রাজশাহীতে ভাস্কর্য উল্টে ফেলা, সন্দেহে সাত ছাত্র
রাজশাহী বিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের কয়েক ছাত্র ভাস্কর্য উল্টে ফেলার কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ওই বিভাগের সাত ছাত্রকে শনাক্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে দুজন ছাত্র গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী ইউসুফ আলী স্বাধীন ও ইমরান আলী সাংবাদিকদের বলেন, চারুকলায় কোনো নিরাপত্তা নেই। যখন-তখন বাইরের লোকজন এখানে ঢুকে পড়ে। এর প্রতিবাদ হিসেবে বিভাগের কয়েকজন মিলে ভাস্কর্য উল্টে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান মোস্তফা শরীফ আনোয়ার বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীরা যে কাণ্ড করেছে, তা নিন্দনীয়। ওই সাতজন শিক্ষার্থী বিকৃত মস্তিষ্কের পরিচয় দিয়েছে।’
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে তাঁরা বিভাগে বৈঠক করেছেন। নিন্দা জানিয়েছেন। পরে প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তা অবহিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। ভাস্কর্য উল্টে ফেলার ঘটনায় চারুকলা বিভাগের অন্য শিক্ষার্থীরা নিন্দা জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, এ ধরনের কাণ্ড ঘটানোর ব্যাপারে তাঁরা কিছুই জানতেন না। এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সমর্থনও নেই। আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অফিস সহকারী চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের গড়া সব ভাস্কর্য শিক্ষকদের কক্ষের সামনে এবং আশপাশে উল্টে পড়ে থাকতে দেখেন। গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটানো হয় বলে ধারণা করা হয়। চারুকলা বিভাগের শিক্ষক মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কনক কুমার পাঠক এবং গ্রাফিকস ডিজাইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মনির উদ্দীন ওই সময় প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের গড়া এ ভাস্কর্যগুলো মাঠে রাখা ছিল। কে বা কারা এক রাতের মধ্যে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। শতাধিক ভাস্কর্য মাঠে উল্টে ফেলে রেখে গেছে। আর কিছু ভাস্কর্য শিক্ষকদের কক্ষের দরজার সামনে রেখে গেছে।
No comments