ঝামেলা মিটবে কবে? by কামরুজ্জামান মিলু
চলচ্চিত্র
মুক্তি দিতে গিয়ে দিনের পর দিন নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন চলচ্চিত্র
প্রযোজকরা। বিশেষ করে সিনেমা অনেক সময় ভালো চললেও হল মালিকের কাছ থেকে
ঠিকমতো টিকিট বিক্রির টাকা পাচ্ছেন না চলচ্চিত্র প্রযোজকরা। তাই ঢাকার
চলচ্চিত্রে সিনেমা হলমালিক ও প্রযোজকদের মধ্যে টিকিটের আয় (শেয়ার মানি)
বণ্টন নিয়ে ঝামেলা মিটছে না। মাঝে লম্বা সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক
পরিবেশক সমিতির নির্বাচন না হওয়ার কারণে এমন হয়েছে বলে মনে করেন
প্রযোজক-পরিবেশকদের অনেকে। দীর্ঘ আট বছর পর চলতি বছরের ২৭শে জুলাই
প্রযোজক-পরিবেশকদের স্বার্থ রক্ষায় গঠিত হয়েছে নতুন কমিটি। বর্তমানে
চলচ্চিত্র মুক্তি দিতে গিয়ে যে অরাজকতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা ঠেকাতে
কাজ শুরু করেছেন সমিতির বর্তমান নেতারা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক
পরিবেশক সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, সিনেমা হল থেকে
ঠিকমতো টাকা ফেরত পাচ্ছেন না প্রযোজকরা। এরইমধ্যে চলচ্চিত্র পরিবেশনা নিয়েও
একটি কমিটি গঠিত হয়েছে।
সিনেমা হল মালিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে আমরা নিয়মিত কথা বলছি। বিশেষ করে সিনেমা হল মালিকরা প্রযোজকদের টিকিট বিক্রির হিসাব দেয়ার সময় বড় অংকের ট্যাক্স কেটে রাখে। ভ্যাট থাকলেও অনেক আগেই তো সরকার সিনেমা হলের ট্যাক্স মওকুফ করেছেন। তাহলে কেন তারা বড় অংকের ট্যাক্স কাটছেন। এসব নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। ট্যাক্স যেন একজন প্রযোজককে না দিতে হয় এবং সিনেমা হল থেকে শেয়ারমানি যেন ঠিকমতো পান একজন প্রযোজক সে বিষয়ে বৈঠক চলছে। এরইমধ্যে মণিহার, চম্পাকলি, রাণীমহল, মতিমহলসহ বেশকিছু সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সভা করেছেন প্রযোজকেরা। মাসুম পাটোয়ারী নামের একজন প্রযোজক বলেন, আমি নতুন প্রযোজক হয়ে সিনেমা হল থেকে তেমন টাকা তুলতে পারিনি। নানা ধরনের ট্যাক্স, বুকিং এজেন্টদের টাকা দিয়ে আমার তেমন কোনো টাকা সিনেমা হল থেকে আসেনি। এমন চলতে থাকলে তো সিনেমায় অন্য কেউ লগ্নি করতে চাইবে না। সিনেমা ভালো কিংবা খারাপ যাই চলুক না কেন প্রযোজক হিসেবে অন্তত যেটুকু আমার প্রাপ্য তা আমাকে ঠিকমতো বুঝিয়ে দিতে হবে। সিনেমা হল মালিকরা তা করেন না। অন্যদিকে জানা যায়, বুকিং এজেন্টরা সিনেমা হলে যে প্রতিনিধি পাঠান সেই প্রতিনিধির খরচ সিনেমা হল মালিক দিতে চান না। বাধ্য হয়ে প্রযোজককে সেই টাকা পকেট থেকে দিতে হয়। প্রতিটি টিকিট বিক্রির টাকা থেকে সিনেমা হলের ব্যবস্থাপনা খরচ, এসি চার্জ, পৌর কর, ভ্যাট বাদ দিয়ে বাকি টাকা হলমালিক ও প্রযোজকের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। এরপরও একজন প্রযোজক যে টাকা পাচ্ছেন তা থেকে আবার হলে মেশিন ভাড়া, ব্যানার, হলের পোস্টার খরচ, বুকিং এজেন্টের কমিশনসহ হলে পাঠানো প্রতিনিধিদের পারিশ্রমিক বহন করতে হয়।
বেশির ভাগ প্রযোজকের ভাষ্য, এই খরচগুলো দিতে হলে তাদের হাতে আর কিছুই থাকে না। বলাকা সিনেমা হলের ব্যবস্থাপক এস এম শাহীন বলেন, আমাদের সিনেমা হলের টিকিটের প্রবেশ মূল্য ১৪০ টাকা। সেখান থেকে নেট সেল প্রযোজককে দেয়া হয়। টিকিটের ৫০ ভাগ টাকাই দিয়ে দেয়া হয়। অন্য সিনেমা হলগুলো উনিশ-বিশ করলেও বলাকাতে এটা করার সুযোগ নেই। এদিকে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মেহেদী হাসান সিদ্দিকী মনির বলেন, অনিয়ম ঠেকাতে এরইমধ্যে হল মালিকদের সঙ্গে বসতে শুরু করেছি আমরা। পর্যায়ক্রমে বাকি সিনেমা হল মালিকদের সঙ্গে বসা হবে। কিছু সিনেমা হলের ভ্যাট থাকলেও কোনো ট্যাক্স নেই। তাই এই ট্যাক্স কোনো প্রযোজক