শেরপুরে পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় আবদুল গফুর (৫৬) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার উলিপুরপাড়ার ভাড়া বাসা তার লাশ উদ্ধার করা হয়। শেরপুর থানার ওসি খান মো. এরফান যুগান্তরকে জানান, আবদুল গফুর কনস্টেবল (নং-৮১৯) প্রায় দেড় বছর ধরে শেরপুর থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি থানার কাছে উলিপুরপাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের বাসায় স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করতেন। আবদুল গফুর রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মাহদীপুর গ্রামের মৃত ফজল সরকারের ছেলে। তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ওসি আরও বলেন, আবদুল গফুর গত ৬ জুন ৫ দিনের ছুটিতে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে স্ত্রী রান্না ঘরে কাজ করছিলেন। এসময় নিজ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পৌনে ১০টার দিকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওসির ধারণা, মানসিক সমস্যা থেকেই কনস্টেবল গফুর আত্মহত্যা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের পর জানাজা শেষে লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে শেরপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আবদুল গফুরের ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র পায়েল সরকার জানায়, সকালে তাদের গ্রামের বাড়িতে যাবার কথা ছিল। আর এখন বাবার লাশ নিয়ে যেতে হচ্ছে।
No comments