বাংলাদেশকে এখন সবাই সম্মানের চোখে দেখে -স্বাধীনতা পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের এক দশকের চেষ্টায় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৮
শতাংশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। মাথাপিছু আয় এ অর্থবছরে বেড়ে ১৯০৯ ডলার
হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আজকে
বাংলাদেশের কথা শুনলে সবাই সম্মানের চোখে দেখে, এটুকুই আমার তৃপ্তি। গতকাল
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৯ বিতরণ
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন,
স্বাধীনতার সুফলটা যেন বাংলার জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারি, সাধারণ
মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি এবং আর্থ-সামাজিকভাবে যেন আমরা উন্নত হতে পারি,
উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বে যেন একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারি- সেটাই
আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যার সুফল
দেশবাসী পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে দেশের ১৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের স্ব-স্ব ক্ষেত্রে গৌরবময় ও অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৯ এ ভূষিত করেন। গত ১০ই মার্চ এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে সরকার। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (মরণোত্তর), শহীদ এটিএম জাফর আলম (মরণোত্তর), একেএম মোজাম্মেল হক, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ড. কাজী মিসবাহুন নাহার, আবদুল খালেক (মরণোত্তর) ও অধ্যাপক মোহাম্মাদ খালেদ (মরণোত্তর), শওকত আলী খান (মরণোত্তর), চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগম, সমাজ সেবায় ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ, সংস্কৃতিতে মুর্তজা বশীর, সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অধ্যাপক ড. হাসিনা খান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব এগ্রিকালচারকে (বিআইএনএ) এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে ৩ লাখ টাকার চেক, ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ৫০ গ্রাম ওজনের একটি পদক এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পুস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহম্মদ শফিউল আলম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং পদক বিজয়ীদের পরিচিতি তুলে ধরেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, বিচারপতিগণ, সংসদ সদসগণ, তিন বাহিনী প্রধানগণ, বিদেশি কূটনিতিকবৃন্দ, সরকারের পদস্থ সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী এবং দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এক দশকের প্রচেষ্টার ফলে এই অর্থবছরের শেষ নাগাদ জাতীয় প্রবৃদ্ধি আমরা ৮ ভাগে নিয়ে যেতে সক্ষম হব। আমাদের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৭শ’ ৫১ ডলার থেকে বেড়ে ১ হাজার ৯০৯ নয় মার্কিন ডলার হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ, তারা আমাদেরকে আস্থায় নিয়েছেন, বিশ্বাস রেখেছেন, আমাদের ভোট দিয়ে আবার তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন এবং সামনে আরো কিছুদিন আমরা সময় পাচ্ছি, এদেশটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। তার এবং দলের চলার পথ সবসময়ই কণ্টকাকীর্ণ ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের চলার পথ কখনই সহজ ছিল না। একটা দৃষ্টান্ত দিতে পারি যখন পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে আমার বা আমার পরিবারের ওপর দুর্নীতির অভিযোগ আনা হলো তখন আমরা সেটাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম যে, দুর্নীতি কোথায় হয়েছে সেটা প্রমাণ করতে হবে।
বিশ্বব্যাংক সেটা প্রমাণ করতে পারেনি। তারা ব্যর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা না করতাম তাহলে কখনই এই চ্যালেঞ্জ নিতে পরতাম না। তিনি বলেন, সততাই হলো সব থেকে বড় শক্তি। আর সেই শক্তি ছিল বলেই সকল ষড়যন্ত্র আমরা মোকাবিলা করতে পেরেছিলাম। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণর সিদ্ধান্তে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আজকে আমাদের সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য আমরা স্বাধীনতা পুরস্কার দিতে পেরেছি, সেজন্য আমরা নিজেদেরকে ধন্য মনে করি।
