শর্ত ছিল, এ অর্থ শোধ করতে হবে না...
২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের কথা মনে আছে? সেই ম্যাচে গ্রায়াম স্মিথ ও জ্যাক ক্যালিসকে সাজঘরে ফেরানো বোলারটি ছিলেন সৈয়দ রাসেল। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে বামহাতি পেসারদের মধ্যে শুরু থেকে নজর কাড়েন তিনি। তবে ইনজুরির কারণে সম্ভাবনাময় ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। সে সময় রাসেলের অস্ত্রপচারের অর্থ সহায়তায় এগিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে শর্ত ছিল, ধার দিবেন কিন্তু তা শোধ করতে হবে না। ২০১০ সালের জুলাই থেকে জাতীয় দলের বাইরে আছেন রাসেল। ইনজুরির কারণে ক্লাব-ক্রিকেটেও খেলতে পারছেন না। কাঁধের ইনজুরির অস্ত্রপচার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে করাতে লাগতো প্রায় আট লাখ টাকা। অন্যদিকে ভারতের মুম্বাইতে করালে প্রায় চার লাখ। কিন্তু এতো পরিমাণ অর্থ রাসেলের কাছে ছিল না। একসময়ের বোলিং জুটি, বন্ধু মাশরাফির কাছে ধার চেয়েছিলেন রাসেল, “দোস্ত, আমি তো মাঠের বাইরে আছি বেশ কিছু দিন। হাতে টাকা পয়সাও নেই তেমন।
আমাকে লাখ চারেক টাকা ধার দিবি? চিকিৎসা করাবো।” মাশরাফির উত্তর ছিল, “হ্যাঁ দেব। তবে ধার নয়। বন্ধুকে ভালোবেসে। এ অর্থ শোধ করতে হবে না।” পরে মাশরাফির কাছে সেই অর্থ নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে যান রাসেল। কিন্তু ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, অস্ত্রোপচার লাগবে না। কিছু ঔষুধেই সেরে যাবে। এরপর দেশে ফিরে আবার নতুন করে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। যুক্ত হয়েছেন লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ক্লাবে। সেখান থেকে পাওয়া পারিশ্রমিক দিয়ে মাশরাফির কাছ থেকে নেয়া অর্থ শোধ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন রাসেল। মাশরাফি কিছুতেই সেই অর্থ ফেরত নেননি। এদিকে রাসেলের আশা, ইনজুরি সমস্যা কাটিয়ে দ্রুতই মাঠে নামতে পারবেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের হয়ে ৬ টেস্টে ১২টি আর ৫২ ওয়ানডেতে ৬১ উইকেট শিকার করেছেন এই বামহাতি পেসার।
No comments