩ কোটি রুপি দাবি করেন শ্বেতা। অন্যদিকে মনিকাকে হুমকি দেয়া হয়। বলা হয় যদি তিনি তার পিতামাতাকে এর কোনোকিছু জানান, তাহলে ওই ভিডিও প্রকাশ করে দেয়া হবে ওয়েবসাইটে। এসআইটির মূল সদস্য রুচি বর্ধন সিং বলেছেন, শ্বেতা ও আরতি এমন মেয়েদের আধুনিক যুগের অন্ধকার অধ্যায়ে ঠেলে দিতেন। প্রথমে তাদেরকে গ্লামার ও পাঁচ তারকার বিলাসী সংস্কৃতির স্বপ্ন দেখানো হতো। পরে যৌনতার ফাঁদে রাজনীতিক ও আমলাদের ফেলার বিনিময়ে তাদেরকে ভালো অঙ্কের অর্থ দেয়া হতো। কলেজপড়ুয়া মেয়েদেরকেই শুধু এ পথে নামানো হয় নি। শ্বেতা কমপক্ষে ৪০ জন কলগার্লকে তার ব্যবসায় ব্যবহার করতেন। তার খদ্দেরের ধরন ভিন্ন রকম। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশের সাবেক একজন মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন।
No comments