আমরা গুণীজনকে সম্মান জানাতে পেরেছি। তবে, আমাদের দেশ ও সমাজের আনাচে-কানাচে আরো এমনি বহু গুণীজন ছড়িয়ে রয়েছেন। ’৭৫-এর পরে নির্বাচন ব্যবস্থা ধসে পড়া এবং শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির অনুপ্রবেশের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এর প্রেক্ষিতে জাতির পিতার কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ তথা বাকশাল প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য আলোচনায় তুলে ধরেন। ’৭৩-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বাইরে থাকা দলগুলো ৯টি আসনে জয়লাভ করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা কখনও নির্বাচনে জয়ী হতে পারে না সেসব রাজনৈতিক দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতির পিতা বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ গড়েছিলেন। এটি একটি জাতীয় ঐক্যভিত্তিক প্লাটফর্ম ছিল। যেখানে ঐক্যের মধ্য দিয়ে সকলেই দেশের কাজ করবে এবং সেখানে সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে তিনি উন্নয়নের ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা যেই ব্যবস্থাটা নিয়েছিলেন সেটা কার্যকর করা গেলে বাংলাদেশে জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে আর কেউ খেলতে পারতো না। নিজের মনের মতো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জনগণ নির্বাচিত করতে পারতো। সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা সে সময় নির্বাচনের যে পদ্ধতি করেছিলেন সে অনুযায়ী যার যার নির্বাচন সে সে করতে পারবে। নির্বাচনের খরচ প্রতিটি প্রার্থীকে দিয়ে দেয়া হবে রাষ্ট্রের তরফ থেকে। প্রতি আসনের জন্য পৃথক একটি করে পোস্টারে সকল প্রার্থীর নাম ছাপিয়ে দেয়া হবে কাজেই জনগণের সঙ্গে যার যোগাযোগ আছে, সম্পৃক্ততা আছে তারা নির্বাচিত হবেন। অর্থাৎ ভোটের অধিকার তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে যাতে পৌঁছায়, তারা যেন স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে সেই সুযোগ তিনি করে দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু’টি নির্বাচন হয়েছিল সে সময়। এর একটি কিশোরগঞ্জে অপরটি পটুয়াখালীতে। সেখানে বড় কোনো দলের কেউ নয়, সাধারণ একজন স্কুল মাস্টার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। অর্থাৎ অর্থ-বিত্ত দিয়ে কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার একটা কথা ছিল একটা বিপ্লবের পর সমাজে একটা বিবর্তন আসে। যেসব দেশ মুক্তিযুদ্ধ করেছে সেসব দেশেই এমনটি হয়, পরিবর্তন বা বিবর্তনের পরে কিছু লোক আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে যায়। সেটা যেন সমাজে স্থান না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তিনি এই বাকশাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে আমাদের জনসংখ্যা বেশি এবং চাষের জমি কম থাকায় সেখানে তিনি ব্যবস্থা নিয়েছিলেন সমবায়ের মাধ্যমে আমাদের দেশে উৎপাদন হবে।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে দেশের ১৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের স্ব-স্ব ক্ষেত্রে গৌরবময় ও অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৯ এ ভূষিত করেন। গত ১০ই মার্চ এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে সরকার। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (মরণোত্তর), শহীদ এটিএম জাফর আলম (মরণোত্তর), একেএম মোজাম্মেল হক, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ড. কাজী মিসবাহুন নাহার, আবদুল খালেক (মরণোত্তর) ও অধ্যাপক মোহাম্মাদ খালেদ (মরণোত্তর), শওকত আলী খান (মরণোত্তর), চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগম, সমাজ সেবায় ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ, সংস্কৃতিতে মুর্তজা বশীর, সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অধ্যাপক ড. হাসিনা খান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব এগ্রিকালচারকে (বিআইএনএ) এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে ৩ লাখ টাকার চেক, ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ৫০ গ্রাম ওজনের একটি পদক এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পুস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহম্মদ শফিউল আলম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং পদক বিজয়ীদের পরিচিতি তুলে ধরেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, বিচারপতিগণ, সংসদ সদসগণ, তিন বাহিনী প্রধানগণ, বিদেশি কূটনিতিকবৃন্দ, সরকারের পদস্থ সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী এবং দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এক দশকের প্রচেষ্টার