বহন করবে না। হল মালিক ও প্রযোজকদের মধ্যে টিকিটের আয় (শেয়ারমানি) বণ্টন নিয়ে ঝামেলা সবসময় তৈরি হচ্ছে তা সমাধানেরও চেষ্টা করছি আমরা। প্রায় আট বছর প্রযোজক সমিতি ছিল না। এতে চলচ্চিত্রে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়েছে। আমরা একে নিয়মের মধ্যে আনতে চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রযোজক বলেন, শেয়ারমানি বণ্টন নিয়ে সিনেমা হল মালিক ও প্রযোজকদের মধ্যে ঝামেলা দ্রুত মেটা দরকার। তা না হলে অচিরেই চলচ্চিত্রশিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
সিনেমা হল মালিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে আমরা নিয়মিত কথা বলছি। বিশেষ করে সিনেমা হল মালিকরা প্রযোজকদের টিকিট বিক্রির হিসাব দেয়ার সময় বড় অংকের ট্যাক্স কেটে রাখে। ভ্যাট থাকলেও অনেক আগেই তো সরকার সিনেমা হলের ট্যাক্স মওকুফ করেছেন। তাহলে কেন তারা বড় অংকের ট্যাক্স কাটছেন। এসব নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। ট্যাক্স যেন একজন প্রযোজককে না দিতে হয় এবং সিনেমা হল থেকে শেয়ারমানি যেন ঠিকমতো পান একজন প্রযোজক সে বিষয়ে বৈঠক চলছে। এরইমধ্যে মণিহার, চম্পাকলি, রাণীমহল, মতিমহলসহ বেশকিছু সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সভা করেছেন প্রযোজকেরা। মাসুম পাটোয়ারী নামের একজন প্রযোজক বলেন, আমি নতুন প্রযোজক হয়ে সিনেমা হল থেকে তেমন টাকা তুলতে পারিনি। নানা ধরনের ট্যাক্স, বুকিং এজেন্টদের টাকা দিয়ে আমার তেমন কোনো টাকা সিনেমা হল থেকে আসেনি। এমন চলতে থাকলে তো সিনেমায় অন্য কেউ লগ্নি করতে চাইবে না। সিনেমা ভালো কিংবা খারাপ যাই চলুক না কেন প্রযোজক হিসেবে অন্তত যেটুকু আমার প্রাপ্য তা আমাকে ঠিকমতো বুঝিয়ে দিতে হবে। সিনেমা হল মালিকরা তা করেন না। অন্যদিকে জানা যায়, বুকিং এজেন্টরা সিনেমা হলে যে প্রতিনিধি পাঠান সেই প্রতিনিধির খরচ সিনেমা হল মালিক দিতে চান না। বাধ্য হয়ে প্রযোজককে সেই টাকা পকেট থেকে দিতে হয়। প্রতিটি টিকিট বিক্রির টাকা থেকে সিনেমা হলের ব্যবস্থাপনা খরচ, এসি চার্জ, পৌর কর, ভ্যাট বাদ দিয়ে বাকি টাকা হলমালিক ও প্রযোজকের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। এরপরও একজন প্রযোজক যে টাকা পাচ্ছেন তা থেকে আবার হলে মেশিন ভাড়া, ব্যানার, হলের পোস্টার খরচ, বুকিং এজেন্টের কমিশনসহ হলে পাঠানো প্রতিনিধিদের পারিশ্রমিক বহন করতে হয়।
বেশির ভাগ প্রযোজকের ভাষ্য, এই খরচগুলো দিতে হলে তাদের হাতে আর কিছুই থাকে না। বলাকা সিনেমা হলের ব্যবস্থাপক এস এম শাহীন বলেন, আমাদের সিনেমা হলের টিকিটের প্রবেশ মূল্য ১৪০ টাকা। সেখান থেকে নেট সেল প্রযোজককে দেয়া হয়। টিকিটের ৫০ ভাগ টাকাই দিয়ে দেয়া হয়। অন্য সিনেমা হলগুলো উনিশ-বিশ করলেও বলাকাতে এটা করার সুযোগ নেই। এদিকে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মেহেদী হাসান সিদ্দিকী মনির বলেন, অনিয়ম ঠেকাতে এরইমধ্যে হল মালিকদের সঙ্গে বসতে শুরু করেছি আমরা। পর্যায়ক্রমে বাকি সিনেমা হল মালিকদের সঙ্গে বসা হবে। কিছু সিনেমা হলের ভ্যাট থাকলেও কোনো ট্যাক্স নেই। তাই এই ট্যাক্স কোনো প্রযোজক বহন করবে না। হল মালিক ও প্রযোজকদের মধ্যে টিকিটের আয় (শেয়ারমানি) বণ্টন নিয়ে ঝামেলা সবসময় তৈরি হচ্ছে তা সমাধানেরও চেষ্টা করছি আমরা। প্রায় আট বছর প্রযোজক সমিতি ছিল না। এতে চলচ্চিত্রে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়েছে। আমরা একে নিয়মের মধ্যে আনতে চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রযোজক বলেন, শেয়ারমানি বণ্টন নিয়ে সিনেমা হল মালিক ও প্রযোজকদের মধ্যে ঝামেলা দ্রুত মেটা দরকার। তা না হলে অচিরেই চলচ্চিত্রশিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
No comments