প্রচণ্ড গরমে ঘামাচির যন্ত্রণা
প্রচণ্ড গরমে বড়দের মতো ছোট্ট শিশুরাও নাজেহাল হয়ে পড়ছে। আর গরমের বিব্রতকর সমস্যা হলো ঘামাচি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগটির নাম মিলিয়ারিয়া। এটি ঘর্মগ্রন্থির রোগ। গরমে অতিরিক্ত ঘাম তৈরি হয়, ফলে ঘর্মগ্রন্থি ও নালি ফেটে যায়। ত্বকের নিচে ঘাম জমতে থাকে। এটাই ঘামাচি। অনেক সময় ঘাম ও ময়লা জমে ঘর্মনালির মুখ বন্ধ হয়ে ইনফেকশন হয়। এতে ঘামাচি আরও বেড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘামে গন্ধও দেখা দিতে পারে। এসময় ঘাম ও ময়লার কারণে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকজনিত রোগও দেখা দেয়। গরমে ঘামাচির যন্ত্রণা শিশুদের অস্থির করে তোলে। তাই এসময় ঘাম আর ঘামাচি থেকে শিশুকে একটু স্বস্তি দিতে বাবা-মাকে একটু বাড়তি যত্ন তো নিতেই হবে। এসময় শিশুকে ঘাম আর ঘামাচিতে স্বস্তি দিতে করণীয় সম্পর্কে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সাখাওয়াত আলম।
* শিশুরা একটু বেশি ঘামে এবং সেই ঘাম আবার গায়ে শুকিয়ে যায়, তাদের ঠাণ্ডা লাগার আশংকা থাকে। তাই শিশুর গায়ের জামা ঘামে ভিজে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা খুলে দিতে হবে। যাতে ঘাম গায়ে শুকিয়ে না যায়।
* গরমে শিশুর শরীর পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। এতে শিশু আরাম পাবে।
* গরমে ঘাম শরীরে শুকিয়ে গেলে শিশুর ঠাণ্ডা লাগে। এ কারণে শিশুর জ্বরও হতে পারে। গরমে প্রতিদিন শিশুকে গোসল করাতে হবে।
* স্কুল বা বাইরে থেকে শিশুরা ঘামে জবজবা হয়ে ভিজে ফিরলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গোসল করাবেন না। কারণ ঘাম শরীরে ঠাণ্ডা পানি দিলেও ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। ঘাম মুছে একটু জিরিয়ে নিয়ে গোসল করাতে হবে।
* গরমে একই পোশাক শিশুকে বেশিক্ষণ পরিয়ে রাখা উচিত নয়।
* গরমে শিশুদের চুলের গোড়াও খুব ঘামে। তাই ঘাম বাতাসে শুকাবে এই অপেক্ষা না করে যত দ্রুত সম্ভব চুলের গোড়া ভালো করে মুছে দিন।
* গরমে ঘামাচি থেকে বাঁচতে নিয়মিত শিশুর ঘাম মুছে দিতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যাতে না ঘামে। কারণ ঘাম ও ধুলাবালি থেকেই ঘামাচির জন্ম।
* শিশুর ত্বক খুব কোমল, আর তাই শিশুর ত্বকে গরমে খুব দ্রুত ঘামাচি উঠতে দেখা যায়। এসময় সকাল-বিকাল দুই বেলা গোসল শিশুকে ঘাম আর ঘামাচিতে অনেকটাই স্বস্তি দিতে পারে।
* গোসলের সময় শিশুকে প্রতিদিন সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে দিন আর এক দিন পর পর চুলে শ্যাম্পু করে দিন।
* ঘামাচি বেশি চুলকানো কিংবা নখ দিয়ে স্পর্শ না করাই ভালো। নরম কাপড় ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে মুছে দিলে ঘামাচি অনেকটাই কমে যাবে।
* এসময় যতটা সম্ভব শিশুকে রোদে কম নিতে হবে এবং রোদে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখতে হবে।
* গরমে শিশুর শরীরে ঘামাচিরোধক পাউডার বা ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। তবে পাউডার দেয়ার আগে গা ভালো করে মুছে দিন।
* এ সময় খুব ছোট শিশুকে ডায়পার না পরানোই ভালো। গরমে শিশুর বিরক্তি ও অস্বস্তির কারণ হতে পারে ভেজা ডায়পার। এ থেকে ত্বকে র্যাশও হতে পারে।
* খুব ছোট শিশুদের গরমের সময় মাথা ন্যাড়া করে দিন। এতে মাথায় ঘামাচি, খুশকিসহ নানা রকম চর্মরোগ হওয়ার আশংকা কমে যাবে।
