ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে
সাংবাদিকতাকে নতুন করে গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে তথ্য ও সমপ্রচার উপদেষ্টা বলেন, সরকার গণমাধ্যমকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। এই স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিকতা কীভাবে গড়ে উঠবে, এ বিষয়টি বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা নির্ধারণ করবেন। সরকার গণমাধ্যমের যেকোনো ধরনের গঠনমূলক সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, গঠনমূলক সমালোচনা সরকারের জন্য উপকারী। এর মাধ্যমে সরকার নিজেকে শুধরে নিতে পারে।
গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করেছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, এ কমিশন গণমাধ্যমের অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের নিকট প্রতিবেদন দেবে। কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সরকার গণমাধ্যম সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাংবাদিকদের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের অনেক সাংবাদিক আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষের কারণে সবক্ষেত্রে আন্দোলনের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার হয়নি। সমপ্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রচারিত অসত্য তথ্য প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, গণমাধ্যমে অসত্য তথ্য ও গুজব প্রচারের ফলে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। গণমাধ্যমের অন্যতম দায়িত্ব হলো সত্যকে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা। সত্য প্রচারে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের কোনো বিকল্প নেই।
গত ফ্যাসিবাদী সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও খবরে কী বলা হবে, সে বিষয়ে মানুষ অনেকটা ধারণা করতে পেরেছিলেন। বিগত সরকার গণমাধ্যমের ওপর নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। সে সময় অনেক সাংবাদিক দলীয় কর্মীর মতো কাজ করেছে। এসব কারণে গণমাধ্যমের ওপর জনগণের আস্থা অনেক কমে গিয়েছিল। মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পূর্বে আবশ্যিকভাবে সত্যতা যাচাই করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর গণমাধ্যমের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মতবিনিময় সভায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, এখন গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করার সময় এসেছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নসহ গণমাধ্যমের উন্নয়নে সরকারের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।
No comments