কাতার আমিরকে ট্রাম্পের ফোন
মধ্যপ্রাচ্যের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেই কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আলাপকালে কাতারের আমিরকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সংকট নিরসনে সহায়তার প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়ে কাতারের সরকারি কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে এএফপির খবরে বলা হয়, ফোনে ট্রাম্প আরব দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সংকটের সমাধান খুঁজতে তার প্রস্তুতির কথা প্রকাশ করেন এবং এ অঞ্চলকে স্থিতিশীল করতে তার আগ্রহের কথা জানান। অন্যদিকে ট্রাম্পের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট দেশগুলোর মধ্যে দূরত্ব দূর করতে সহায়তা করার প্রস্তাব দেন। তবে কাতারের সঙ্গে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্ক ছিন্নের পরপরই সিরিজ টুইট বার্তায় সন্ত্রাসবাদের জন্য কাতারকে দায়ী করেন ট্রাম্প। এমনকি দেশটির সঙ্গে তার প্রতিবেশীদের সম্পর্কচ্ছেদে তার কৃতিত্ব রয়েছে বলেও দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছিলেন, 'মধ্যপ্রাচ্যে আমার সফরের সময় বলেছিলাম মৌলবাদী আদর্শে আর কোনো অর্থায়ন করা চলবে না। আর এর পরেই কাতারকে সবাই চিহ্নিত করলো' অপর এক টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্য সফরে সৌদি আরব ও অন্যান্য ৫০ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধের অঙ্গিকার করেছিলেন।
আর এ জন্যই কাতার চিহ্নিত হয়েছে। হয়তো এই পদক্ষেপই সন্ত্রাসের ভয়াবহতা বন্ধের শেষ প্রারম্ভ। এর আগে সোমবার সৌদি আরব ও তার তিন মিত্র কাতারের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠনকে সমর্থন ও সহযোগিতার অভিযোগ তুলে। পাশাপাশি কাতারের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশগুলো। প্রথম দফায় সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সম্পর্ক ছিন্ন করলেও পরের দফায় লিবিয়া এবং ইয়েমেনও কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে। এছাড়া মালদ্বীপও কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে। কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা দেশগুলোর নাগরিকদের কাতারে যাওয়া, সেখানে বসবাস করা বা কাতার হয়ে অন্য কোন দেশে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব দেশের নাগরিকদের দুই সপ্তাহের মধ্যে কাতার ছাড়তে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সৌদি আরব, আরব আমিরাত এবং বাহরাইনে বসবাসরত কাতারের নাগরিকদেরও একই সময়ের মধ্যে এসব দেশ ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে।
No comments