* গরমে শিশুকে এমন খাবার দিতে হবে, যাতে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। এ সময় শিশুকে বেশি বেশি পানি পান করাতে হবে। বেশি ঘামলে শুধু পানি নয়, এর সঙ্গে পান করাতে হবে লেবুর শরবতও। এসময় শিশুকে দুই-একদিন পর পর খাওয়ার স্যালাইনও খাওয়ানো যেতে পারে। তবে প্রতিদিন নয়।
* গ্রীষ্মে বেল, পেঁপে, আম, তরমুজ, বাঙ্গি, লিচু, জাম প্রভৃতি ফল পাওয়া যায়। এসব ফল খেতে শিশুকে আগ্রহী করে তুলুন। সরাসরি খেতে না চাইলে ফলের শরবত, জুস ইত্যাদি করে খাওয়াতে পারেন।
* শিশুরা একটু বেশি ঘামে এবং সেই ঘাম আবার গায়ে শুকিয়ে যায়, তাদের ঠাণ্ডা লাগার আশংকা থাকে। তাই শিশুর গায়ের জামা ঘামে ভিজে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা খুলে দিতে হবে। যাতে ঘাম গায়ে শুকিয়ে না যায়।
* গরমে শিশুর শরীর পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। এতে শিশু আরাম পাবে।
* গরমে ঘাম শরীরে শুকিয়ে গেলে শিশুর ঠাণ্ডা লাগে। এ কারণে শিশুর জ্বরও হতে পারে। গরমে প্রতিদিন শিশুকে গোসল করাতে হবে।
* স্কুল বা বাইরে থেকে শিশুরা ঘামে জবজবা হয়ে ভিজে ফিরলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গোসল করাবেন না। কারণ ঘাম শরীরে ঠাণ্ডা পানি দিলেও ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। ঘাম মুছে একটু জিরিয়ে নিয়ে গোসল করাতে হবে।
* গরমে একই পোশাক শিশুকে বেশিক্ষণ পরিয়ে রাখা উচিত নয়।
* গরমে শিশুদের চুলের গোড়াও খুব ঘামে। তাই ঘাম বাতাসে শুকাবে এই অপেক্ষা না করে যত দ্রুত সম্ভব চুলের গোড়া ভালো করে মুছে দিন।
* গরমে ঘামাচি থেকে বাঁচতে নিয়মিত শিশুর ঘাম মুছে দিতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যাতে না ঘামে। কারণ ঘাম ও ধুলাবালি থেকেই ঘামাচির জন্ম।
* শিশুর ত্বক খুব কোমল, আর তাই শিশুর ত্বকে গরমে খুব দ্রুত ঘামাচি উঠতে দেখা যায়। এসময় সকাল-বিকাল দুই বেলা গোসল শিশুকে ঘাম আর ঘামাচিতে অনেকটাই স্বস্তি দিতে পারে।
* গোসলের সময় শিশুকে প্রতিদিন সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে দিন আর এক দিন পর পর চুলে শ্যাম্পু করে দিন।
* ঘামাচি বেশি চুলকানো কিংবা নখ দিয়ে স্পর্শ না করাই ভালো। নরম কাপড় ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে মুছে দিলে ঘামাচি অনেকটাই কমে যাবে।
* এসময় যতটা সম্ভব শিশুকে রোদে কম নিতে হবে এবং রোদে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখতে হবে।
* গরমে শিশুর শরীরে ঘামাচিরোধক পাউডার বা ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। তবে পাউডার দেয়ার আগে গা ভালো করে মুছে দিন।
* এ সময় খুব ছোট শিশুকে ডায়পার না পরানোই ভালো। গরমে শিশুর বিরক্তি ও অস্বস্তির কারণ হতে পারে ভেজা ডায়পার। এ থেকে ত্বকে র্যাশও হতে পারে।
* খুব ছোট শিশুদের গরমের সময় মাথা ন্যাড়া করে দিন। এতে মাথায় ঘামাচি, খুশকিসহ নানা রকম চর্মরোগ হওয়ার আশংকা কমে যাবে।
* গরমে শিশুকে এমন খাবার দিতে হবে, যাতে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। এ সময় শিশুকে বেশি বেশি পানি পান করাতে হবে। বেশি ঘামলে শুধু পানি নয়, এর সঙ্গে পান করাতে হবে লেবুর শরবতও। এসময় শিশুকে দুই-একদিন পর পর খাওয়ার স্যালাইনও খাওয়ানো যেতে পারে। তবে প্রতিদিন নয়।
* গ্রীষ্মে বেল, পেঁপে, আম, তরমুজ, বাঙ্গি, লিচু, জাম প্রভৃতি ফল পাওয়া যায়। এসব ফল খেতে শিশুকে আগ্রহী করে তুলুন। সরাসরি খেতে না চাইলে ফলের শরবত, জুস ইত্যাদি করে খাওয়াতে পারেন।
No comments