ফলে এই অর্থবছরের শেষ নাগাদ জাতীয় প্রবৃদ্ধি আমরা ৮ ভাগে নিয়ে যেতে সক্ষম হব। আমাদের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৭শ’ ৫১ ডলার থেকে বেড়ে ১ হাজার ৯০৯ নয় মার্কিন ডলার হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ, তারা আমাদেরকে আস্থায় নিয়েছেন, বিশ্বাস রেখেছেন, আমাদের ভোট দিয়ে আবার তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন এবং সামনে আরো কিছুদিন আমরা সময় পাচ্ছি, এদেশটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। তার এবং দলের চলার পথ সবসময়ই কণ্টকাকীর্ণ ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের চলার পথ কখনই সহজ ছিল না। একটা দৃষ্টান্ত দিতে পারি যখন পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে আমার বা আমার পরিবারের ওপর দুর্নীতির অভিযোগ আনা হলো তখন আমরা সেটাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম যে, দুর্নীতি কোথায় হয়েছে সেটা প্রমাণ করতে হবে।
বিশ্বব্যাংক সেটা প্রমাণ করতে পারেনি। তারা ব্যর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা না করতাম তাহলে কখনই এই চ্যালেঞ্জ নিতে পরতাম না। তিনি বলেন, সততাই হলো সব থেকে বড় শক্তি। আর সেই শক্তি ছিল বলেই সকল ষড়যন্ত্র আমরা মোকাবিলা করতে পেরেছিলাম। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণর সিদ্ধান্তে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আজকে আমাদের সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য আমরা স্বাধীনতা পুরস্কার দিতে পেরেছি, সেজন্য আমরা নিজেদেরকে ধন্য মনে করি।
আমরা গুণীজনকে সম্মান জানাতে পেরেছি। তবে, আমাদের দেশ ও সমাজের আনাচে-কানাচে আরো এমনি বহু গুণীজন ছড়িয়ে রয়েছেন। ’৭৫-এর পরে নির্বাচন ব্যবস্থা ধসে পড়া এবং শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির অনুপ্রবেশের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এর প্রেক্ষিতে জাতির পিতার কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ তথা বাকশাল প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য আলোচনায় তুলে ধরেন। ’৭৩-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বাইরে থাকা দলগুলো ৯টি আসনে জয়লাভ করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা কখনও নির্বাচনে জয়ী হতে পারে না সেসব রাজনৈতিক দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতির পিতা বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ গড়েছিলেন। এটি একটি জাতীয় ঐক্যভিত্তিক প্লাটফর্ম ছিল। যেখানে ঐক্যের মধ্য দিয়ে সকলেই দেশের কাজ করবে এবং সেখানে সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে তিনি উন্নয়নের ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা যেই ব্যবস্থাটা নিয়েছিলেন সেটা কার্যকর করা গেলে বাংলাদেশে জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে আর কেউ খেলতে পারতো না। নিজের মনের মতো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জনগণ নির্বাচিত করতে পারতো। সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা সে সময় নির্বাচনের যে পদ্ধতি করেছিলেন সে অনুযায়ী যার যার নির্বাচন সে সে করতে পারবে। নির্বাচনের খরচ প্রতিটি প্রার্থীকে দিয়ে দেয়া হবে রাষ্ট্রের তরফ থেকে। প্রতি আসনের জন্য পৃথক একটি করে পোস্টারে সকল প্রার্থীর নাম ছাপিয়ে দেয়া হবে কাজেই জনগণের সঙ্গে যার যোগাযোগ আছে, সম্পৃক্ততা আছে তারা নির্বাচিত হবেন। অর্থাৎ ভোটের অধিকার তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে যাতে পৌঁছায়, তারা যেন স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে সেই সুযোগ তিনি করে দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু’টি নির্বাচন হয়েছিল সে সময়। এর একটি কিশোরগঞ্জে অপরটি পটুয়াখালীতে। সেখানে বড় কোনো দলের কেউ নয়, সাধারণ একজন স্কুল মাস্টার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। অর্থাৎ অর্থ-বিত্ত দিয়ে কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার একটা কথা ছিল একটা বিপ্লবের পর সমাজে একটা বিবর্তন আসে। যেসব দেশ মুক্তিযুদ্ধ করেছে সেসব দেশেই এমনটি হয়, পরিবর্তন বা বিবর্তনের পরে কিছু লোক আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে যায়। সেটা যেন সমাজে স্থান না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তিনি এই বাকশাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে আমাদের জনসংখ্যা বেশি এবং চাষের জমি কম থাকায় সেখানে তিনি ব্যবস্থা নিয়েছিলেন সমবায়ের মাধ্যমে আমাদের দেশে উৎপাদন হবে।
No comments