জমে উঠেছে যমুনা ফিউচার পার্কের ডিসিসি কর্নার
জমে উঠেছে যমুনা ফিউচার পার্কের ডিসিসি কর্নারঈদ উপলক্ষে জমে উঠেছে যমুনা ফিউচার পার্ক। বুধবার ডিসিসি কর্নারের একটি দোকানে পণ্য দেখছেন ক্রেতারা -যুগান্তর
ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের ডিসিসি কর্নারে ক্রেতাদের ভিড় ততই বাড়ছে। ভারত, থাইল্যান্ডের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সব নামিদামি ব্রান্ডের কসমেটিক্স বিক্রি হচ্ছে ডিসিসি কর্নারে। নিজেকে পরিপাটি করে তুলতে ক্রেতারা বিদেশি এসব কমসেটিক্স আর প্রসাধন সামগ্রীতে আস্থা রাখছেন তারা। এছাড়াও এ কর্নারে পাওয়া যাচ্ছে টয়লেট্রিজ, মহিলাদের বিউটি বক্স, বাচ্চাদের খেলনা, চকোলেট, খাবার সামগ্রী, ফরমালিনমুক্ত ফলসহ ও নিত্যব্যবহার্য সব পণ্য। বুধবার সরেজমিন ঘুরে ডিসিসি কর্নারের স্টল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে যানা যায়, যমুনা ফিউচার পার্কে আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা ঈদ কেনাকাটার পর প্রসাধনী ও কসমেটিক্সে আইটেম কিনতে সপরিবারে আসছেন দ্বিতীয় তলার ডিসিসি কর্নারে। ক্রেতাদের পছন্দের কথা চিন্তা করে এখানে বিভিন্ন আইটেমের কসমেটিক্সের স্টক রেখেছেন বিক্রেতারা। যুক্তরাজ্যের কসমেটিক্স ব্রান্ড ল্যানকম, ক্লিনিক, এস্টিলডার, ম্যাক ও বডিশপের প্রতি ক্রেতাদের বেশি আগ্রহ। এছাড়া লরিয়েল, ওলের মতো ব্রান্ডের বিউটি ক্রিম, ফেসওয়াশ নারীদের মন কেড়েছে। ছেলেদের ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম, ফেসওয়াশ, ডিওড্রেন্ট, আফটার সেভ লোশন আইটেম ভালো বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় ও থাইল্যান্ডের প্রসাধন সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে নেভিয়া, এক্স পারফিউম ও গার্নিয়ের। রামপুরা থেকে আগত গৃহিণী শারমিন সুলতানা বলেন, ‘নিয়মিত গুলশান ডিএনসিসি মার্কেটের কেনাকাটা করতাম। এখানকার কসমেটিক্সগুলো উন্নতমানের ও শতভাগ অরিজিনাল। অন্যান্য মার্কেটে একই কসমেটিক্স পাওয়া গেলেও সেগুলোতে নকলের ভয় আছে। ভরসা পাই না। ডিএনসিসি আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর যমুনা ফিউচার পার্কে আসায় ভালো হয়েছে। এক ছাদের নিচেই ঈদের সব কেনাকাটা করা যাবে। আর দামও আগের মতই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগের চেয়ে এখানে দোকানগুলোর আকারও বড় হয়েছে। খোলামেলা স্থান বেশি থাকায় হাঁটাচলা করতে সুবিধা।
গাড়ি পার্কিংয়ের ঝামেলা নেই। ডিএনসিসি মার্কেট গুলশান-১ এ থাকার সময় গরমকালে কেনাকাটা করাই দায় হয়ে যেত। কিন্তু এখানে এসির সুবিধা থাকায় কেনাকাটা করে আলাদা আনন্দ পেয়েছি।’ কয়েকজন স্টল মালিক জানান, গুলশান-১-এর ডিএনসিসির মার্কেটের আয়তন ছিল প্রায় ১২ হাজার বর্গফুট। আর যমুনা ফিউচার পার্কের ডিসিসি কর্নারের আয়তন ৩০ হাজার বর্গফুটের বেশি। খোলা জায়গা বেশি থাকায় ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটাচলা করছেন। আর শপিংমল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় ক্লান্তিহীনভাবে কেনাকাটার সুযোগ পাচ্ছেন। গাড়ি পার্কিংয়েরও ঝামেলা ভোগ করতে হচ্ছে না। সিএসসি কর্নারের একটি শপের স্বত্বাধিকারী মাসুদুল হাসান বলেন, আমারা শুধু যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা কসমেটিক্স বিক্রি করি। নিজের লোক দিয়ে এসব আমদানি করে থাকি। শতভাগ অরিজিনাল পণ্য বিক্রি করি বিধায় গুলশান মার্কেট আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর নিয়মিত ক্রেতারা এখানে আসছেন কসমেটিক্স কিনতে। ঈদ উপলক্ষে কসমেটিক্স ও প্রসাধন সামগ্রীর পর্যাপ্ত মজুদ আছে। ক্রেতাদের জন্য সরবরাহে সমস্যা হবে না। তিনি জানান, গুলশান-১-এর মার্কেটে কাঁচাবাজারসহ মোট ২৫০টি দোকান ছিল। কাঁচাবাজার বাদ দিয়ে প্রায় ১৫০টি দোকান ছিল। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১০টি দোকানই যমুনা ফিউচার পার্কের নতুন ঠিকানায় এসেছে। ভবিষ্যতে যমুনা ফিউচার পার্ককেই ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে চান ব্যবসায়ীরা।
No comments